৳ ৭০০ ৳ ৫৯৫
|
১৫% ছাড়
|
Quantity |
|
১১৯৯ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
৫০% ছাড়ে অর্ডার করুন 'তথ্য সাময়িকী ৪৬তম বিসিএস বিশেষ সংখ্যা' ও 'বিসিএস প্রিলিমিনারি মডেল টেস্ট'
কপােট্রনিক সুখদুঃখ, মহাকাশে মহাত্রাস, ক্রুগাে, ট্রাইটন একটি গ্রহের নাম, বিজ্ঞানী সফদর আলীর মহা মহা আবিষ্কার, ওমিক্রনিক রূপান্তর, টুকুনজিল, যারা বায়ােবট
কী আছে তারপর? বাতাস আর আকাশের অন্তহীন মাখামাখির মহাশূন্যতার বিশালত্বে থমকে যেতে হয়। বিজ্ঞানও একসময় তথ্য প্রমাণ ও যুক্তির সীমারেখা টেনে থেমে যায়। তারপর? তারপর কী? প্রশ্ন উচ্চারিত হয়। জিজ্ঞাসা তীব্রতর হয়। কল্পনাকে বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত করে উত্তর খোঁজার চেষ্টা চলে। কল্পবিজ্ঞান' শব্দটি সম্ভবত এভাবে চালু হয়ে যায়। ইংরেজি সায়েন্স ফিকশানের অনুসতি হিসেবে প্রচলিত হলেও বাংলায় কল্পবিজ্ঞান আজ সুপরিচিত। আশ্চর্য হলেও সত্য যে বাংলা কল্পবিজ্ঞান রচনার সূচনা ১৮৯৬ সালে। আর প্রথম কল্পবিজ্ঞান রচনা হিসেবে স্বীকৃত গ্রন্থটি ইয়ােরােপে প্রকাশিত হয় ১৮১৮ সালে। রচয়িতা মেরী শেলী, বইটির নাম ফ্রাঙ্কেনস্টাইন। তারপর আসেন জুল ভের্ন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এইচ জি ওয়েলস বিজ্ঞানের তত্ত্ব ও তথ্যকে কাজে লাগিয়ে কল্পবিজ্ঞান রচনায় স্থায়ী আসন করে নেন। আর বাংলায় কল্পবিজ্ঞান গল্পের সূচনা করেন এক জাত-বিজ্ঞানী, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু। ১৮৯৬ সালে প্রকাশিত, গল্পটির নাম ‘পলাতক তুফান। বয়সে প্রবীণ হলেও বাংলা ভাষায় কল্পবিজ্ঞান রচনার তেমন জোয়ার ছিল না। একসময় এই ধারাটি অনেকটা অগােচরেই চলে যায়। বরং কল্পবিজ্ঞানের নামে রচিত হয় কিছু কিছু আজগুবি কাহিনী। শুধু বাংলায় নয়, অপরাপর ভাষায় রচিত আজগুবি কিংবা অভিযানমূলক রচনাকে এক সময় আখ্যায়িত করা হয়েছে কল্পবিজ্ঞানের নামে। এমতাবস্থায় কল্পবিজ্ঞানকে পুনরুদ্ধার করেন জন উড ক্যাম্পবেল । এই উদ্ধারকর্মের প্রধান শর্ত হল, কল্পবিজ্ঞান কাহিনীতে বিজ্ঞানের নিয়ন্ত্রণী ভূমিকা থাকতে হবে–পরােক্ষে বা প্রত্যক্ষভাবে।। আর এই ধারারই লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। কারণ তিনি নিজেই। বলেন, “বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লিখতে গিয়ে আমি তাই সজ্ঞানে কখনাে বিজ্ঞানের কোনাে তথ্যকে অবমাননা করি নি।” তাঁর এই গভীর ও সজ্ঞান বিশ্বাসের পরিচয় রয়েছে প্রথম থেকে সাম্প্রতিক রচনায়। বিজ্ঞানকে সামনে রেখেই তিনি রচনা করেছেন এমন একেকটি জগতের কথা, সম্ভাবনার কথা, যা বাংলা সাহিত্যে বিস্ময়কর। তাঁর লেখালেখির জগৎ বহুমাত্রিক ও বিচিত্র। কিশাের-সাহিত্য রচনায় তিনি সিদ্ধহস্ত, জনপ্রিয় লেখকদের অন্যতম। তিনি এমন এক লেখক যার গ্রন্থ পাঠক খুঁজে খুঁজে ঘরে নিয়ে যায়। আর তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ, কল্পবিজ্ঞান : কপােট্রনিক সুখদুঃখ’ । তারপর তিনি অনবরত লিখে গেছেন কল্পবিজ্ঞান কাহিনী, যা বিচিত্র ও রােমাঞ্চকর। আমাদেরকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন ভিন্ন এক পরিমণ্ডলের সঙ্গে, যা কার্যত মহাবিশ্বের অংশ কিন্তু আমাদের অজ্ঞাত। মুহম্মদ জাফর ইকবাল মূলত বিজ্ঞানী। তিনি যখনই যা লিখেছেন, বৈজ্ঞানিক যুক্তিকে সামনে রেখে । শুদ্ধতায় বিশ্বাসী। তাঁর রচনা পাঠে পাঠক শুদ্ধ হয়। সাদামাটা আধপাগলা বিজ্ঞানী সফদর আলীকে ভালবাসেন, পাশ্চাত্যের বস্তুবাদী মানুষ তার অপছন্দ। বিশ্বে অনিয়ন্ত্রিত ও অপ্রয়ােজনীয় প্রযুক্তি ব্যবহারে তিনি শঙ্কিত।
Title | : | সায়েন্স ফিকশান সমগ্র (প্রথম খণ্ড) |
Author | : | মুহম্মদ জাফর ইকবাল |
Publisher | : | প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা |
ISBN | : | 9844460077 |
Edition | : | 28th Print, 2024 |
Number of Pages | : | 587 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরী পাঠকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি মূলত এ দেশের একজন বিখ্যাত লেখক, পদার্থবিদ এবং শিক্ষাবিদ। কিশোর সাহিত্য, শিশুতোষ গ্রন্থ, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, গণিত বিষয়ক বই এর জন্য খুব অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি। মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৯৫২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধা বাবা ফয়জুর রহমানের চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলাতেই তিনি পড়াশোনা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে পিএইচডি ডিগ্রী অজর্নের উদ্দেশ্যে স্কলারশিপ নিয়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে। পিএইচডি সম্পন্ন করে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে বিখ্যাত বেল কমিউনিকেশনস রিসার্চ ল্যাবেও গবেষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৪ সালে দেশে ফিরে এসে তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগ দেন। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর বই সবসময়ই এ দেশের কিশোর-কিশোরীদের কাছে বিশেষ আবেদন নিয়ে হাজির হয়েছে। কিশোর সাহিত্য, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ক অজস্র গ্রন্থ দিয়ে তিনি আলোকিত করে তুলেছেন এদেশের অগণিত কিশোর-কিশোরীর মনোজগত। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর বই সমূহ, যেমন- দীপু নাম্বার টু, আমার বন্ধু রাশেদ, আমি তপু, শান্তা পরিবার, দস্যি ক’জন ইত্যাদি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায়। তার বেশ কিছু গল্প পরবর্তীতে নাটক ও চলচ্চিত্র হিসেবে টিভি পর্দায় স্থান করে নিয়েছে। তিনি একজন বিশিষ্ট কলামিস্টও। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডও তাঁর ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর বই সমগ্র সকল বইপড়ুয়াকেই আকৃষ্ট করে। সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বহুবার পুরষ্কৃত হয়েছেন। বাংলা একাডেমি পুরষ্কার (২০০৪) এবং শ্রেষ্ঠ নাট্যকার হিসেবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার (২০০৫) সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, কাজী মাহবুবুল্লা জেবুন্নেছা পদক (২০০২), শেলটেক সাহিত্য পদক (২০০৩), ইউরো শিশুসাহিত্য পদকসহ (২০০৪) অগণিত পুরষ্কার অর্জন করেছেন গুণী এই সাহিত্যিক।
If you found any incorrect information please report us