একজন খাঁটি মানুষ, কাজপাগল মানুষ, শিশুসাহিত্যে নিবেদিত প্রাণ মানুষ পৃথিবী ছেড়ে গেলেন। তার মৃত্যুতে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সবিশেষ ক্ষতি হয়ে গেল। কেমন করে এই ক্ষতি পূরণ হবে বা আদৌ কোনো দিন হবে কিনা, কে জানে? গত শনিবার, ৬ এপ্রিল, বেলা ১১টায় না ফেরার দেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন সুবলকুমার বণিক।
প্রখ্যাত সম্পাদক, বিশিষ্ট ব্যাকরণবিদ এবং ছড়াকার ও সাহিত্যিক সুবলদা এত তাড়াতাড়ি পৃথিবী ছেড়ে যাবেন, এ কথা কে ভেবেছিল? টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুরে ১৯৫২ সালে জন্ম নেন সুবলদা। ছোটবেলা থেকেই তার পরিচয় ছিল ভালো ছাত্র হিসেবে। সহপাঠীদের সবাই তাকে একটু সম্মানের চোখেই দেখতেন। শিক্ষকরা তো দৃঢ়ভাবেই আশা করতেন যে, সুবল বণিক একদিন তাদের মুখ উজ্জ্বল করবে। স্থানীয় কলেজের পড়া শেষ করে তিনি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে
এখান থেকে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। সুবলকুমার বণিকের প্রিয় বিষয় শিশুসাহিত্য। কোন লেখাটা শিশুদের মনস্তত্ত্ব গঠনে ভূমিকা রাখবে, তা তিনি ভালো করেই বুঝতেন। যখন তিনি লাল কলম হাতে নিয়ে সম্পাদকের টেবিলে বসতেন, তখন বিখ্যাত লেখকদের লেখাও অবলীলায় ফেলে দিতেন বা কেটে বদলে দিতেন।
৳ 0