তোড়ায় বাঁধা ঘোড়ার ডিম (হার্ডকভার)
তোড়ায় বাঁধা ঘোড়ার ডিম (হার্ডকভার)
৳ ২৫০   ৳ ২২৫
১০% ছাড়

১১৯৯ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

৫০% ছাড়ে অর্ডার করুন 'তথ্য সাময়িকী ৪৬তম বিসিএস বিশেষ সংখ্যা' ও 'বিসিএস প্রিলিমিনারি মডেল টেস্ট'

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

শুধু তাে ঘােড়ার ডিম নয়, তােড়ায় বাঁধা ঘােড়ার ডিম। 'আবােল তাবােল'-এর শেষ কবিতার, সুকুমার রায়েরও শেষ রচনায়, এই পঙক্তিতে যত সংক্ষেপে ধরা হয়েছিল আজগুবি দুনিয়ার মেজাজকে, তার তুলনা নেই। বিশ্বের সেরা দুই খেয়ালরসিক লিয়র ও ক্যারলের বেয়াড়া ও সৃষ্টিছাড়া, নিয়মহীন ও হিসাবহারা আজগুবি জগৎকে নিজস্ব কল্পনার ছাঁচে ঢালাই করে বাংলা ননসেন্স-রাজ্যকে নতুন করে মাতিয়ে দিলেন সত্যজিৎ রায়। এ-বই যতটা অনুবাদ, ততটাই নিজস্ব সৃষ্টি। সুকুমার রায়ের 'আবােল তাবােল যেমন অনুবাদ করা দুঃসাধ্য, লিয়রের লিমেরিক আর ক্যারলের ননসেন্সও তাই । আক্ষরিক অনুবাদ করা হয়তাে যায় না, কিন্তু এই আজগুবি দুনিয়া, আনকোরা শব্দ, হিজিবিজবিজদের কীর্তিকলাপ যখন উদ্দীপিত করে সৃষ্টিশীল মন, লিয়রের স্কেচ থেকে তখনই জন্ম নেয় নতুন লিমেরিক ; ক্যারলের লেখা আর স্যার জন টেনিয়েলের ছবি প্রাণিত করে প্রায়-নতুন সৃষ্টিতে মেতে উঠতে। রক্তে যাঁর সুকুমার রায়ের উত্তরাধিকার, নিজে যিনি স্বপনঘােড়ার চড়নদার, সেই সত্যজিৎ রায় যেমন অনায়াসে এর আগে 'আবােল তাবােল'-এর কয়েকটি কবিতাকে রূপান্তরিত করেছেন ইংরেজীতে, তেমনই স্বচ্ছন্দে ইংরেজী ননসেন্সকে বাংলা সাহিত্যের অন্দরমহলে নিয়ে এলেন এবার। তােড়ায় বাঁধা এ-সব লেখা যতখানি লিয়রের, ক্যারলের বা বেলকের, ততখানিই সত্যজিতের। এ-বইয়ের অন্তর্গত আটটি ছড়া, একটি গদ্যরচনা ও আঠাশটি লিমেরিক একাধারে অনুবাদ, আবার অনুবাদ নয়ও, বিদেশী শ্ৰষ্টার অনুসরণে সত্যজিৎ রায়ের নিজস্ব অননুকরণীয় সৃষ্টি । ননসেন্সের এই রাজ্যে ধ্বনির তােড়ে ভেসে যাবে শব্দ, অর্থরা হবে বেসামাল, আর শিশুরা সবাগ্রে মেতে উঠবে এই বিশৃঙ্খলার খেয়ালী খেলায় । বড়রাও তাবলে পিছিয়ে থাকবেন না। তাঁদের গম্ভীর দুনিয়াটারই অসংগতির ছবি খুঁজে পাবেন এই সব রচনার মধ্যে। উদ্ভটের কল্পরাজ্যেও কিন্তু সবার চালচলন মােটেও এক রকমের নয়। লিয়র ও ক্যারলের জগৎ দুটো আজগুবি হয়েও যতটা স্বতন্ত্র, ততটাই স্বতন্ত্র এই দুই বিদেশীর কল্পনার সঙ্গে সুকুমার ও সত্যজিৎ রায়ের । বিশুদ্ধ ননসেন্স রচনা করেও এই দুই বাঙালী লেখক কৌতুকরসের অফুরন্ত ধারার মধ্যে ছুঁয়ে যান সুক্ষ্ম সেই তন্ত্রী, সেখানে সমাজ সংসারের হিপােক্রিসির কাঁপন লাগে । প্রথম পড়ায় শুধুই মজা, দ্বিতীয় পাঠে সামান্য অস্বস্তি, আর ক্রমশ উন্মােচিত হতে থাকে চমক, হাসি সেখানে নিতান্ত মজাতেই শেষ হয় না। বুদ্ধদেব বসুর একদা মনে হয়েছিল বাংলা সাহিত্যে রায়চৌধুরী পরিবারের যেন মৌরসী-পাট্টা। সে-কথা আরেকবার প্রমাণ করবে এই বই। ফেলুদা আর শঙ্কু-স্ৰষ্টার বিচিত্রগামী প্রতিভার ননসেন্স-রাজ্যে অবিসংবাদী অধিকারের বিচ্ছিন্ন পরিচয় পত্র-পত্রিকার পাতাতেই এতকাল ছড়িয়ে ছিল । তােড়ায় বাঁধার এই প্রথম প্রয়াস নিঃসংশয়ে এক ঐতিহাসিক ঘটনারূপে গণ্য হবে।

Title : তোড়ায় বাঁধা ঘোড়ার ডিম
Author : সত্যজিৎ রায়
Publisher : আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড
ISBN : 8170668719
Edition : 2014
Number of Pages : 83
Country : India
Language : Bengali

সত্যজিৎ রায় (২ মে ১৯২১ – ২৩ এপ্রিল ১৯৯২) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক, সঙ্গীত পরিচালক এবং লেখক। তাকে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়।সত্যজিতের জন্ম কলকাতা শহরে সাহিত্য ও শিল্প সমাজে খ্যাতনামা রায় পরিবারে। তার পূর্বপুরুষের ভিটা ছিল তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের কিশোরগঞ্জে (বর্তমানে বাংলাদেশ) কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া গ্রামে। তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ ও শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। সত্যজিতের কর্মজীবন একজন বাণিজ্যিক চিত্রকর হিসেবে শুরু হলেও প্রথমে কলকাতায় ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা জঁ রনোয়ারের সাথে সাক্ষাৎ ও পরে লন্ডন শহরে সফররত অবস্থায় ইতালীয় নব্য বাস্তবতাবাদী চলচ্চিত্র লাদ্রি দি বিচিক্লেত্তে (ইতালীয়: Ladri di biciclette, বাইসাইকেল চোর) দেখার পর তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণে উদ্বুদ্ধ হন।চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে সত্যজিৎ ছিলেন বহুমুখী এবং তার কাজের পরিমাণ বিপুল। তিনি ৩৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র পথের পাঁচালী (১৯৫৫) ১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে, এর মধ্যে অন্যতম ১৯৫৬ কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাওয়া “শ্রেষ্ঠ মানব দলিল” (Best Human Documentary) পুরস্কার। পথের পাঁচালী, অপরাজিত (১৯৫৬) ও অপুর সংসার (১৯৫৯) – এই তিনটি একত্রে অপু ত্রয়ী নামে পরিচিত, এবং এই চলচ্চিত্র-ত্রয়ী সত্যজিতের জীবনের শ্রেষ্ঠ কর্ম হিসেবে বহুল স্বীকৃত। চলচ্চিত্র মাধ্যমে সত্যজিৎ চিত্রনাট্য রচনা, চরিত্রায়ন, সঙ্গীত স্বরলিপি রচনা, চিত্রগ্রহণ, শিল্প নির্দেশনা, সম্পাদনা, শিল্পী-কুশলীদের নামের তালিকা ও প্রচারণাপত্র নকশা করাসহ নানা কাজ করেছেন। চলচ্চিত্র নির্মাণের বাইরে তিনি ছিলেন একাধারে কল্পকাহিনী লেখক, প্রকাশক, চিত্রকর, গ্রাফিক নকশাবিদ ও চলচ্চিত্র সমালোচক। বর্ণময় কর্মজীবনে তিনি বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন, যার মধ্যে বিখ্যাত হল ১৯৯২ সালে পাওয়া একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার (অস্কার), যা তিনি সমগ্র কর্মজীবনের স্বীকৃতি হিসেবে অর্জন করেন। তিনি এছাড়াও ৩২টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ১টি গোল্ডেন লায়ন, ২টি রৌপ্য ভল্লুক লাভ করেন।  তিনি বেশ কয়েকটি ছোট গল্প এবং উপন্যাস রচনা করেছেন, প্রাথমিকভাবে শিশু-কিশোরদের পাঠক হিসেবে বিবেচনা করে। কল্পবিজ্ঞানে তার নির্মিত জনপ্রিয় কাল্পনিক চরিত্র গোয়েন্দা ফেলুদা এবং প্রোফেসর শঙ্কু। সত্যজিৎ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯২ সালে ভারত সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ভারত রত্ন সম্মাননা প্রদান করে। সত্যজিৎ ভারত রত্ন এবং পদ্মভূষণসহ সকল মর্যাদাপূর্ণ ভারতীয় পুরস্কার লাভ করেছেন।  ২০০৪ সালে, বিবিসির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি তালিকায় সত্যজিৎ ১৩ তম স্থান লাভ করেছিলেন।হৃদযন্ত্রের জটিলতার কারণে ১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল সত্যজিৎ মৃত্যুবরণ করেন।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]