৳ ১৪০ ৳ ১২৩
|
১২% ছাড়
|
Quantity |
|
১১৯৯ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
৫০% ছাড়ে অর্ডার করুন 'তথ্য সাময়িকী ৪৬তম বিসিএস বিশেষ সংখ্যা' ও 'বিসিএস প্রিলিমিনারি মডেল টেস্ট'
আমি যখন তোমাদের মত ছোট ছিলাম তখন আমার খুব বিজ্ঞানের পরীক্ষা করার সখ ছিল। লাইব্রেরী থেকে মোটা মোটা বই এনে দিন রাত লেগে থাকতাম। দুদিন পরে পরে ঘরের কোনায় টেবিলের নীচে ল্যবরেটরী দাড়া হত, ভয়ংকর সব এক্সপেরিমেন্ট হত সেখানে। অনেক এক্সপেরিমেন্ট আবার করা যেতো না কারণ বেশীরভাগ বই হত বিদেশী আর সেখানে এমন সব জিনিষের কথা লেখা থাকত যেগুলি আমার মত একজ ছোট ছেলের পক্ষে জোগাড় করা ছিল অসম্ভব। একটা নোট বইয়ে আমি সবগুলি টুকে রাখতাম যে বড় হয়ে সেসবগুলি করব। মনে মনে একটু ভয় ছিল যে বড় হওয়ার পর বুঝি গম্ভীর হয়ে শুধু বড় বড় জিনিষপত্র করতে হবে, এই সব ছোট খাট ছেলেমানুষী এক্সপেরিমেন্ট করার আর সব বা সময় থাকবে না। তারপর কতদিন কেটে গেছে, সেই নোটবুক কোথায় হারিয়ে গেছে, কিন্তু সবচেয়ে আনন্দের ব্যাপার হল যে বড় হয়েও আমার সেই সখ কমে নি, সময়েরও অভাব হয় না, এখনো আমি ঘন্টার পর ঘন্টা এসব ব্যাপারে কাটিয়ে দিই! এই সেদিন নিউ জাসীর বাচ্চাদের একটা স্কুল আমাকে ডেকে পাঠিয়েছিল এরকম কিছু এক্সপেরিমেন্ট করে দেখাতে। এক্সপেরিমেন্ট গুলি দেখে স্কুলে সাত আট বছরের বাচ্চাদের সে কি আনন্দ না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না! একটি বাচ্চা আমাকে চিঠি লিখে জিজ্ঞেস করল, আমি কি কোন এক ছুটির দিনে এসে ভয়ংকর একটা বিস্ফোরণ ঘুটয়ে পুরো স্কুলটা উড়িয়ে দিতে পারব কি না, স্কুল তার একেবারে ভাল লাগে না! বাচ্চাদের এই আনন্দ দেখে আমার ছাড়া করাতে যেন তোমাদের মত বাচ্চারা সেগুলি আমার করতে পারে। বেছে বেছে একশটা পরীক্ষা এখানে দেয়া হয়েছে যেগুলি করতে বেশী কিছু লাগে না হাতের কাছে যা আছে তাই দিয়ে করা যায়। পরীক্ষাগুলিকে আলো, বাতাস, তাপ, শক্তি এরকম কিছু ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু সেগুলি এমন কিছু চুলচেড়া ভাগ নয়। সবগুলি যে খাটি বিজ্ঞানের পরীক্ষা তাও সত্যি নয়, কিন্তু সেগুলি যে মজার তাতে কোন সন্দেহ নেই। কয়েকটা পরীক্ষা করার জন্যে পরিশিষ্টে কয়েকটা ছবি নবা নকসা এঁকে দেয়া হয়েছে। কেটে নেয়ার পরেও যেন বইয়ে একটু করে থেকে যায় সেজন্যে দুবার করে দেয়া হয়েছে। কয়েকটা এক্সপেরিমেন্ট করার জন্য মোমবাতির আগুন দরকার, সেগুলিতে সাবধান। হাতে পায়ে একটু গরম ছ্যাকা লাগলে ক্ষতি নেই কেন্তু বাড়ী ঘর যেন জ্বালিয়ে দিও না যেন! সবগুলি এক্সপেরিমেন্ট আমি নানাভাবে করে দেখেছি, সেগুলি কাজ করে তাতে কোন সন্দেহ নেই, তোমাদের শুধু ধৈর্য্য করে চেষ্টা করতে হবে। ইচ্ছে করে এই বইয়ে স্থির বিদ্যুতের অনেক মজার মজার পরীক্ষা দেয়া হয় নি, আমাদের দেশের বাতাসে জলীয় বাষ্প এত বেশী যে স্থির বিদ্যুতের পরীক্ষা করার জন্যে সেটাকে দীর্ঘ সময় ধরে রাখা যায় না। চুম্বক বা বরফের মজার পরীক্ষাগুলিও সে কারণে বলতে গেলে দেয়াই হয় নি, সবার কাছে সেগুলি সহজ লভ্য নাও হতে পারে। পরীক্ষাগুলি কেন কাজ করে তার পিছনে বিজ্ঞানটুকু প্রায় সব জায়গাতেই বলে দেয়া আছে। এক দুই জায়গায় অবশ্যি তোমাদের উপরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে, সেটা ইচ্ছে করেই এই বইয়ের এক্সপেরিমেন্টিগুলির কিছু কিছু কয়েক হাজার বছরের পুরানো। বেশীরভাগ নানা রকম বইপত্র থেকে নেয়া। কিছু কিছু বইপত্র থেকে নিয়ে আমি নিজের মত করে দাড়া করিয়ে নিয়েছি। কয়েকটা পরীক্ষা আমার নিজের। এগুলি চেষ্টা করে তোমাদের কারো কারো বিজ্ঞানে উৎসাহ হবে, বড় হয়ে তোমরা বিজ্ঞানী ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার হবে, আর কিছু না হলে অন্তত পক্ষে বিজ্ঞানীদের মত চিন্তা ভাবনা করবে সেটাই আমার একমাত্র ইচ্ছে-তার বেশী কিছু নয়। --- মুহম্মদ জাফর ইকবাল
Title | : | বিজ্ঞানের একশ মজার খেলা |
Author | : | মুহম্মদ জাফর ইকবাল |
Publisher | : | জ্ঞানকোষ প্রকাশনী |
ISBN | : | 9847027700428 |
Edition | : | Re-Print, 2023 |
Number of Pages | : | 70 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরী পাঠকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি মূলত এ দেশের একজন বিখ্যাত লেখক, পদার্থবিদ এবং শিক্ষাবিদ। কিশোর সাহিত্য, শিশুতোষ গ্রন্থ, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, গণিত বিষয়ক বই এর জন্য খুব অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি। মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৯৫২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধা বাবা ফয়জুর রহমানের চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলাতেই তিনি পড়াশোনা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে পিএইচডি ডিগ্রী অজর্নের উদ্দেশ্যে স্কলারশিপ নিয়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে। পিএইচডি সম্পন্ন করে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে বিখ্যাত বেল কমিউনিকেশনস রিসার্চ ল্যাবেও গবেষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৪ সালে দেশে ফিরে এসে তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগ দেন। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর বই সবসময়ই এ দেশের কিশোর-কিশোরীদের কাছে বিশেষ আবেদন নিয়ে হাজির হয়েছে। কিশোর সাহিত্য, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ক অজস্র গ্রন্থ দিয়ে তিনি আলোকিত করে তুলেছেন এদেশের অগণিত কিশোর-কিশোরীর মনোজগত। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর বই সমূহ, যেমন- দীপু নাম্বার টু, আমার বন্ধু রাশেদ, আমি তপু, শান্তা পরিবার, দস্যি ক’জন ইত্যাদি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায়। তার বেশ কিছু গল্প পরবর্তীতে নাটক ও চলচ্চিত্র হিসেবে টিভি পর্দায় স্থান করে নিয়েছে। তিনি একজন বিশিষ্ট কলামিস্টও। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডও তাঁর ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর বই সমগ্র সকল বইপড়ুয়াকেই আকৃষ্ট করে। সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বহুবার পুরষ্কৃত হয়েছেন। বাংলা একাডেমি পুরষ্কার (২০০৪) এবং শ্রেষ্ঠ নাট্যকার হিসেবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার (২০০৫) সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, কাজী মাহবুবুল্লা জেবুন্নেছা পদক (২০০২), শেলটেক সাহিত্য পদক (২০০৩), ইউরো শিশুসাহিত্য পদকসহ (২০০৪) অগণিত পুরষ্কার অর্জন করেছেন গুণী এই সাহিত্যিক।
If you found any incorrect information please report us