৳ ৩৬০ ৳ ৩০৪
|
১৬% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
একাডেমিক বইয়ে প্রতি ১০০০ টাকার অর্ডারে একটি করে খাতা ফ্রি ও ডেলিভারি ফ্রি
অফিসের আড্ডায় দারুণ দারুণ সব আলোচনা হয়। আলোচনায় আমার অংশগ্রহণ হু-হা পর্যন্তই। চমৎকার সব কথা বলে চার্মবয়।-বুঝলেন মিজান ভাই, জীবনে সুখী হতে হলে আকাশের মেঘের মতো হতে হবে। মেঘ যেমন ইচ্ছে করলেই ঝমঝম করা বৃষ্টি হতে পারে তেমন মানুষকেও হতে হবে। রোদেলা আকাশে ঝকঝকে সাদা তুলো হয়ে ভেসে বেড়ানো, আর জমে ঘন হলেই ঝমঝম করে বৃষ্টি। মানুষ সুখী হয় না কেন জানেন? ওই যে জমে থেকেও ঝরতে পারে না। মনের ভেতর এত কালো মেঘ তাও বৃষ্টি নামতে দেয় না। একবার যে মানুষ তার জীবনে বৃষ্টি হয়ে নামতে শিখে গেছে ব্যস তার আর কোনো সুখের অভাব নেই। কী দারুণ কথা তাই না? আসলেই তো, জীবনের এই বয়ে চলা তো মেঘের ভেলার মতোই। শুধু আমরা সময়মতো বৃষ্টি হই না। সবার সঙ্গে আমিও মুগ্ধ হয়ে সেসব কথা শুনি। মাঝে মধ্যে মনে মনে খুব আফসোস হতো, ইশ এমন চমৎকার করে কথা বলবার মানুষটা যদি সবসময় সঙ্গে থাকত। পরক্ষণেই মনে হতো, ধুর। ধূসররঙা শার্টের ওই চার্মবয় নামক সুখী মেঘ আমার জন্য নয়। আমার জন্য বরং আকাশের মেঘই সঙ্গী হোক। সেই ভালো।
Title | : | দার্জিলিংয়ের টুপি |
Author | : | তৃধা আনিকা |
Publisher | : | অন্যধারা |
ISBN | : | 9789849747482 |
Edition | : | 1st Published, 2024 |
Number of Pages | : | 152 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
এই একটা ব্যাপার লিখতে এলেই আমার মাথার ভেতর ফাঁকা হয়ে যায়। ব্যক্তিগত তথ্যগুলো কেন জানি মানুষকে জানাতে ইচ্ছে করে না। আরেকটু গুছিয়ে বললে, বলার সাহস পাই না। তবে আজ ঠিক করেছি নিজের কিছু কথা বলবোই। আচ্ছা, লিখা ভালো লাগার জন্য কি লেখকের পরিচয়টা আদৌ জরুরি? আমার মনে হয় না। নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলি, এমন অসংখ্য লিখা আমার ভালো লাগার আছে, যাদের লেখককে আমি দেখিনি। হয়তোবা লেখকের ছবি বইয়ের পেছনে ছিলও। কিন্তু আমি দেখিনি। কারণ লিখার মাধুর্য আর গল্পের চরিত্র আমায় টেনেছে, লেখক নয় । ফেলুদা যখন পড়ি, আমি ভেবেছি ওটা তোপসেরই লিখা অন্য কারো নয়। সত্যজিৎ রায়ের পরিচিতির জন্য আমি কিন্তু একটুও ব্যাকুল হইনি। শার্লক হোমস যখন পড়ি, আমি স্যার আর্থার কোনান ডয়েলকে একদিনও চিনতে চাইনি। বরং বারবার আমার কল্পনায় শার্লক হোমস সামনে এসেছে। বারবার আমি লিখা আর গল্পের চরিত্রতে মুগ্ধ হয়েছি। একজন লেখকের জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া কি জানেন? তাঁর লিখার জন্য পাঠকের ভালোবাসা। সুতরাং তৃধা আনিকার ব্যক্তিগত জীবন আপাতত লুকানোই থাক। তার চেয়ে বরং ভূধা আনিকা তার গল্পে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র সেজে নিজের মনের কথাগুলো অনায়াসে বলে যাক । দেখা যাক না, কি হয়। পাঠক তার লিখাকে কেমন ভালোবাসে, দেখি!
If you found any incorrect information please report us