পলিয়ার ওয়াহিদ

পলিয়ার ওয়াহিদ

২৬ ফাল্গুন (২০ মে ১৯৮৬) সালে শুক্রবার, সুবেহসাদিকের ক্ষণে জন্মগ্রহণ করেন। যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার—ঐতিহ্যবাহী পাঁজিয়ার অন্তর্গত পাথরঘাটা গ্রামে। পিতা গোলাম মোস্তফা সরদার একজন স্বশিক্ষিক কৃষক ও মা ছাবিয়া বেগম সামান্য শিক্ষিত কিন্তু প্রচন্ড জেদি ও প্রতিবাদী। শিল্পী কিংবা কবিকে তিনি কৃষক বলতেই বেশি পছন্দ করেন। এবং কবিতা কিংবা শিল্পের কোনো শাখাকে কৃষি কাজ হিসেবেই জ্ঞান করেন। নিজের মতো খরচ করতে পছন্দ করেন যৈবন! আর সে কারণে যশোর থেকে ঘরপালায়ে চলে যান সিলেটে হারুন মামার লন্ডিতে! সেখানে কাপড় পরিস্কার করতে গিয়ে বুঝতে পারেন মানবজীবনও ধুয়ে-মুছে পরিস্কার করা জরুরি। তাই ফুলটাইম মিষ্টি কোম্পানিতে ম্যানেজারি আর পার্টটাইম এমসি কলেজ থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক। জন্ম যশোরে হলেও ছন্নছাড়া স্বভাবের কারণে যৈবনের সবচেয়ে সোনালি সময় কেটেছে সিলেটে। তারপর কবি হওয়ার জন্য ফিরে আসেন ঢাকায়। সখ্যতা গড়ে ওঠে কবি আল মাহমুদ, আবু হাসান শাহরিয়ার, আলফ্রেড খোকন, মুসা আল হাফিজ, জুয়েল মোস্তাফিজ, জাহানারা পারভীন, জুননু রাইন, সাইয়েদ জামিল, জব্বার আল নাঈম, রাসেল রায়হানদের সঙ্গে। ঢাকা কলেজ থেকে স্নাতকত্তোর শেষে একটা জাতীয় দৈনিকে সাংবাদিকতা পেশায় কর্মরত। সমস্ত সনদ হারিয়ে ফেলছেন—ঘর বদলের ফাঁদে। কবিতার জন্য কলকাতা থেকে পেয়েছেন বিখ্যাত কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কৃত্তিবাস পুরস্কার (তারাপদ রায় সম্মাননা-২০১৯) ও বাংলাদেশ বুকওয়ার্ম সম্মাননা-২০২৪। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ পৃথিবী পাপের পালকি-২০১৫, সিদ্ধ ধানের ওম-২০১৬, হাওয়া আবৃত্তি-২০১৬, মানুষ হবো আগে-২০১৭, সময়গুলো ঘুমন্ত সিংহের-২০১৮, দোআঁশ মাটির কোকিল-২০২০, আলিফলামমীম ও মহুয়ার মরমী গম-২০২৪। এ ছাড়া লিখছেন আত্মজৈবনিক স্মৃতিগ্রন্থ ‘কালো রাজহাঁস’। তিনি মনে করেন, শিল্পের কাছে স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা সবচেয়ে দামি ও ঋণী। প্রবল আগ্রহ রয়েছে প্রেম, রমণ ও ভ্রমণে। পছন্দ করেন রান্না করতে ও খেতে। তবে ঘুম তার সবচেয়ে বড়শত্রু। ‘ভালো বই আত্মার ওষুধ’ বলে তিনি বিশ্বাস করেন। তা ছাড়া হিন্দি, আরবি, তুর্কি ও ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ হয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রকাশিত হয়েছে তার কবিতা।

পলিয়ার ওয়াহিদ এর বই সমূহ

Showing 1 to 2 of 2

View

Sort icon