৳ ২৫০ ৳ ২১৩
|
১৫% ছাড়
|
Quantity |
|
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
কুসুমকুমারী দাশের দিনলিপি গ্রন্থটিতে মাটির সোঁদা ঘ্রাণে অবগাহিত কবি তথা সুগৃহিনী কুসুমকুমারী দাশের রোজনামচাসহ বাবা-মাকে নিয়ে লেখা তাঁর সুপুত্র কবি জীবনানন্দ দাশের দুটি স্মৃতিচারণমূলক রচনাও স্থান পেয়েছে। দিনলিপির পাতা দেখে একটি মানুষকে সঠিক বিশ্লেষণ করা যায় না। তার জন্য জানতে হয় তার জন্ম, বেড়ে ওঠা ও কর্মময় জীবনের ইতিহাস।
Title | : | দিনলিপি |
Author | : | কুসুমকুমারী দাস |
Publisher | : | আগামী প্রকাশনী |
ISBN | : | 9789849609179 |
Edition | : | 1st Published, 2023 |
Number of Pages | : | 80 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
কুসুমকুমারী দাস ১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দে (২১ পৌষ ১২৮২ বঙ্গাব্দ) বরিশাল শহরে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা চন্দ্রনাথ দাস, মা ধনমনি দেবী। পিতা চন্দ্রনাথ দাসের পৈত্রিক নিবাস আগৈলঝাড়ার গৈলা গ্রামে। চন্দ্রনাথ ও তার অগ্রজ কালীমোহন দাস ব্রাক্ষধর্ম গ্রহণ করলে নিজ গ্রামবাসীর বিরোধিতার ফলে তারা পৈত্রিক গ্রাম ছেড়ে বরিশালে চলে আসেন। বরিশালে এসে প্রথমদিকে তিনি সর্বানন্দ দাসের বাড়িতে কিছুদিন বসবাস করেন। সর্বানন্দ দাস তখন বরিশালের ব্রাক্ষ্মসমাজের সম্পাদক। তিনি ছিলেন জীবনানন্দ দাসের পিতামহ। অর্থাৎ কুসুমকুমারী দাসের জন্মের আগেই দুই পরিবারের সাথে একটি নিবিড় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। চন্দ্রনাথের একপুত্র প্রিয়নাথ এবং তিন কন্যা কুসুমকুমারী, সুকুমারী ও হেমন্তকুমারী। কুসুমকুমারী প্রাথমিক পাঠ শুরু করেন বরিশালে। তখন বরিশালে মেয়েদের হাইস্কুল ছিল না। ছাত্রবৃত্তি পর্যন্ত পড়ানো হতো মাইনর স্কুলে। ১২৯৬ বঙ্গাব্দে কিছুকালের জন্য বরিশালে মেয়েদের হাইস্কুলে করা হয়। ইন্দুভূষণ রায় চৌধুরী ছিলেন সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ছাত্রী স্বল্পতার কারনে অচিরেই স্কুলটি বন্ধ হয়ে যায়। কুসুমকুমারী এই স্কুলেই চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। পরে তাকে কলকাতায় বেথুন স্কুলে ভর্তি করানো হয়। কুসুমকুমারীর শিক্ষালাভের সুযোগ সম্পর্কে অনুজ হেমন্তকুমারীর একটি মন্তব্য এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য- ‘আমরা নিঃসম্বল হইলেও আমাদের উচ্চশিক্ষা দিতে কার্পণ্য করেন নাই। প্রকৃতপক্ষে কুসুমকুমারী একটি বিদ্যানুরাগী পারিবারিক পরিমন্ডল পেয়েছিলেন আশৈশব’। ১৮৯৪ সাল পর্যন্ত কুসুমকুমারী দাস রেথুন স্কুলের ছাত্রী ছিলেন। প্রবেশিকা শ্রেণিতে (১৮৯৪) পড়াকালীন তাঁর বিয়ে হয়ে যায়। আর এখানেই তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অবসান ঘটে। মায়ের মেধা ও পড়াশুনা সম্পর্কে কবি পূত্র জীবনানন্দ দাসের ধারণা- ‘আমার মা শ্রীযুক্তা কুসুমকুমারী দাস কলকাতার বেথুন স্কুলে পড়তেন। খুব সম্ভব ফার্স্ট ক্লাস অবধি পড়েছিলেন। তারপরেই তার বিয়ে হয়ে যায়। তিনি অনায়াসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ পরীক্ষায় খুব ভালোই করতে পারতেন। এ বিষয়ে সন্তানদের চেয়ে তার বেশি শক্তি ছিল মনে হচ্ছে। হেমন্তকুমারী লিখেছেন- অনুমান ১৩০১ সালের ১৯ জৈষ্ঠ্য সর্বানন্দের দ্বিতীয় পুত্র সন্তানের সহিত কুসুমকুমারীর বিবাহ হয়। সত্যানন্দের পূর্বপুরুষের বিক্রমপুরের দ্বিতীয় কীর্তিপাশা নদীর তীরে গাউপাড়া গ্রামের অধিবাসী ছিলেন। একসময় তাদের জমিদারি ছিল যার কিছুটা অবহেলায় নষ্ট হয়। বাকিটুকু নদীগর্ভে বিলীন হলে তারা বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জে এসে বসবাস শুরু করেন।
If you found any incorrect information please report us