৳ ৪০০ ৳ ৩৪০
|
১৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
একাডেমিক বইয়ে প্রতি ১০০০ টাকার অর্ডারে একটি করে খাতা ফ্রি ও ডেলিভারি ফ্রি
বিক্রমপুরের কাজির পাগলা গ্রামে একশাে বছরেরও বেশি কাল আগে অভয় তালুকদার নামে এক শিক্ষানুরাগী জমিদার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কাজির পাগলা এ, টি, ইন্সস্টিটিউশন নামের একটি স্কুল। কালক্রমে সেই স্কুল বিখ্যাত হয়ে ওঠে। বহু মেধাবী এবং নামকরা ছাত্র এই স্কুল থেকে বেরয়। বিক্রমপুর ছিল হিন্দুপ্রধান এলাকা। দেশভাগের পর তারা অনেকেই বিক্রমপুর ছেড়ে চলে যায়। স্কুল চলতে থাকে স্কুলের মতাে। কয়েক বছর আগে শতবর্ষ পেরােয় স্কুলটি। এই উপলক্ষে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি, স্কুলের প্রাক্তন এবং বর্তমান ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক মিলে দুদিনব্যাপী শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানের আয়ােজন করে। আমন্ত্রণ জানানাে হয় ভারতের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করা এই স্কুলের যেসব প্রাক্তন ছাত্রের খোঁজ পাওয়া যায় তাদেরকে এবং প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য যারা এখনও বেঁচে আছেন তাঁদেরকে। '৪৭ এর পর তারা অনেকেই আর এই দেশে আসেননি। এতকাল পর পূর্বপুরুষের প্রতিষ্ঠিত একটি স্কুলের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে এসে তাঁদের কী অনুভূতি? একদার আপন দেশটি কি আজ তাঁদের পর? নিজের আপন গ্রামখানি কি পর? আর মানুষগুলাে?
এই উপন্যাসে দেশবিভাগের কষ্ট বেদনা একটু অন্যরকমভাবে তুলে আনার চেষ্টা করেছেন ইমদাদুল হক মিলন। তিনি নিজেও উপন্যাসের একটি চরিত্র, চরিত্র তার চারপাশের অনেক চেনা মানুষ, স্কুলের অনেক প্রাক্তন ছাত্র শিক্ষক। সময় এবং রাজনৈতিক কারণে কারও কাছে পর হয়ে গেছে তার আপন দেশগ্রাম, কারও কাছে পর হয়ে গেছে তার চিরচেনা আপনজন, কারও কাছে পর হয়ে গেছে ফেলে আসা জীবনের পুরাে সময়কাল।
Title | : | পর |
Author | : | ইমদাদুল হক মিলন |
Publisher | : | অন্যপ্রকাশ |
ISBN | : | 9848684190 |
Edition | : | 2012 |
Number of Pages | : | 240 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
ইমদাদুল হক মিলন (জন্ম: ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৫৫) হলেন একজন বাংলাদেশী কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার। তিনি গল্প, উপন্যাস এবং নাটক এই তিন শাখাতেই জনপ্রিয় রচনা উপহার দিয়েছেন। কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন ১৯৫৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিক্রমপুরের মেদিনীমণ্ডল গ্রামে। কিশোর বাংলা নামীয় পত্রিকায় শিশুতোষ গল্প লিখে তার সাহিত্যজগতে আত্মপ্রকাশ। ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে সাপ্তাহিক বিচিত্রা পত্রিকায় "সজনী" নামে একটি ছোট গল্প লিখে পাঠকের দৃষ্টি আর্কষণ করতে শুরু করেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১৯ সালে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।
If you found any incorrect information please report us