দিলারা মেসবাহ

দিলারা মেসবাহ

দিলারা মেসবাহর জন্ম ২৮ আগস্ট, ১৯৫০ সালে পাবনার বিখ্যাত লোহানী পরিবারে। পিতা তাসাদ্দুক হোসেন লোহানী শিক্ষাবিদ ও খ্যাতিমান সাহিত্যিক। মা বেগম বদরুননেসা লোহানী। বাবার বদলি চাকুরির সুবাদে বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাকে লেখাপড়া করতে হয়। এর মধ্য দিয়ে সমাজের মানুষ ও প্রকৃতি সম্পর্কে জানাশোনার সুযোগ ঘটে তার ছাত্রজীবন থেকে। স্বামীর কর্মসূত্রে দেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থানগত কারণেও তার অভিজ্ঞতার পরিস্ফুটন ঘটে নানাভাবে। আর অনিবার্যভাবে তা তার লেখার জগৎকে করে প্রসারিত। তাই কখনো ঢাকা বেতারের টকার, স্ক্রিপ্ট রাইটার, সদালাপী ছদ্ম নামে রম্যরচনা, সাপ্তাহিক রোববারে দীর্ঘদিন 'প্রিয়দর্শিনী' নামে কলাম লিখেন তিনি। ১৯৬৫ সালে 'সবুজ পাতা'য় কবিতা প্রকাশিত হওয়ার মধ্য দিয়ে তার লেখালেখি শুরু। বর্তমানে ছোটগল্প, নিবন্ধ, শিশুতোষ রচনায় তিনি নিরন্তরভাবে মগ্ন। পাশাপাশি বাংলাদেশ লেখিকা সংঘের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৬ সালে 'রত্নগর্ভা মা' তাকে ক্রেস্ট ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। দিলারা মেসবাহর সৃষ্টিকর্মের মধ্যে রয়েছে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, শিশুসাহিত্য মিলে ৩৮টি গ্রন্থ। এর মধ্যে কয়েকটির নাম উলেস্নখ করা হলো : কবিতাগ্রন্থ, কষ্টের কাঠঠোকরা (১৯৮৬), শুকনো পাতা মানিব্যাগে (২০০), উপন্যাস : স্বপ্নলোকের চাবি (২০০০) নাগরদোলার দিন (১৯৯৩)। ছোট গল্প : পলাতকা ছায়াগুলো (১৯৯০), অন্ধকার ও অপরূপ ডানা (১৯৯৩), ভাতের গল্প (১৯৯৭), বায়োস্কোপ (২০০৫), এক জোড়া পয়মন্ত ইলিশ ( ২০২০)। শিশুসাহিত্য : কিশোর উপন্যাস- আরো ভূতের গল্প (২০০২), এক যে পিঁপড়া (২০০৫), ওপেনটি বায়োস্কোপ( ২০০৫),
রিনির ভুবনখানি (২০১৪)। কিশোর গল্প : টাইগার (২০০৫), ভূত ও ভেনট্রিলোকুইজম (২০০৮), আমেরিকার গল্প ( ২০০৮), ইষ্টিকুটুম মিষ্টিকুটুম, সোনালি মাঠের গল্প (২০১৮), অভিমান (২০১৮), কিশোর সমগ্র-১, কিশোর সমগ্র-২, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক : লাল মলাটের একাত্তর (২০২০)। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি উলেস্নখযোগ্য সংকলন সম্পাদনা করেন তিনি। আশরাফ সিদ্দিকী সাহিত্য পদক, লেখিকা সংঘ সাহিত্য পদক, জসীমউদ্‌দীন স্বর্ণ পদক, নন্দিনী সাহিত্য পদকসহ ১০টির মতো বেসরকারি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন তিনি।