নিতু মাহবুবের ডায়েরি (হার্ডকভার)
নিতু মাহবুবের ডায়েরি (হার্ডকভার)
৳ ৩০০   ৳ ২৫৫
১৫% ছাড়
Quantity  

৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

একাডেমিক বইয়ে প্রতি ১০০০ টাকার অর্ডারে একটি করে খাতা ফ্রি ও ডেলিভারি ফ্রি

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

সকালে ঘুম ভেঙেই নিতুর মনে হলো, আজ মাহবুব ভাই আসবেন।
নিতু আজকের ডেট দেখল। আজ কোনো বিশেষ দিনও নয়। তবু বারবার তার মনে হতে লাগল মাহবুব ভাই আসবেন।
ব্রেকফাস্টে টেবিলে এসে নিতু জানতে পারল, আজ দুপুরে সবাই নাজমুল আঙ্কেলদের ওখানে দাওয়াতে যাচ্ছেন। নিতু বলল,
-আমি যেতে পারব না বড়োচাচি। আমার কাল একটা ম্যাথস টেস্ট আছে। অঙ্ক করতে হবে।
বড়োচাচি বললেন,
-তুমি না গেলে আমাদের কারোরই ভালো লাগবে না।
মা বললেন। বাবা বললেন। বড়োচাচা বললেন,
-আমরা সবাই যাচ্ছি। তুমি একা থাকবে বাড়িতে? চলোই না নিতু।
নিতু কিছুতেই রাজি হলো না। পড়ার অযুহাতে থেকে গেল। আজ যে তাকে বাড়িতে থাকতেই হবে। যদি মাহবুব এসে ফিরে যান।
একা বাড়িতে নিতু থেকে গেল। দুপুরের পর থেকে শুরু হলো মুষুলধারে বৃষ্টি। নিতুর মনটাই খারাপ হয়ে গেল।
বৃষ্টিতে মাহবুব ভাই কেমন করে আসবেন? একরাশ মন খারাপ নিয়ে নিতু অঙ্ক করতে বসল।
এই এদিকে বৃষ্টি নেমেছে তো নেমেছেই। থামবার কোনো নামগন্ধ নেই। সন্ধ্যা যখন নামছে নামছে, ঠিক তক্ষুনি কলিংবেল বেজে উঠল। নিতু এক দৌড়ে ছুটে গিয়ে দরজা খুলল। ইশ। দোতলার সিঁড়ি দিয়ে নামবার সময়ে বড়ো ফুলদানিটা পায়ে লেগে কী যে ব্যথাই না পেল সে। উফ্! দরজা খুলেই নিতুর আনন্দ কান্না পেয়ে যাবার অবস্থা। দরজায় কাকভেজা হয়ে মাহবুব ভাই দাঁড়িয়ে আছেন।
নিতু বোকার মত বলল,
-বাড়িতে তো কেউ নেই মাহবুব ভাই।
মাহবুব ভাই তার ভেজা শার্টের হাতাটা ঝাড়তে ঝাড়তে বললেন,
-কেউ নেই মানে? তুই তো আছিস।

Title : নিতু মাহবুবের ডায়েরি
Author : তৃধা আনিকা
Publisher : অন্যধারা
ISBN : 9789849931577
Edition : 1st Published, 2024
Number of Pages : 144
Country : Bangladesh
Language : Bengali

এই একটা ব্যাপার লিখতে এলেই আমার মাথার ভেতর ফাঁকা হয়ে যায়। ব্যক্তিগত তথ্যগুলো কেন জানি মানুষকে জানাতে ইচ্ছে করে না। আরেকটু গুছিয়ে বললে, বলার সাহস পাই না। তবে আজ ঠিক করেছি নিজের কিছু কথা বলবোই। আচ্ছা, লিখা ভালো লাগার জন্য কি লেখকের পরিচয়টা আদৌ জরুরি? আমার মনে হয় না। নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলি, এমন অসংখ্য লিখা আমার ভালো লাগার আছে, যাদের লেখককে আমি দেখিনি। হয়তোবা লেখকের ছবি বইয়ের পেছনে ছিলও। কিন্তু আমি দেখিনি। কারণ লিখার মাধুর্য আর গল্পের চরিত্র আমায় টেনেছে, লেখক নয় । ফেলুদা যখন পড়ি, আমি ভেবেছি ওটা তোপসেরই লিখা অন্য কারো নয়। সত্যজিৎ রায়ের পরিচিতির জন্য আমি কিন্তু একটুও ব্যাকুল হইনি। শার্লক হোমস যখন পড়ি, আমি স্যার আর্থার কোনান ডয়েলকে একদিনও চিনতে চাইনি। বরং বারবার আমার কল্পনায় শার্লক হোমস সামনে এসেছে। বারবার আমি লিখা আর গল্পের চরিত্রতে মুগ্ধ হয়েছি। একজন লেখকের জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া কি জানেন? তাঁর লিখার জন্য পাঠকের ভালোবাসা। সুতরাং তৃধা আনিকার ব্যক্তিগত জীবন আপাতত লুকানোই থাক। তার চেয়ে বরং ভূধা আনিকা তার গল্পে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র সেজে নিজের মনের কথাগুলো অনায়াসে বলে যাক । দেখা যাক না, কি হয়। পাঠক তার লিখাকে কেমন ভালোবাসে, দেখি!


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]