
৳ ৫০০ ৳ ৪২৫
|
১৫% ছাড় |
Quantity |
|





নিঃসঙ্গ গ্রহচারী, ক্রোমিয়াম অরণ্য, ত্রিনিত্রি রাশিমালা, অনুরন গােলক ,নয় নয় শূন্য তিন, পৃ , রবােনগরী, টুকি এবং ঝায়ের (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযান কালজয়ী সাহিত্য সৃষ্টির নাছােড় বাসনা নিয়ে যারা দিনরাত গলদঘর্ম হন, মুহম্মদ জাফর ইকবাল তাদের দলের নন। তিনি সােজাসাপ্টা বলেন, “আমার নিজের গল্প শুনতে ভালাে লাগে, তাই আমি আমার লেখায় সব সময়েই একটা গল্প বলার চেষ্টা করি।” কিন্তু তার জন্যে সায়েন্স ফিকশান কেন? এই ‘কেন’র কোনাে কৈফিয়ত নেই—এটা একেবারেই লেখকের নিজস্ব নির্বাচনের ব্যাপার। আর কেনই-বা নয়? বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীকে যারা সাহিত্যের পঙক্তিতে বসাতে রাজি নন, তাদের অর্থহীন গোঁয়ার্তুমিকে আজ আর আমল না দিলেও চলে। প্রযুক্তি, সৃষ্টিতত্ত্ব, মহাকাশবিদ্যা প্রভৃতি ক্ষেত্রে যে অতুলনীয় উন্নতি আজকের পৃথিবীতে ঘটেছে ও ঘটছে আর তারই ফলে জীবন ও জগতের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির যে মৌলিক পরিবর্তন হচ্ছে তাতে সায়েন্স ফিকশান হয়ে উঠছে মানুষেরই কথকতা। আর বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী মানেই তাে লাগামছাড়া কল্পনার ঘােড়া নয়, বৈজ্ঞানিক সূত্র ও সম্ভবপরতার সংগতি সবসময়েই ভালাে সায়েন্স ফিকশানে থাকে। যেমন থাকে মুহম্মদ জাফর ইকবালের রচনায়। তাঁর রচনায় রােমাঞ্চ থাকে; সে রােমাঞ্চ মানুষের প্রায়-অকল্পনীয় ভবিষ্যতের ছবিটার মধ্যে অব্যর্থভাবে ছড়িয়ে দিতে পারেন তিনি। সেই সঙ্গে যে জিনিসটি তার সায়েন্স ফিকশানকে বাংলাদেশে, বলা যায় বাংলা ভাষাতেই শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসিয়েছে তা হল তার মর্মস্পর্শী মানবিকতা। প্রীতি, বিদ্বেষ, কৌতুক, বিষাদ—এই সব বিচিত্র রসে তার কাহিনীর মানব-চরিত্রেরা তাে বটেই, কৃত্রিম বা কল্পিত চরিত্রেরাও হয়ে ওঠে রক্তমাংসের মানুষ, যাদের প্রতি আমাদের দ্বিধাহীন সহমর্মিতা গড়ে ওঠে। সেই সঙ্গে থাকে স্বচ্ছন্দ গদ্যের পাশাপাশি শিল্পগত বাঁধুনি। সব মিলিয়ে জাফর ইকবালের রচনাগুলাে শুধু আকর্ষণীয় কাহিনীর রােমাঞ্চকর বিন্যাসই নয়, একই সঙ্গে সার্থক গল্প বা উপন্যাসও হয়ে ওঠে। ছাত্রজীবনেই শখের বশে কল্পবিজ্ঞান লেখা শুরু করেছিলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল। আর আজ তিনি বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে সার্থক ও জনপ্রিয় সায়েন্স ফিকশান লেখক। বিজ্ঞানী বলেই বিজ্ঞানের ক্ষমতা ও তার অন্তর্গত মানবিকতা যেমন তিনি জানেন, তেমনি জানেন তার বিপথগামিতার অজস্র উদাহরণ এবং তার ধ্বংসাত্মক ব্যবহারের আশঙ্কার কথাও। তাই তাঁর রচনায় পৃথিবী ও মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশা ও আশঙ্কা—দুই-ই প্রকাশ পায়। এই গ্রন্থের রচনাসমূহ লেখকের কল্পনার সমৃদ্ধির সাথে যৌক্তিক সম্ভবপরতার সংযত মিশ্রণে, স্বাদ ও কাহিনীর বৈচিত্র্যে, নানা রকমের চরিত্রের আনাগােনায় অনন্য।
Title | : | সায়েন্স ফিকশান সমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড |
Author | : | মুহম্মদ জাফর ইকবাল |
Publisher | : | প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা |
ISBN | : | 9844460425 |
Edition | : | 20th Print, 2020 |
Number of Pages | : | 504 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরী পাঠকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি মূলত এ দেশের একজন বিখ্যাত লেখক, পদার্থবিদ এবং শিক্ষাবিদ। কিশোর সাহিত্য, শিশুতোষ গ্রন্থ, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, গণিত বিষয়ক বই এর জন্য খুব অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি। মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৯৫২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধা বাবা ফয়জুর রহমানের চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলাতেই তিনি পড়াশোনা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে পিএইচডি ডিগ্রী অজর্নের উদ্দেশ্যে স্কলারশিপ নিয়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে। পিএইচডি সম্পন্ন করে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে বিখ্যাত বেল কমিউনিকেশনস রিসার্চ ল্যাবেও গবেষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৪ সালে দেশে ফিরে এসে তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগ দেন। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর বই সবসময়ই এ দেশের কিশোর-কিশোরীদের কাছে বিশেষ আবেদন নিয়ে হাজির হয়েছে। কিশোর সাহিত্য, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ক অজস্র গ্রন্থ দিয়ে তিনি আলোকিত করে তুলেছেন এদেশের অগণিত কিশোর-কিশোরীর মনোজগত। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর বই সমূহ, যেমন- দীপু নাম্বার টু, আমার বন্ধু রাশেদ, আমি তপু, শান্তা পরিবার, দস্যি ক’জন ইত্যাদি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায়। তার বেশ কিছু গল্প পরবর্তীতে নাটক ও চলচ্চিত্র হিসেবে টিভি পর্দায় স্থান করে নিয়েছে। তিনি একজন বিশিষ্ট কলামিস্টও। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডও তাঁর ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর বই সমগ্র সকল বইপড়ুয়াকেই আকৃষ্ট করে। সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বহুবার পুরষ্কৃত হয়েছেন। বাংলা একাডেমি পুরষ্কার (২০০৪) এবং শ্রেষ্ঠ নাট্যকার হিসেবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার (২০০৫) সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, কাজী মাহবুবুল্লা জেবুন্নেছা পদক (২০০২), শেলটেক সাহিত্য পদক (২০০৩), ইউরো শিশুসাহিত্য পদকসহ (২০০৪) অগণিত পুরষ্কার অর্জন করেছেন গুণী এই সাহিত্যিক।
If you found any incorrect information please report us
অন্যরা যা কিনছে
নতুন নতুন অফার সম্পর্কে সবার আগে জানতে সাবস্ক্রাইব করুন
নতুন নতুন অফার সম্পর্কে সবার আগে জানতে সাবস্ক্রাইব করুন



