১৯৯০ সালে ১ জুলাই কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পূর্ব চান্দিশকরা গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবুল হাশেম, পেশায় একজন ব্যবসায়ী, মাতা- ফিরোজা বেগম, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর। শিক্ষাগত জীবনে দুটি বোর্ড পরীক্ষায় গোল্ডেন এ+ পেয়ে ঢাবি ভর্তি পরিক্ষায় ২৩ তম হন। এলএলবি শেষ করে তিনি বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সামুদ্রিক আইনে এলএলএম সম্পূর্ণ করেন। বর্তমানে তিনি সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী হিসেবে লিগ্যাল সলিউশন চেম্বারে ( এলএসসি) পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন এবং জাতীয় বিতর্ক সংগঠন বাংলাদেশ ডিবেট এসোসিয়েশন (বিডিএ) এর চেয়ারম্যান হিসেবে তরুন প্রজন্মের মাঝে বিতর্কের শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি 'ডিবেট বাংলাদেশ' এর সভাপতি থাকাকালীন বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন শতাধিক কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান এবং বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন কর্তৃক আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় স্পিকার এবং বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ এসোসিয়েশন (সায়া) এর সভাপতি ছিলেন। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বক্তব্য ও বিতর্কে বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেন। একাদশ শ্রেণীতে থাকাকালীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ বক্তা, ঢাবি ডিবেটিং সোসাইটি কর্তৃক ডিবেটার সার্চ প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বক্তা, আমার দেশ জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ান হয়ে শ্রেষ্ঠ বক্তা এবং ভারতে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান ডিবেট কম্পিটিশনে রানারআপ হয়ে শ্রেষ্ঠ বক্তার পুরস্কার লাভ করেন । তিনি ২০১৬ সালে জিনিয়াস বাংলাদেশ কর্তৃক ন্যাশনাল ইউথ আইকন অ্যাওয়ার্ড, ২০১৭ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল ইউথ কনফারেন্সে এশিয়ান ইউথ আইকন অ্যাওয়ার্ড এবং ২০২২ সালে গ্লোবাল ইয়থ পার্লামেন্ট কর্তৃক ইন্টারন্যাশনাল লিডার এওয়ার্ড পেয়েছেন। তিনি মালয়েশিয়ায় এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল ইউথ কনফারেন্স, ভারতে গ্লোবাল ইউথ পিস ফেস্ট ও নেপালে ইন্টারন্যাশনাল লিডারশীপ সাম্মিটে কি নোট স্পিকার হিসেবে আমন্ত্রিত হন। তিনি মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল ও ভারতসহ ১২ দেশে ভ্রমন করেছেন।