৳ ৪০০ ৳ ৩৪০
|
১৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
মুক্তি যুদ্ধে যুদ্ধ করেছে আমাদের ভূমিসংগ্ন মানুষ অসাধারণ ঋজুতা। নিয়ে। তাৱাই ছিল আমাদের সম্মুখ যুদ্ধের মূল নিয়ামক। যুদ্ধ করেছে আনসার, পুলিশ, ইপিআর, সেনাবাহিনী এবং ভ্রণ আকারের বিমান ও নৌ বাহিনী। বিমান বাহিনীতে ছিল তিনটি বিমান। তার মধ্যে কেবল দুটি বিমান- একটি ডানাযুক্ত ধীরগতির এবং একটি ছােট হেলিকপ্টার যুদ্ধে ব্যবহার করা গেছে। বড় কথা একাত্তরের ৩রা ডিসেম্বর রাত থেকে ১১ই ডিসেম্বর পর্যন্ত এই আট দিনে এ দুটি বিমান মােট ৪৬টি মিশন সম্পন্ন করে। প্রত্যেকটি যুদ্ধই ছিল অভিসম্ভাবী মৃত্যু ঝুঁকির । এ ধরণের ঝুঁকি কোনাে বৈমানিক নেবেন না। দেশের প্রতি বুকভরা ভালােবাসা নিয়েই এ ধরণের ঝুঁকি নেয়া সম্ভব। তিনটি বিমানে তিনজন করে নয় জন বৈমানিক ছিলেন। তাদের মধ্যে ছয় জন বীর উত্তম এবং তিন জন বীর প্রতীক বীরত্ব উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন ।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীই প্রথম বাংলাদেশের ভিতরে পাকিস্তানি অবস্থানের উপর আক্রমণ করে, ভারতীয় বিমান। বাহিনী নয় । বেসামরিক বিমানে সীমিত যুদ্ধ ক্ষমতা সংযােজন করে। অফুরান সীমাবদ্ধতা নিয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়েছে বিমান দুটি। এ বৈমানিকদের কীর্তি আমাদের বক্ষপুট স্ফীত করে দেয়। তাদের সাহস আর সাফল্যগাথা আমাদের অহংকারের উপাদান হয়ে থাকবে আজীবন। দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছরের গবেষণায় মেজর কামরুল হাসান ভূইয়া সে অনুপম গর্বের কাহিনী তুলে এনেছেন পরম মমতায় তার বই বিহঙ্গের ডানা-মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এ ।
Title | : | বিহঙ্গের ডানা (মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী) |
Author | : | মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়া |
Publisher | : | অনন্যা |
ISBN | : | 9847000800220 |
Edition | : | 2012 |
Number of Pages | : | 200 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়া জন্ম : ২৪ জুলাই ১৯৫২। ঝিনাইদহ ক্যাডেট টি কলেজে যখন তিনি এইচএসসি পরীক্ষার্থী, তখনই ডাক এল মুক্তি সংগ্রামে। যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধের ২ নম্বর সেক্টরে এক তরুণ গণযোদ্ধা হিসেবে। মুক্তিযুদ্ধের দুই কিংবদন্তি মেজর খালেদ মোশাররফ ও ক্যাপ্টেন হায়দারের সহযোদ্ধা হিসেবে পাশে পাশে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের হিরন্ময় দিনগুলিতে।একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের পাশাপাশি নিজেকে শাণিত করেছেন স্বদেশপ্রেমের এক প্রগাঢ় চেতনায়। বাহাত্তরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নির্বাচিত হলেও বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি প্রতিষ্ঠায় বিলম্বের কারণে চুয়াত্তরের ৯ জানুয়ারি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং পচাত্তরের ১১ জানুয়ারি সেনাবাহিনীতে জিড় ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট-এ কমিশনপ্রাপ্ত হন। ১৯৮৩ সালে বেইজিং ল্যাংগুয়েজ এন্ড কালচার ইউনিভার্সিটি থেকে চীনা ভাষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি । লাভ করেন। তারপর ১২ জুলাই ১৯৯৬ সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়ার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন-এ যেমন উচ্চ শাঘার, একমাত্র পুত্র শিশু সাবিতের মৃত্যু তেমনি তার হৃদয়ের গভীরতম ক্ষত। তবুও এ ক্ষত নিয়ে, এই বিক্ষত সময়ে তিনি সবুজআদৃত এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন।
If you found any incorrect information please report us