
৳ ৭০০ ৳ ৫২৫
|
২৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER





একাত্তরে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে অনেকের প্রশ্ন। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে থাকায় তাদেরকে অনেকে ঘৃণা করেন, ক্ষমা চাইতে বলেন। কিন্তু কেন? মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার পেছনে জামায়াতের কি কোনো যুক্তি নেই? জাতির সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ভাসাভাসা দৃষ্টিতে মুক্তিযুদ্ধকে দেখেছে। অন্যদিকে, জামায়াত দেখেছে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট থেকে। সাতচল্লিশে এ জাতি হিন্দু ভারতের সঙ্গে লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। এ দেশের জনগণ সাতচল্লিশের স্বাধীনতাকে মেনে নিলেও প্রতিবেশি ভারত মেনে নেয়নি। ভারত সাতচল্লিশের স্বাধীনতাকে বাঞ্ছাল করে দেয়ার জন্য সুযোগের অপেক্ষা করেছে। একাত্তরে তারা ইন্সিত সুযোগ পেয়ে যায়। পাকিস্তান বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তান ছিল ভারতের পূবাঞ্চলের সাতটি রাজ্যের অস্তিত্বের জন্য হুমকি। ভারত তার সাত রাজ্যের নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করার জন্য একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতায় বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু ভারতের স্বার্থ ছিল ষোল আনা। ভারতের অভিসন্ধি বুঝতে পেরে জামায়াত একাত্তর থেকে দুরত্ব বজায় রাখে। যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হলে ভারতে আশ্রয় নিতে হতো। জামায়াতের পক্ষে ভারতে আশ্রয় নেয়া সম্ভব ছিল না। একটি মুসলিম দেশ ভেঙ্গে দিতে হিন্দু দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়ে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণে তাদের বিবেক সায় দেয়নি। ভারতে আশ্রয় নিলেও তাদের পরিণতি হতো মাওলানা ভাসানী এবং মশিয়ুর রহমান জাদু মিয়ার মতো। এ দুজন জাতীয় নেতাসহ অসংখ্য বামপন্থী কর্মীকে ভারতে হয়তো আটক করা হয় নয়তো দেশে ফেরত পাঠানো হয়। জামায়াত সমর্থকদের ভাগ্য তাদের থেকে ভিন্নতর কিছু হতো না।
Title | : | জামায়াত স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল না |
Author | : | সাহাদত হোসেন খান |
Publisher | : | আফসার ব্রাদার্স |
ISBN | : | 97898499070606 |
Edition | : | 1st Published, 2025 |
Number of Pages | : | 456 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
প্রখ্যাত লেখক এবং সাংবাদিক সাহাদত হোসেন খান বাংলাদেশের মিডিয়াপাড়ার একজন পরিচিত মুখ। তিনি দীর্ঘকাল ধরে সাংবাদিকতা করে চলেছেন। ১৯৮৭ সালে দৈনিক দিনকাল দিয়ে সাংবাদিকতা পেশা শুরু করেন তিনি। এরপর দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক ইত্তেফাকসহ একাধিক জাতীয় পত্রিকায় কাজ করেছেন তিনি। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের বিভিন্ন পদে তিনি চারবার দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। বর্তমানে জাতীয় প্রেসক্লাব এবং বাংলা একাডেমির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। গুণী এ লেখকের জন্ম ১৯৫৬ সালের ১লা মে। নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার কাটাবাড়িয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান তিনি। স্থানীয় স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা এবং নরসিংদী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। সাহাদত হোসেন খান এর বই সমূহ-তে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অধিক স্থান পায়। দীর্ঘকালের সাংবাদিকতা ক্যারিয়ারে তিনি আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীর প্রতি ঝোঁক তৈরি করেছেন, যা তার লেখালেখিকেও প্রভাবিত করেছে। ‘প্রথম বিশ্বযুদ্ধ’, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ট্রাজেডি’, ‘মোঘল সাম্রাজ্যের সোনালী সময়’, ‘পলাশী থেকে একাত্তর’, ‘ক্রুসেড’, ‘স্বর্ণযুগের মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার’, ‘স্নায়ুযুদ্ধ’, ‘মোঘল সাম্রাজ্যের পতন’, ‘অ্যাডলফ হিটলার’, ‘অটোমান সাম্রাজ্যের উত্থান’, ‘খোলাফায়ে রাশেদীন’সহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক এবং ঐতিহাসিক বিষয়াবলীর বই নিয়েই সাহাদত হোসেন খান এর বই সমগ্র সমৃদ্ধ। এছাড়াও ‘আবার কি আমার পৃথিবীতে আসবে’, ‘চন্দ্র সূর্য আমার ভালোবাসার সাক্ষী’সহ বেশ কিছু কাব্যগ্রন্থও রচনা করেছেন তিনি।
If you found any incorrect information please report us