কে. এম. আমিনুল হক (রজব আলী)

কে. এম. আমিনুল হক (রজব আলী)

কে এম আমিনুল হক ১৯৫৩ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রামের আলীনগর মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম কে এইচ এম এ গণি সর্বজন শ্রদ্ধেয় কামেল বুজর্গ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার দাদা কে এম আলীমুদ্দিন শাহসাহেব এবং প্রপিতামহ ও প্রপিতামহী তৎকালে আরবী-ইসলামী শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত ছিলেন। উভয়ে ছিলেন হাফেজে কুরআন। পুরুষানুক্রমে এই বংশের উর্ধতন মহান ওলীয়ে কামেলগণ দ্বীনী খেদমতে নিবেদিত ছিলেন। তাঁদের কর্মপ্রবাহ ছিলো ঢাকা, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জসহ ব্যাপক এলাকার ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষের মধ্যে বিস্তৃত। আমিনুল হক দ্বীনী ঐতিহ্যের ধারক এই পরিবারের সন্তান হিসেবে বেড়ে ওঠার কালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণ করেন নিজ এলাকায়। অতঃপর ভৈরব কে. বি. স্কুলে মাধ্যমিক ও ভৈরব হাজী আছমত কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে অধ্যয়ন করেন। কলেজ জীবনে তিনি সাংবাদিকতার সাথে জড়িত হন এবং ভৈরব প্রেসক্লাবের সদস্য ছিলেন। শৈশব থেকেই তিনি একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেন। '৭১-এর উত্তাল সময়গুলো এসে যাওয়ায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ সম্ভব হয়নি। তিনি সে সময় পাকিস্তানকে অনিবার্য ধ্বংস থেকে রক্ষার জন্য বিবেকের তাড়নায় সক্রিয় অবস্থান নেন। '৭১-এর ডিসেম্বরে তাকে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়। ধারাবাহিক জুলুম-নির্যাতন ও কারাদণ্ড পরিণত হয় তার ভাগ্যলিপিতে। প্রহসনমূলক বিচারে তাকে চল্লিশ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। কারাবাস কালে গ্রন্থকার এইচএসসি এবং গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৮১ সালে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। ১৯৮২ সালে তিনি রাষ্ট্রীয় মেহমান হিসেবে ইরান সফর করেন এবং একই বছর পবিত্র হজ্বব্রত পালন করেন। এছাড়া পাকিস্তান ও হিন্দুস্তান সফরের অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার। তিন সন্তানের জনক আমিনুল হকের স্ত্রী আনোয়ারা খন্দকার ঢাকার একটি হাইস্কুলে সহকারী শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করছেন।

কে. এম. আমিনুল হক (রজব আলী) এর বই সমূহ

Showing 1 to 2 of 2

View

Sort icon