৳ ১৭৭০ ৳ ১১৫০
|
৩৫% ছাড়
|
Quantity |
|
১১৯৯ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
৫০% ছাড়ে অর্ডার করুন 'তথ্য সাময়িকী ৪৬তম বিসিএস বিশেষ সংখ্যা' ও 'বিসিএস প্রিলিমিনারি মডেল টেস্ট'
প্যাকেজ বিবরণ
SL | Product | Name | Category | MRP | Discount | Sale Price | |
---|---|---|---|---|---|---|---|
1 | আম আঁটির ভেঁপু | শিশু-কিশোর উপন্যাস | 240 Tk | 15 % | 204 Tk | ||
2 | আরণ্যক | চিরায়ত উপন্যাস | 300 Tk | 15 % | 255 Tk | ||
3 | চাঁদের পাহাড় | শিশু-কিশোর গল্প | 220 Tk | 15 % | 187 Tk | ||
4 | অপরাজিত | চিরায়ত উপন্যাস | 320 Tk | 15 % | 272 Tk | ||
5 | পথের পাঁচালী | চিরায়ত উপন্যাস | 270 Tk | 15 % | 230 Tk | ||
6 | ভয় সমগ্র | ভৌতিক অ্যাডভেঞ্চার | 550 Tk | 30 % | 385 Tk | ||
আলাদাভাবে সর্বমোট মূল্য | 1900 Tk | 19 % | 1533 Tk | ||||
(-) বান্ডল ডিসকাউন্ট | 383 Tk | ||||||
অফার মূল্য | 35% | 1150 Tk |
আম আঁটির ভেঁপু:
১৯২৮ সালে একটি পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল পথের পাঁচালী। পরের বছর সেটি প্রকাশিত হয় বই আকারে। মূলত, উপন্যাসটি বড়দের জন্য লিখেছিলেন বিভূতিভূষণ। কিন্তু ছোটদের মধ্যে বইটির চাহিদা লক্ষ করে একসময় একে কিশোর-উপযোগী এবং কিছুটা সংক্ষেপিত করেন লেখক৷ কিশোরদের জন্য প্রকাশিত বইটির নামই 'আম আঁটির ভেঁপু'। এই উপন্যাসের মূল চরিত্র অপু নামের এক গ্রাম্য বালক। শহর ছাড়িয়ে বহুদূরের প্রত্যন্ত এক গ্রাম নিশ্চিন্দিপুর। অপুর দিদি দুর্গা তার খেলার সাথি। গ্রামের সহজ-সরল পরিবেশে আর অতি দরিদ্র পরিবারে বেড়ে উঠতে থাকে দুই ভাইবোন। অজানাকে জানার সহজাত নেশা তাদের। তাই মায়ের শাসন-বারণ উপেক্ষা করেও দুরন্ত দুর্গার হাত ধরে সে প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যেতে থাকে। দিদির সঙ্গে ঝড়ের দিনে আম কুড়োনো, হইচই, চড়ুইভাতি, শরতের কাশবনের দীর্ঘ মাঠ পেরিয়ে রেলগাড়ি দেখা—এ রকম নানা অ্যাডভেঞ্চারের তার একমাত্র সাথি দিদি দুর্গা।
পথের পাঁচালী:
পথের পাঁচালী প্রখ্যাত সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত বিখ্যাত উপন্যাস। ১৯২৮ সালে একটি পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। গ্রাম বাংলার দুই ভাইবোন অপু আর দুর্গা এই উপন্যাসের মুখ্য চরিত্র। শিশু অপুর বড় হয়ে ওঠার কাহিনী, যে পথ দিয়ে জীবনে সে অগ্রসর হয়েছে। যে সব মানুষের সংস্পর্শে সে এসেছে, সে সবই এই কাহিনীর পটভূমি। এই উপন্যাসের ছোটোদের সংস্করণটির নাম 'আম আঁটির ভেঁপু। পরবর্তীকালে বিখ্যাত বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় এই উপন্যাসটি অবলম্বনে পথের পাঁচালী চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন যা পৃথিবী-বিখ্যাত হয়।
আরণ্যক:
আরণ্যক বিভূতিভূষণের অন্যতম উল্লেখযোগ্য রচনা। এটি তাঁর চতুর্থ উপন্যাস যা ১৯৩৯ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিহারে তার কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে উপন্যাসটি রচনা করেন। মূল বাংলা ছাড়াও আরণ্যক সাহিত্য আকাদেমির প্রচেষ্টায় ভারতের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত করা হয়েছে। যেমন, ওড়িয়া, তেলুগু, গুজরাটি, মারাঠী, মালয়ালম, পাঞ্জাবী এবং হিন্দি। উপন্যাসের নায়ক সত্যচরণ নামে এক যুবকের পনেরো-ষোলো বছর পূর্বের স্মৃতিচারণে গড়ে উঠেছে এর কাহিনী। পথের পাঁচালী' রচনার সময় অর্থাৎ ১৯২৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভাগলপুরে থাকাকালীন তিনি 'আরণ্যক' লেখার পরিকল্পনা করেন। ঐ সময় বছর চারেক পাথুরিয়িঘাটা এস্টেটের সহকারী ম্যানেজার হিসাবে ইসমাইলপুর এবং আজমাবাদের অরণ্য-পরিবেশে থাকার ফলে আজন্ম প্রকৃতির পূজারী বিভূতিভূষণ অরণ্যের নানা বিষয়ে পর্যবক্ষেণ করেন। তার প্রকৃতি প্রেম আরও প্রগাঢ় হয়। তাঁর এই দিনলিপির কিছু উদ্ধৃতির সাথে 'আরণ্যক' উপন্যাসের ভাবগত আশ্চর্য সাদৃশ্য পাওয়া যায়।
অপরাজিত:
অপরাজিত বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত দ্বিতীয় উপন্যাস। উপন্যাসের দৈর্ঘ্যের কারণে এটি দু খণ্ডে প্রকাশিত হয়। প্রথম ভাগের প্রকাশকাল এপ্রিল ১৯৩২ ও দ্বিতীয় ভাগের প্রকাশকাল মে ১৯৩২। পরবর্তীতে উপন্যাসটি খণ্ডের জায়গায় এক খণ্ডে মুদ্রিত হয়। ‘পথের পাঁচালী’ র অপু-কাহিনীরই পরবর্তী অংশ ‘অপরাজিত’। অনেক সময়ই দেখা যায়, একটি উপন্যাসের দ্বিতীয় পর্ব প্রথম পর্বকে মান বা জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে ছাপিয়ে যেতে পারে না। তবে অপরাজিত এদিক দিয়ে ব্যতিক্রম। 'পথের পাঁচালি'-এর পরের পর্ব হিসেবে প্রকাশিত হওয়া এই উপন্যাসে বিভূতি তার পাঠকদের অপুর চোখ দিয়ে কৌতূহল, বিস্ময় ও বোধশক্তির এক আশ্চর্য জগত খুলে দিয়েছিলেন। অজানার প্রতি অপুর যে দুর্বার আকর্ষণ, তা ফুটিয়ে তুলতে পুরোপুরি সফল হয়েছেন।
চাঁদের পাহাড়:
চাঁদের পাহাড় এক বাঙালি অভিযাত্রিকের গল্প। যার রয়েছে এডভেঞ্চার ও অজানাকে জানার দুর্দমনীয় নেশা। শঙ্কর রায় চৌধুরী এই গল্পের নায়ক। গ্র্যাজুয়েশন করার পর পাটকলে চাকরি পেলেও তার মন রোমাঞ্চ খোঁজে। অবশেষে আফ্রিকায় কাজ করা তার গ্রামের এক অধিবাসীর সহায়তায় সে আফ্রিকায় ক্লার্ক হিসেবে কাজ পায় এবং পরে উগান্ডা রেলওয়েতে চাকরি শুরু করে। এখানেই তার দেখা হয় পর্তুগিজ অভিযাত্রিক ও স্বর্ণসন্ধানী ডিয়েগো আলভারেজ-এর সাথে। আলভারেজ তাকে অদ্ভুত এক ঘটনা বলে। সে এবং তার সঙ্গী জিম কার্টার পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরক খনির সন্ধান পেয়েছিল। কিন্তু সেই খনি পাহারা দেয় এক ভয়ংকর জন্তু-বুনিপ। বুনিপ জিমকে মেরে ফেলে এবং আলভারেজ কোনোমতে পালিয়ে আসে। শংকর এই গল্প শোনার পর সিদ্ধান্ত নেয়, সে রওনা হবে চাঁদের পাহাড় অভিমুখে। খুঁজে বের করবে হিরার খনি। শংকরের এই রোমাঞ্চকর অভিযান নিয়েই কালজয়ী কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের অমর সৃষ্টি- চাঁদের পাহাড়।
ভয় সমগ্র:
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন ভূতে বিশ্বাসী মানুষ। নিজেও তন্ত্রসাধনা করতেন বলে শোনা যায়। সেজন্যই হয়তো তার সৃষ্ট অমর চরিত্র তারানাথ তান্ত্রিক এতোটা জীবন্ত হয়ে ওঠে পাঠকের সামনে। তাঁর গল্পের উপাদানও বিচিত্র। সেসব গল্পে থাকে অলৌকিকতা, ছায়ামূর্তি, প্রেতাত্মা কিংবা তন্ত্র-মন্ত্র। গল্পের পরতে পরতে লুকিয়ে থাকে অপার্থিব আতঙ্ক। সেই সাথে রয়েছে তাঁর গ্রাম বাংলাকে দেখার এক অপরূপ চোখ। সেই চোখে মূর্ত হয়ে ওঠে বিমূর্ত অশরীরীরাও! বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা সবগুলো ভয়ের গল্প নিয়েই আমাদের এই আয়োজন- ভয় সমগ্র।
Title | : | বিভূতিভূষণ গোল্ডেন এডিশন (৬টি বই একত্রে) |
Author | : | বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় |
Publisher | : | সফা প্রকাশনী |
Edition | : | 1st Edition, 2022 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন একজন জনপ্রিয় ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক। । প্রখ্যাত এই সাহিত্যিক ১৮৯৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন, তবে তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল যশোর জেলায়। তিনি মূলত উপন্যাস ও ছোটগল্প লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। পথের পাঁচালী ও অপরাজিত তাঁর সবচেয়ে বেশি পরিচিত উপন্যাস। অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে আরণ্যক, আদর্শ হিন্দু হোটেল, ইছামতী ও অশনি সংকেত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। উপন্যাসের পাশাপাশি বিভূতিভূষণ প্রায় ২০টি গল্পগ্রন্থ, কয়েকটি কিশোরপাঠ্য উপন্যাস ও ভ্রমণকাহিনি এবং দিনলিপিও রচনা করেন। বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালী উপন্যাস অবলম্বনে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন। ১৯৫১ সালে ইছামতী উপন্যাসের জন্য বিভূতিভূষণ পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার রবীন্দ্র পুরস্কার (মরণোত্তর) লাভ করেন। খ্যাতিমান এই সাহিত্যিক ১৯৫০ সালের ১ নভেম্বর বিহারের ঘাটশিলায় মৃত্যুবরণ করেন।
If you found any incorrect information please report us