পঞ্চকন্যা (হার্ডকভার)
পঞ্চকন্যা (হার্ডকভার)
৳ ৪০০   ৳ ৩০০
২৫% ছাড়
3 টি Stock এ আছে
Quantity  

৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

১. তোমাকেঃ পঞ্চকন্যা বইটি হুমায়ূন আহমেদ এর পাঁচটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস নিয়ে সাজানো হয়েছে। প্রথম উপন্যাস টি হলো তোমাকে ।একই ধরণের বই অনেক লিখেছেন লেখক। আমি পড়েছি কয়েকটি। কিন্তু তবুও ভালো না বেসে পারা যায়না। এখানেই লেখকের মৌলিকতা, বিশেষত্ব। গল্পটি একটি একান্নবর্তী পরিবারের এক কন্যার জবানীতে পারিবারিক পরিবর্তনশীলতার কাহিনী। সব বদলে যায়। মা-বাবা, বোনের সাথে বোনের সম্পর্ক। প্রেম, কিংবা অভিমান বাসা বাঁধে মনের গহীনে অজান্তেই। অনেক সময় অনাত্মীয়ও হয়ে ওঠে আত্মীয়ের থেকে বেশি। ভালোমানুষ নানাবিধ সামাজিকতার জালে জর্জরিত হয়ে পা বাড়ায় কু-অভ্যাসে। এসব বিষয় অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় বর্ণনা করেছেন লেখক। আর কি মায়াময় লেখনী। আমার সামাজিক গল্প ভালো লাগেনা সেভাবে। কিন্তু ইদানীং লক্ষ্য করছি এই জাতীয় গল্প অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ি আমি। আমিও বদলে যাচ্ছি। কমবেশি। হাহাহা। ভালো লেগেছে সম্পূর্ণ গল্পটি, বার বার পড়ার মতো উপাদান এতে রয়েছে।
২. আমার আছে জলঃ রেল স্টিশনের নাম “সোহাগী” এই স্টেশন থেকে উপন্যাস এর শুরু। রিটায়ার্ড আইজি ওসমান সাহেব তার স্ত্রী, দুই মেয়ে নিশাত, দিলু, আর ও আছে নিশাতের শিশুকন্যা, দুই যুবক একজনের নাম জামিল অন্য জন সাব্বির। সাব্বির একজন প্রবাসী ফটোগ্রাফার। এছাড়া ও সাথে দুইজন কাজের লোক এবং তাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন সোহাগী থানার ওসি। ওসমান সাহেব সপরিবার নীলগঞ্জ ডাকবাংলো ছুটি কাটাতে এসেছেন। এই উপন্যাসটা মুলত দিলু এবং নিশাতকে নিয়ে এরাই গল্পের প্রধান চরিত্র। নিশাত,, অসম্ভব রুপবতী একটা মেয়ে। বিয়ের কয়েক বছর পরই তার স্বামী মারা যায়।তার স্বামী ছিল কবির। আমুদে ছেলে।হৈচৈ করতো সবসময়। প্রচুর মিথ্যে কথা বলতো।নিশাতের মতে কবির এমন ছেলে যে পৃথিবীর যে-কোনো মেয়েকে বিয়ে করেই সুখী হতো।এই সব ছেলেদের সুখী হওয়ার ক্ষমতা অসাধারণ।কিন্তু নিশাত সুখী হতে পারেনি। দিলু,,, দিলুর বয়স চৌদ্দ বা পনেরো। এই বয়সে চেনা মেয়েগুলিকে ও অচেনা লাগে।বড় বেশি আবেগী মেয়ে অল্পতেই তার চোখে পানি আসে। ডাকবাংলোতে আসার পর থেকেই দিলু জামিলের প্রতি অন্য এক টান অন্য রকম অনুভূতি অনুভব করতে থাকে। দিলুর মা রেহানা বেগম সেটা বুঝতে পারেন এর জন্য তিনি বিরক্ত হয়ে আছেন। এদিকে ফটোগ্রাফার সাব্বিরের নিশাতকে পছন্দ হয় এবং সে তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়। নানা ঘটনার পর জামিল এর সাথে নিশাতের সম্পর্কের কথা জানতে পারে। এখন কি করবে দিলু? জামিল বা পরিবারকে জানাবে কি তার ভালবাসার কথা। সুন্দর একটা বই যারা পড়েননি পড়ে ফেলুন তারাতারি।
৩. আকাশ জোড়া মেঘঃ এই বই শুরুতে আমার কাছে অতোটা ভাল লাগেনি। সংলাপ ভাল ছিল, কিন্তু কাহিনীর মধ্যে কোন বিশেষত্ব খুজেঁ পাচ্ছিলাম না। তবে শেষের দিকের চমক টা পুরো গল্পকে অসাধারণ করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।এমনকি অভিভূত। গল্পে ফিরোজ চরিত্রটিকে কিছুটা হিমু চরিত্রের মত মনে হয়। ফিরোজের হিমুর মত বাউন্ডুলে স্বভাব আছে, অকারণে রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করার বাতিক আছে। মানুষকে হঠাৎ হঠাৎ চমকে দিয়ে মজা দেখার প্রবণতা আছে। তবে হিমুর মধ্যে মহাপুরুষের কিছু গুণাবলী আছে যা ফিরোজের মধ্যে নেই। ফিরোজ অহরহ মিথ্যা কথা বলে। যেটা নায়কের চরিত্রের সাথে খুব বেমানান হতে পারে তবে বাস্তবসম্মত।
৪. একজন মায়াবতীঃ অসম্ভব মুগ্ধতা নিয়ে পড়ছিলাম বইটি। শেষ পর্যন্ত এই মুগ্ধতা ধরেও রেখেছিল। কিন্তু শেষে মনজুর এর সাথে কার মিল হবে এটা নিয়ে দোটানায় পড়ে গেছিলাম। আমি চাচ্ছিলাম জাহানারা কে কিন্তু মনে হল মীরার সাথেই মিল হবে। একটু ক্লিয়ার করলে কী এমন দোষ হতো। যাইহোক আমি সন্তুষ্ট। আসলে গল্পটিতে জটিল মানব মনের জটিল সব ভাবাবেগ তুলে ধরা হয়েছে । আধুনিক ধারার লোক দেখানো আর চাটুকারিতা ছাপিয়ে ভালোবাসাকে একটা নতুন মাত্রা দেওয়া হয়েছে। যে ভালোবাসা ধরা যায় না,ছোঁয়া যায় না। শুধু অন্তর দিয়ে অনুভব করতে হয়।
৫. সে ও নর্তকীঃ স্বাতী ভেবে রেখেছিল সে তার জন্মদিনে লিলিকে ব্যাপারটা বলবে। ভয়ংকর অন্যায় যে সে করেছে সে-ব্যাপারটা। লিলি আতঙ্কে শাদা হয়ে যাবে। পরপর কয়েকবার বলবে, এখন কী হবে রে।
নিজের আতঙ্ক অন্যের ভেতর দেখলে নিজের আতঙ্ক খানিকটা কমে। স্বাতী খানিকটা স্বস্তি পাবে। এবং কিছুটা সাহসও পাবে। সেই সাহসটা পাবার পর স্বাতী ব্যাপারটা তার মা’কে বলতে পারবে।

আশা করছি, হুমায়ূন আহমেদ এর পঞ্চকন্যা বইটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed) এর অন্যান্য বাংলা বই ডাউনলোড করতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন আর পঞ্চকন্যা বইটি আপনাদের কেমন লাগলো তা জানতে ভুলবেন না।

Title : পঞ্চকন্যা
Author : হুমায়ূন আহমেদ
Publisher : কাকলী প্রকাশনী
ISBN : 9847013303343
Edition : 2018
Number of Pages : 412
Country : Bangladesh
Language : Bengali

বাংলা সাহিত্যের এক কিংবদন্তী হুমায়ূন আহমেদ। বিংশ শতাব্দীর বাঙালি লেখকদের মধ্যে তিনি অন্যতম স্থান দখল করে আছেন। একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও নাট্যকার এ মানুষটিকে বলা হয় বাংলা সায়েন্স ফিকশনের পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও তিনি বেশ সমাদৃত। বাদ যায়নি গীতিকার কিংবা চিত্রশিল্পীর পরিচয়ও। সৃজনশীলতার প্রতিটি শাখায় তাঁর সমান বিচরণ ছিল। অর্জন করেছেন সর্বোচ্চ সফলতা এবং তুমুল জনপ্রিয়তা। স্বাধীনতা পরবর্তী বাঙালি জাতিকে হুমায়ুন আহমেদ উপহার দিয়েছেন তাঁর অসামান্য বই, নাটক এবং চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের বদৌলতে মানুষকে করেছেন হলমুখী, তৈরি করে গেছেন বিশাল পাঠকশ্রেণীও। তাঁর নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমনি’ দেখতে দর্শকের ঢল নামে। এছাড়া শ্যামল ছায়া, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, ঘেটুপুত্র কমলা প্রভৃতি চলচ্চিত্র সুধীজনের প্রশংসা পেয়েছে। অনন্য কীর্তি হিসেবে আছে তাঁর নাটকগুলো। এইসব দিনরাত্র, বহুব্রীহি, আজ রবিবার, কোথাও কেউ নেই, অয়োময়ো আজও নন্দিত দর্শকমনে। হিমু, মিসির আলি, শুভ্রর মতো চরিত্রের জনক তিনি। রচনা করেছেন নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, জোছনা ও জননীর গল্পের মতো সব মাস্টারপিস। শিশুতোষ গ্রন্থ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনা, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী মিলিয়ে হুমায়ূন আহমেদ এর বই সমূহ এর পাঠক সারাবিশ্বে ছড়িয়ে আছে। হুমায়ূন আহমেদ এর বই সমগ্র পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিতও হয়েছে। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জন করেছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), একুশে পদক (১৯৯৪), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), মাইকেল মধুসূধন দত্ত পুরস্কার (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮), শিশু একাডেমি পুরস্কার, জয়নুল আবেদীন স্বর্ণপদকসহ নানা সম্মাননা। হুমায়ূন আহমেদ এর বই, চলচ্চিত্র এবং অন্যান্য রচনা দেশের বাইরেও মূল্যায়িত হয়েছে৷ ১৯৪৮ সালের ১৩ই নভেম্বর, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় কুতুবপুরে পীরবংশে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের বেলভ্যু হাসপাতালে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। গাজীপুরে তাঁর প্রিয় নুহাশ-পল্লীতে তাঁকে সমাহিত করা হয়।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]