
৳ ১৫০ ৳ ১১৩
|
২৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER





বাংলাদেশে ৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদানকারী মুজিবনগর সরকারের আমল থেকে। বঙ্গবন্ধু তাদের বিচার আরম্ভও করেছিলেন, যা জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বন্ধ করে দেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং তাদের মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের দাবিতে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আন্দোলন করছে ১৯৯২ থেকে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা-ছাত্র-যুব-নারী সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ এই আন্দোলনকে বেগবান করেছে। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অন্যতম অঙ্গীকার ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। মহাজোটের অভূতপূর্ব বিজয় ছিল এই বিচারের প্রতি বিপুল সংখ্যক তরুণ নির্বাচকমণ্ডলীর সমর্থন। ২০১০ সালের ২৫ মার্চ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য মহাজোট সরকার ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল গঠন করেছে। এই ট্রাইবুনাল গঠনের আগে থেকেই জামায়াত এবং তাদের সহযোগীরা বিচার বানচাল করার জন্য দেশে ও বিদেশে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে। এসব কাজের জন্য তারা কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা ও ব্যক্তিকে ভাড়াও করেছে। তাদের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ৭৩-এর আইন। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর সরকারের সাধারণ ক্ষমা, এত বছর পর বিচারের যৌক্তিকতা, ট্রাইবুনালের কার্যবিধি প্রভৃতি বিষয়েও তারা মিথ্যা ও বিভ্রান্তমূলক প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে। তাদের এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সরকার শক্ত অবস্থান গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। কখনও সরকারের নীতিনির্ধারকরাও বিচারের ধরন ও পদ্ধতি সম্পর্কে বিভ্রান্তমূলক মন্তব্য করছেন। যার ফলে দেশে ও বিদেশে অনেকে এই বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছেন।
Title | : | যুদ্ধাপরাধীদের বিচার: বিভ্রান্তি ও চক্রান্ত |
Author | : | শাহরিয়ার কবির |
Publisher | : | অনন্যা |
ISBN | : | 9847010504330 |
Edition | : | 2011 |
Number of Pages | : | 104 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
শাহরিয়ার কবির বাংলাদেশের একজন খ্যাতিনামা লেখক, সাংবাদিক, ডকুমেন্টরী চলচ্চিত্র নির্মাতা। ১৯৫০ খ্রীস্টাব্দের ২০ নভেম্বর তিনি ফেনীতে জন্মগ্রহণ করেন। লেখক হিসাবে তার প্রধান পরিচয় তিনি একজন শিশুসাহিত্যিক। তার নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রের মধ্যে জিহাদের প্রতিকৃতি অন্যতম।১৯৯২ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিপক্ষ শক্তির বিরূদ্ধে কাজ করে চলেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করে শাহরিয়ার কবির ১৯৭২ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় সাংবাদিক হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৯২ সাল পর্যন্ত নির্বাহী সম্পাদক পদে থাকেন। তিনি একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এর সাথে যুক্ত আছেন। শাহরিয়ার কবির বলেনঃ“ মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ধ্বংস করা যায় না। বাংলাদেশে অধিকাংশ সময় নেতৃত্ব দিয়েছে ৭১’র পরাজিত শক্তি। তারা মুক্তিযুদ্ধের সব কিছু ধ্বংস করতে চেয়েছে কিন্তু পারেনি। তিনি বলেন, দেশের মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়। মহাজোট সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করেছে। আমরা বিশ্বাস করি ২০১৩ সালের মধ্যে শীর্ষ স্থানীয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব হবে।
If you found any incorrect information please report us