মারুফ সিরিজ (১-৬) (পেপারব্যাক)
মারুফ সিরিজ (১-৬) (পেপারব্যাক)
৳ ১১৭৫   ৳ ৮৮১
২৫% ছাড়
Quantity  

৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

মারুফ এবং দেড় ব্যাটারী: শখের গােয়েন্দা মারুফুর রহমান। লেখাপড়া শেষ করে ভালাে চাকরি নিয়ে। আর সবার মত সুখী হতে পারেনি। নিজের আশপাশে ঘটে চলা সমাজের নানা অনাচার রােধ করতে কিছু করার ইচ্ছা থেকে শুরু করে নিজের প্রাইভেট ডিটেকটিভ ফার্ম শ্যেনচক্ষু। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার অলি গলি এবং মুখােশের আড়ালে থাকা নানান। কু-কীর্তিবাজকে হাড়ে হাড়ে চেনে রােমান। পেশায় সাংবাদিক হওয়ায় এসব জানা হয়ে গেছে তার। মারুফের সঙ্গে সেও যােগ দেয় শ্যেনচক্ষু প্রাইভেট আই ফার্ম-এ। একটার পর একটা কেস সুরাহা করে ওরা দুজনে মিলে। আর রােমান প্রতি কেসের ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। কেউ জানে না পরবর্তী কেসটা তাদের জন্যে কী চমক বয়ে আনবে। বিপদে-আপদে, আনন্দে-কষ্টে, সাফল্যে, ব্যর্থতায় ভরপুর প্রতিটি অ্যাডভেঞ্চার। ওদের অ্যাডভেঞ্চার শুরু হলাে মারুফ এবং দেড় ব্যাটারী থেকে।

মারুফ -২ : গুপ্তঘাতক: অদ্ভুতভাবে খুন হয়ে গেলেন এক প্রবীণ সাংবাদিক। ঘটনাক্রমে গােয়েন্দা মারুফ আর তার বন্ধ সাংবাদিক রোমান জড়িয়ে পড়ল কেসটায়। যতই গভীরে যাচ্ছে ততই চারদিক থেকে শত্রুর বৃত্তটা ছোট হয়ে ঘিরে ধরছে তাদের। এদিকে মারুফ তার তীক্ষ্ণ স্মরণশক্তিতে এক দেখায় চিনে ফেলল  খুনীকে! আশ্চর্যের বিষয় হলাে সবার সামনে বসে থাকলেও কোনাে প্রমাণ নেই এই গুপ্তঘাতককে ধরার মতাে। মারুফ বুঝতে পারল, সবসময় বুদ্ধিতে আর পরিকল্পনায় ওর থেকে দু কদম এগিয়ে থাকছে লােকটা। শুরু হলাে মারুফের সাথে রহস্যময় গুপ্তঘাতকের ভয়াবহ দ্বন্দ্বযুদ্ধ।

মারুফ -৩ : দলছুট: ‘শ্যেনচক্ষু’ প্রাইভেট গােয়েন্দা সংস্থা গড়ে ওঠার আগের কাহিনি। দৈনিক অকুণ্ঠ বার্তার সম্পাদক সিরাজ ভাই রােমানকে ইউনাইটেড ইউথ ক্লাব নামক এক সমাজ সংস্কারক দলের ভেতরের খবর সংগ্রহ করার কাজ দেন। রােমান কাজে নেমে পড়ে। ধীরে ধীরে বুঝতে পারে এই দলটি বাইরে থেকে দেখতে যেমন ভেতরে মােটেও তা নয়। এর মধ্যেই তার পরিচয় ঘটে মারুফের সাথে । দুজন হয়ে ওঠে ঘনিষ্ঠ বন্ধু । আর তারপরে ঘটতে শুরু করে আদর্শিক সংঘাত। রােমান কি পারবে এই ছদ্মবেশী দলের ভেতর থেকে বন্ধুকে বের করে আনতে?

মারুফ -৪ : সবুজ মাছি: একের পর এক হারিয়ে যাচ্ছে শিশু। কিছুদিন পরেই তারা ফিরে আসছে অজানা এক রােগ নিয়ে । সবুজ রঙের বসন্ত! সবই গরীব ঘরের ছেলেমেয়ে। তাই না মিডিয়া বিচলিত, না প্রশাসন। কিন্তু অকুণ্ঠবার্তার ডিটেক্টিভ এজেন্সি শ্যেনচক্ষু প্রাইভেট আই জোকের মত লেগে আছে কেসটার পেছনে। বার বার হাতের মুঠির মধ্যে পেয়েও অপরাধীকে হারিয়ে ফেলছে মারুফ। একের পর এক প্রাণঘাতি হামলার শিকার হচ্ছে সে। এদিকে বিখ্যাত ডাক্তার এবং গবেষক শরীফুল হক চমকে উঠলেন যখন তার এক পুরনাে ছাত্রীর হাতে দেখলেন সেই লােকটার ছবি, যার কারণে সব থেকেও আজ শূণ্য তার জীবন। তার ছাত্রী নিপা নাহার কি তাহলে একটা আন্তর্জাতিক ক্রিমিনালের কাছে চাকরি করছে? মাছি নিয়ে কিসের এত গবেষণা লাইফলাইন রিসার্চ ফাউন্ডেশনে? সবুজ রঙের নতুন প্রজাতির মাছির আতংক ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকি। খুব ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক একটা মেডিকেল মাফিয়া কি বাংলাদেশে একটা বায়ােলজিকাল ওয়ারফেয়ার ঘটাতে চলেছে? মারুফ কি পারবে সব রহস্যের জট খুলতে? হবে শেষ রক্ষা?

মারুফ -৫ : গুপ্তসংঘ: মারুফ। নিষিদ্ধ দলের প্রাক্তন ডাবল এজেন্ট বর্তমানের শ্যেনচক্ষু প্রাইভেট আইয়ের মারুফুর রহমান। সাথে আছে প্রাণের বন্ধু সাংবাদিক রােমান মাহমুদ আর জহির ভাই। মারুফ বিশ্বাস করে দল বড় নয়, ব্যক্তিই বড়। অপরাধীদের একতাই বল নয়, সৎ গােয়েন্দার একক গুপ্তচরবৃত্তিই অধিক বলিষ্ঠ। সুপারগ্লুর মতাে লেগে থাকে অপরাধীচক্রের পেছনে। পদে পদে বাধাগ্রস্ত হয়, অপমানিত হয়, মার খায়, পড়ে যায়, আবার ওঠে। যেকোনাে মূল্যে অপরাধীদেরকে দৈনিক অকুণ্ঠবার্তার হেডলাইন বানিয়ে তবে ছাড়ে। মারাত্মক বিপদের সময় ঠাট্টা মশকরা করা, আবেগ, ছেলেমানুষিতে ভরা ছয়ফুটি এক লােক। খুব সহজেই ভালাে লেগে যাবার মতাে একটি চরিত্র। কিন্তু নানান তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে সব সম্পর্ক থেকে পালিয়ে থাকতে চায়। স্বল্প যােগ্যতা, স্বল্প তথ্য-উপাত্ত জোড়া লাগিয়ে লাগিয়ে গল্পের ভেতরের আস্ত গল্পটা খুঁজে বের করে সে একের পর এক।

মারুফ ৬: গুপ্তবিদ্যা: হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে শিশুদের হারিয়ে যাওয়ার হার। বাচ্চাদের মৃতদেহ, কঙ্কাল উদ্ধার করছে পুলিশ। কিছু অপরাধী ধরাও পড়ছে, কিন্তু ব্যাপারটা শেষ হচ্ছে না। আসলে কি শুধুই খুন? নাকি বলি দেওয়া হচ্ছে এদের? কোমর বেঁধে নেমেছে স্পেশাল ডিটেকটিভ পুলিশের এমদাদ খান আর তার টিম। ওদিকে মারুফও লেগে আছে জোকের মতাে। একজন সিরিয়াল কিলার পলাশ মণ্ডলকে বাগে আনতে ঘাম ছুটে গেল ওদের সবার। কিন্তু মারুফ বুঝতে পারল, যে-সে। লােক নয় এই পলাশ। তার আছে খুবই অদ্ভুত কিছু বিদ্যা। এমন কিছু কাজ সে করতে পারে, ঘটাতে পারে এমন কিছু ঘটনা, যা ব্যাখ্যা করা মুশকিল। পুলিশের গাড়িতে বসেই একে একে সবাইকে খুন করতে পারে সে শুধু হাতের ইশারায়। ওদিকে সাইকোলজিস্ট নাজিয়া পারভিনের রােগী সাবেক অভিনেত্রী আফরিন সুলতানা এমন এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা বলছেন, যার সাথে জড়িত একটা বিশাল চক্র, যারা সকলের ধরাছোঁয়ার বাইরে। মারুফ আর এসডিপি যাকে নিয়ে নাকানিচুবানি খাচ্ছে, সে কি শুধুই একজন সিরিয়াল কিলার? নাকি বড়াে কোনাে মৌচাকের একটামাত্র মৌমাছি?

Title : মারুফ সিরিজ (১-৬)
Author : তৌহিদুল ইকবাল সম্পদ
Publisher : পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
Country : Bangladesh
Language : Bengali

তৌহিদুল ইকবাল সম্পদ বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের কাছে পাঞ্জেরি প্রকাশনী পৌঁছে দিয়েছে বিশ্ববিখ্যাত বহু ক্ল্যাসিক। আর সেসব ক্ল্যাসিকের অনেকগুলোর প্রচ্ছদ ও ইলাস্ট্রেশনের পেছনে রয়েছে তৌহিদুল ইকবাল সম্পদের সৃজনশীল মস্তিষ্ক। তবে শুধু কমিকসের ছবি আঁকাই নয়, কমিকস লেখাতেও সিদ্ধহস্ত তিনি। মাত্র সাত-আট বছর বয়স থেকেই তিনি কমিকস লেখা শুরু করেন। ১৯৯২ সাল থেকে শুরু হয় কিশোর পত্রিকায় কমিকস লেখার কাজ। প্রথম কমিকস ছিল ‘রিঙ্কু পিঙ্কুর বেড়া দেওয়া’। সেবা প্রকাশনীর কিশোর পত্রিকার জন্য কমিক স্ট্রিপ তৈরি করতে গিয়েই পেশাজীবনের শুরু হয় তাঁর। ছোটবেলা থেকেই আঁকাআঁকির প্রতি নেশাটা তখন বদলে যায় পেশায়। কাজী আনোয়ার হোসেনের ‘কুয়াশা’ সিরিজের পাঁড় ভক্ত তৌহিদুল ইকবাল সম্পদের জীবনের বেশিরভাগ জুড়েই রয়েছে কমিকস। তাঁর সৃষ্টিতে আমেরিকান লেখক ও ইলাস্ট্রেটর উইলিয়াম অ্যান্ড্রু লুমিসের বেশ প্রভাব রয়েছে। অ্যানিমেশন প্রযুক্তি তাঁকে অনেক আকর্ষণ করে, ২০০১ সাল থেকে তিনি অ্যানিমেশনের সাথেও যুক্ত রয়েছেন। তাঁর জন্ম সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জে হলেও বেড়ে ওঠা ঢাকাতে। ছোটবেলা থেকে পড়াশোনাও করেছেন ঢাকাতেই। পেশাজীবনের অনেকটা অংশ কেটেছে ফ্রিল্যান্সিং করে। তৌহিদুল ইকবাল সম্পদ এর বই সমগ্র এর মাঝে ‘দুর্জয় সিরিজ’ ও ‘মারুফ সিরিজ’ উল্লেখযোগ্য। দুর্জয় ও মারুফ- দুটি চরিত্রই প্রতিবাদী এবং সচেতনতামূলক কাজের সাথে জড়িত। এদের মাধ্যমে একটি ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দেবার ইচ্ছা রাখেন তৌহিদুল। এছাড়া, অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে তাঁর নিজস্ব টিউটোরিয়াল- স্যামস প্যাড। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বশিক্ষিত তৌহিদুল ইকবাল সম্পদ এর বই সমূহ তাঁকে তাঁর প্রত্যাশার চাইতেও বেশি খ্যাতি এনে দিয়েছে। তাই বইমেলায় যখন ভক্তরা অটোগ্রাফের জন্য ছুটে আসে, তখন তিনি বেশ অবাকই হন।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]