শেখ হাসিনা প্রগতি ও উন্নয়নের আলোকবর্তিকা (হার্ডকভার)

কেবল বাংলাদেশ নয়, বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা এখন এমন একটি নাম, বিশেষ কোনো অভিধায় যার মূল্যায়ন অসম্পূর্ণ। হতে বাধ্য। বাঙালির জাতীয় জীবনে মৃত গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবন, সামরিক স্বৈরাচার ও একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রামে একক নেতৃত্ব, জাতির পিতার আদর্শ ও স্বপ্নের পুনঃনির্মাণ থেকে শুরু করে একটি আধুনিক, প্রগতিশীল ও মানবকল্যাণমুখী রাষ্ট্র নির্মাণে তাঁর উদ্যোগ, কর্মপন্থা ও বাস্তবায়নের রূপরেখা উন্নয়নকামী বিশ্বের কাছে এখন একটি অনন্য আদর্শরূপ বা মডেল হয়ে উঠেছে। জাতির পিতার কন্যা হিসেবে যে অপরাজেয় স্বপ্ন ও রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পটভূমিকায় তাঁর শৈশব, কৈশোর ও যৌবন অতিবাহিত হয়েছে, সেইসব অভিজ্ঞতাকে অভিজ্ঞানে রূপান্তরিত করে ১৯৭৫- পরবর্তী কালের অতল দুর্গম অন্ধকার থেকে বাংলাদেশকে পরিণত করলেন নবজাগরণের আলোকপ্রবাহে। আধিপত্যবাদী ক্ষমতাচর্চা থেকে শাসনযন্ত্রকে মুক্তি দিয়ে তিনি দেশের দুঃখী, খেটে-খাওয়া মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করলেন। দেশের মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সমর্থনে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ থেকে টানা তিন মেয়াদে সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে দেশ পরিচালনা করছেন । আমাদের কাছে মনে হয়েছে শেখ হাসিনার কাছে দেশ কেবল একটি কাঠামো নয়; মানুষ, মনুষ্যত্ব ও মানবকল্যাণের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এক সমগ্র অস্তিত্ব। তাঁর জীবন, সংগ্রাম ও সৃষ্টিশীল প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র পরিচালনার আদর্শ এখন বিশ্বজনেরও কৌতূহল ও চর্চার বিষয়।

“শেখ হাসিনা : প্রগতি ও উন্নয়নের আলোকবর্তিকা' গ্রন্থটি বাঙালি জাতির নবচেতনার বাতিঘর শেখ হাসিনার কৃতি ও কীর্তির সমগ্রতা সন্ধানের লক্ষ্যে পরিকল্পিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫১তম বর্ষপূর্তির গৌরবোজ্জ্বল সময়প্রবাহে ৫১টি প্রবন্ধের এই সংকলন শেখ হাসিনার সৃষ্টিশীল সত্তা অনুধাবনের সহায়ক হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস ।
রফিকউল্লাহ খান সাবেক উপাচার্য শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রতিকৃতি শিল্পী : আহমেদ শামসুদ্দোহা প্রচ্ছদ : জাহিদ মুস্তাফা