মাসুদ রানা ২২৩+২২৪ : কালো ছায়া (১ম ও ২য় খণ্ড) (পেপারব্যাক)
মাসুদ রানা ২২৩+২২৪ : কালো ছায়া (১ম ও ২য় খণ্ড) (পেপারব্যাক)
৳ ৭৬   ৳ ৬৮
১১% ছাড়
এই বইটি আর প্রকাশিত বা ছাপা হবে না বলে প্রকাশনী থেকে আমাদের জানানো হয়েছে।

৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

একাডেমিক বইয়ে প্রতি ১০০০ টাকার অর্ডারে একটি করে খাতা ফ্রি ও ডেলিভারি ফ্রি

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

"মাসুদ রানা : কালো ছায়া (২ খণ্ড একত্রে)"বইটির প্রথমের কিছু অংশ:

গাছটার ডালে পড়ে আছে চিতাবাঘ, সম্পূর্ণ স্থির।
খানিক আগে যখন হরিণের পালটা তার দৃষ্টিসীমার ভেতর এল, আড়ষ্ট হয়ে উঠেছিল লেজ, লেজের ডগা আগুপিছু করছিল-ধীর লয়ে, নিঃশব্দে, সাবলীল একটা ছন্দে। এখন একদম কোন নড়াচড়া নেই, এমনকি নিঃশ্বাস ফেলার সময় বুকের পেশীও ফুলছে না।
ঘাস খেতে খেতে গােটা প্যান-এর ওপর ছড়িয়ে পড়েছে পালটা, আকৃতি পেয়েছে নিখুঁত আধখানা চাদ। গাছগুলােকে ঘিরে থাকা নিচু ঝােপের কাছাকাছি পৌছুল ওগুলাে, তারপর কয়েক ভাগে সামনে এগােল।।
এক কিশাের হরিণ, বাকি সবার চেয়ে এগিয়ে আছে, রাতের আকাশ চিরে ছুটে আসা পেঁচার ডাক শুনে আড়ষ্ট ভঙ্গিতে থমকে দাঁড়াল। জ্বলজ্বলে তারাগুলাের দিকে উড়ে গেল পেঁচাটা। এক মুহূর্ত শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকল কিশাের হরিণ, ফুলে উঠেছে নাকের ফুটো, দৌড় দেয়ার প্রস্তুতিতে পায়ের পেশী কাঁপছে। পেঁচার ছায়া অদৃশ্য হয়ে গেল, মাথা নামিয়ে কাটা-ঝােপের দিকে এগােল কিশাের। ঝােপের আড়ালে ঘাসগুলাে কালাহারির সূর্যকে ফাঁকি দিয়ে। বেড়ে উঠেছে, এখনও তাজা ও সবুজ, খেতে মিষ্টি আর রসাল লাগে। | এক মহর্ত পর গাছপালার ফাকে তারার আলােয় আরেকটা ছায়া দেখতে পেল সে। বিশাল একটা কালাে ছায়া, এত দ্রুতবেগে ছুটে এল যে মাথাটা ভাল করে তােলার সময়ও পেল না। কোন শব্দ হয়নি। সামান্য একটু আলােড়ন উঠল বাতাসে। হাড়, পেশী, থাবা আর দাত মিলিয়ে দুশাে পাউণ্ড, পাতার ভেতর থেকে ছুটে এসে তার ঘাড়ে পড়ল। চিতাবাঘের নখরগুলাে কিশাের হরিণের পিঠে সেঁধিয়ে গেল। চোয়াল দুটো খুঁজে নিল সরু গলা, ছিড়ে ফেলল এক কামড়ে। ইতিমধ্যে হরিণটার মেরুদণ্ড, উরুর হাড় আর ঘাড় ভেঙে চুরমার হয়ে। গেছে! | শব্দগুলাে হলাে মৃদু, ভোতা-শীতকালের শক্ত মাটিতে ধরাশায়ী হলাে হরিণ, শুকনাে শক্ত ঘাস খসখস করল, ঘাড়ের শিরা থেকে কলকল শব্দে বেরিয়ে এল রক্ত-তবে যত মৃদুই হােক, প্যান-এর সমস্ত প্রাণীকে সতর্ক করে দেয়ার। জন্যে যথেষ্ট। প্রিঙ বাক হরিণের পালটা চোখের পলকে ঘুরে গেল, তীরবেগে ছুটল ঘাসের ওপর দিয়ে। ওগুলাের সামনে রয়েছে আরেক প্রজাতির হরিণ, মাথার আকৃতি ষাঁড়ের মত, লেজের ডগায় নরম এক গােছা চুল, তারা ছুটল ছােট ছােট লাফে। কয়েকটা জেব্রা দিশেহারা হয়ে চক্কর দিতে শুরু করল।

Title : মাসুদ রানা ২২৩+২২৪ : কালো ছায়া (১ম ও ২য় খণ্ড)
Author : কাজী আনোয়ার হোসেন
Publisher : সেবা প্রকাশনী
ISBN : 9841672235
Edition : 2014
Number of Pages : 216
Country : Bangladesh
Language : Bengali

বাংলাদেশের পাঠকদের কাছে রহস্য-রোমাঞ্চ গল্পের সাহিত্যধারাকে প্রায় একা হাতে জনপ্রিয় করে তুলেছেন যে মানুষটি তিনি কাজী আনোয়ার হোসেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত সেবা প্রকাশনীর মাধ্যমেই তৈরি হয়েছে এই সাহিত্যধারার বিশাল পাঠকশ্রেণী। বিদ্যুৎ রায় এবং শামসুদ্দিন নওয়াব ছদ্মনামে লিখেছেন অসংখ্য গল্প। পাঠকদের কাছে পরিচিত প্রিয় কাজীদা নামে। প্রখ্যাত গণিতবিদ ও সাহিত্যিক বাবা কাজী মোতাহের হোসেন ও মা সাজেদা খাতুনের ঘরে ১৯৩৬ সালের ১৯ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন কাজী আনোয়ার হোসেন। পরিবারের সঙ্গীতচর্চার ধারাবাহিকতায় প্রথমে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও ১৯৬৩ সালে বাবার দেওয়া টাকায় সেগুনবাগিচায় প্রেসের যাত্রা শুরু করেন। পরবর্তীতে সেই প্রেস থেকেই নিজের সম্পাদনায় পেপারব্যাকে সৃষ্টি করেছেন কুয়াশা, মাসুদ রানা, তিন গোয়েন্দার মতো চিরতরুণ চরিত্রগুলোর। কাজী আনোয়ার হোসেন এর বই ‘কুয়াশা’ সিরিজের মাধ্যমেই মূলত রহস্যধারার বই প্রকাশ শুরু সেবা প্রকাশনীর। এরপর এক বন্ধুর প্রকাশিত জেমস বন্ডের ‘ডক্টর নো’ পড়ে ঠিক করেন বাংলাতেই লিখবেন এই মানের থ্রিলার। সালটা ১৯৬৫, মোটর সাইকেল নিয়ে ঘুরে এলেন চট্টগ্রাম, কাপ্তাই ও রাঙামাটি। সাত মাস সময় নিয়ে লিখলেন মাসুদ রানা সিরিজের প্রথম গল্প ‘ধ্বংস পাহাড়’। এই সিরিজের কাজী আনোয়ার হোসেনের বই সমূহ এর মধ্যে প্রথম তিনটি বাদ দিলে বাকিসবগুলোই লেখা হয়েছে বিদেশি গল্পের ছায়া অবলম্বনে। কাজী আনোয়ার হোসেন এর বই সমগ্র রহস্য-রোমাঞ্চ সাহিত্যের যে পিপাসা পাঠকের মনে তৈরি করেছে তা মেটাতে সাড়ে চারশোরও বেশি মাসুদ রানার বই প্রকাশ করতে হয়েছে সেবা প্রকাশনীকে, যার ধারাবাহিকতা আজও চলমান। ১৯ জানুয়ারি, ২০২২ সালে ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]