সায়েন্স ফিকশান সমগ্র ষষ্ঠ খণ্ড (হার্ডকভার)
সায়েন্স ফিকশান সমগ্র ষষ্ঠ খণ্ড (হার্ডকভার)
৳ ৬৫০   ৳ ৫৫৩
১৫% ছাড়
2 টি Stock এ আছে
Quantity  

১১৯৯ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

বাংলাদেশে বাংলা ভাষায় এখন সায়েন্স ফিকশান লিখছেন অনেকে। তাদের পুরােধা হলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল। বলতে গেলে এক হাতে সাহিত্যের এই ধারাটিকে বাংলাভাষায় গ্রহণযােগ্য এবং জনপ্রিয় করেছেন এই লেখক।
বিশ্বসাহিত্যের দিকে তাকালে দেখা যায়, আদিপর্ব থেকেই দুই ধরনের সায়েন্স ফিকশান লিখছেন লেখকরা। জুল ভেন ধারা এবং এইচ. জি. ওয়েলসের ধারা বলা যায়। জুল ভেন ধারার লেখকদের ফিকশানে বিজ্ঞান থাকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে। বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত থাকে। অন্যদিকে ওয়েলস ধারার ফিকশান লেখকরা বিজ্ঞানের ধার ধারেন না অতটা। বিজ্ঞানের মােড়কে এরা আসলে লেখেন লাগামছাড়া বিজ্ঞানভিত্তিক রূপকথা। সায়েন্স ফিকশান না, সায়েন্স ফ্যান্টাসি এসব। কমিক সুপার হিরােদের কাহিনির মতাে।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল নিজে বিজ্ঞানী, অধ্যাপক। আটঘাটের সুলুক সন্ধান রাখেন বিজ্ঞানের। সায়েন্স ফ্যান্টাসি না, তিনি লেখেন সায়েন্স ফিকশান । জুল ভেন ধারার লেখক বলা যায় তাঁকে। শুরু কপােট্রনিক সুখদুঃখ’ দিয়ে, ইতােমধ্যে প্রায় পঞ্চাশটির মতাে সায়েন্স ফিকশান তিনি লিখেছেন। মুদ্রণের পর মুদ্রণ হয় তাঁর বইয়ের। পাঠক, সব বয়সের মানুষ। সহজ এবং টানটান গদ্য। রােমাঞ্চকর বর্ণনাভঙ্গি। কল্পনা আর বিজ্ঞানকে একাকার করে দেওয়ার আশ্চর্য ক্ষমতা রাখেন এই লেখক। সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা যদি তাঁর কোনাে সায়েন্স ফিকশান পড়তেন, নিশ্চিত বলতেন, ‘আনপুটডাউনেবল! বাংলা ভাষাভাষী ফিকশান পাঠক অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন তার নতুন সায়েন্স ফিকশানের জন্য। বাংলা ভাষার আর কোনাে সায়েন্স। ফিকশান লেখকই তাঁর মতাে এতটা জনপ্রিয় হতে পারেননি।

Title : সায়েন্স ফিকশান সমগ্র ষষ্ঠ খণ্ড
Author : মুহম্মদ জাফর ইকবাল
Publisher : প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা
ISBN : 9789848795644
Edition : 2nd Print, 2019
Number of Pages : 623
Country : Bangladesh
Language : Bengali

বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরী পাঠকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি মূলত এ দেশের একজন বিখ্যাত লেখক, পদার্থবিদ এবং শিক্ষাবিদ। কিশোর সাহিত্য, শিশুতোষ গ্রন্থ, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, গণিত বিষয়ক বই এর জন্য খুব অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি। মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৯৫২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধা বাবা ফয়জুর রহমানের চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলাতেই তিনি পড়াশোনা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে পিএইচডি ডিগ্রী অজর্নের উদ্দেশ্যে স্কলারশিপ নিয়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে। পিএইচডি সম্পন্ন করে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে বিখ্যাত বেল কমিউনিকেশনস রিসার্চ ল্যাবেও গবেষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৪ সালে দেশে ফিরে এসে তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগ দেন। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর বই সবসময়ই এ দেশের কিশোর-কিশোরীদের কাছে বিশেষ আবেদন নিয়ে হাজির হয়েছে। কিশোর সাহিত্য, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ক অজস্র গ্রন্থ দিয়ে তিনি আলোকিত করে তুলেছেন এদেশের অগণিত কিশোর-কিশোরীর মনোজগত। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর বই সমূহ, যেমন- দীপু নাম্বার টু, আমার বন্ধু রাশেদ, আমি তপু, শান্তা পরিবার, দস্যি ক’জন ইত্যাদি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায়। তার বেশ কিছু গল্প পরবর্তীতে নাটক ও চলচ্চিত্র হিসেবে টিভি পর্দায় স্থান করে নিয়েছে। তিনি একজন বিশিষ্ট কলামিস্টও। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডও তাঁর ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর বই সমগ্র সকল বইপড়ুয়াকেই আকৃষ্ট করে। সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বহুবার পুরষ্কৃত হয়েছেন। বাংলা একাডেমি পুরষ্কার (২০০৪) এবং শ্রেষ্ঠ নাট্যকার হিসেবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার (২০০৫) সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, কাজী মাহবুবুল্লা জেবুন্নেছা পদক (২০০২), শেলটেক সাহিত্য পদক (২০০৩), ইউরো শিশুসাহিত্য পদকসহ (২০০৪) অগণিত পুরষ্কার অর্জন করেছেন গুণী এই সাহিত্যিক।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]