৳ ৬০০ ৳ ৫১০
|
১৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
একাডেমিক বইয়ে প্রতি ১০০০ টাকার অর্ডারে একটি করে খাতা ফ্রি ও ডেলিভারি ফ্রি
বলা হয়ে থাকে, কমরেড মাও সে তুং যদি মহান চীন বিপ্লবের কান্ডারি না হয়ে শুধু কবিতা লিখতেন, তাহলেও তাঁর কবিতা বিশ্বসাহিত্য অনেক স্মরণীয়-বরণীয় কবির সঙ্গে শীর্ষে অবস্থান করত এবং যা এখনো অবিস্মরণীয়। কেননা, তাঁর কবিতা শিল্প-সাহিত্য সম্পর্কে মাওদের যে অঙ্গীকার, তা তাঁর কবিতায় যেমন ফুটে উঠেছে, তেমনি তাঁর ভাষ্যেও পরিস্ফুট। তিনি বলেছেন:
‘যদিও মানুষের সামাজিক জীবনই সাহিত্য ও শিল্বকলার একমাত্র উৎস এবং বিষয়বস্তু দিক থেকে অতুলনীয়ভাবে সমৃদ্ধ ও প্রাণবন্ত, তবুও মানুষ কেবল জীবনকে নিয়েই সন্তুষ্ট নয়, মানুষ সাহিত্য ও শিল্পকলার প্রয়োজনও অনুভব করে। এর কারণ কী? কারণ, যদিও জীবন এবং সাহিত্য ও শিল্পকলা উভয়ই সুন্দর, তবুও সাহিত্য ও শিল্পকলায় জীবনের যে রূপ প্রতিফলিত হয়, তা হতে পারে এবং হওয়া উচিত সাধারণ বাস্তব দৈনন্দিন জীবনের চেয়ে আরও উচ্চতর, আরও তীব্র, আরও কেন্দ্রীভূত, আরও বৈশিষ্ট্যমূলক ও আদর্শের আরও কাছাকাছি এবং সেই জন্যই ঢের বেশি বিশ্বজনীন। বিপ্লবী শিল্প-সাহিত্যের উচিত বাস্তব জীবন থেকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের চরিত্র সৃষ্টি করা এবং ইতিহাসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাছে জনগণকে সাহায্য করা। দৃষ্টান্তস্বরূপ, একদিকে রয়েছে অনাহারে, শীতে ও অত্যাচারে জর্জরিত মানুষ, আর অন্যদিকে রয়েছে সেসব লোক যারা তাদেরই সমাজের মানুষকে শোষণ ও নির্যাতন করে। এ রকম ঘটনা সব জায়গাতেই ঘটে এবং মানুষ এগুলোকে গতানুগতিক বলে মনে করে। লেখক ও শিল্পীরা এই প্রাত্যহিক ঘটনাগুলো কেন্দ্রীভূত করে থাকেন, এগুলোর ভেতরকার দ্বন্দ্ব ও সংগ্রামকে বৈশিষ্ট্য দান করেন এবং এমন সাহিত্য-শিল্প সৃষ্টি করেন, যা জনগণকে জাগিয়ে তোলে, তাঁদের ঐক্যবদ্ধ হতে এবং সংগ্রাম করতে অনুপ্রাণিত করে। এ ধরনের সাহিত্য-শিল্প ছাড়া এ কাজ সম্পন্ন হতে পারে না, অন্ততপক্ষে কার্যকরভাবে ও দ্রুত সম্পন্ন হতে পারে না….’ [মাও সে তুং এর রচনাবলির নির্ধারিত পাঠ, বিদেশি ভাষা প্রকাশনালয়, পিকিং, ১৯৭১, পৃ. ২৭৮-২৮০]।
মাওয়র কবিতার অধিকাংশই বিপ্লবকালীন যুদ্ধের ময়দানে রচিত। যার শব্দের গাঁথুনি অত্যন্ত ঋজু ও বলিষ্ঠ এবং বাক্যের গঠন আলোর স্ফুরণ ঘটায়। আর মাওয়ের কবিতার সবটাই চীনের সনাতন ধ্রুপদি ভাষারীতির সুর-ছন্দে রচিত। বিষয়বস্তুর মর্মমূলে রয়েছে স্বদেশ প্রেম, প্রকৃতি বন্দনা ও যুদ্ধ জয়ের বীরত্বের বিজয় কেতন। এবং এর মধ্যেই চীনের আবহমান ঐতিহ্য, রূপকথা, ধ্রুপদি লোকগীতির সুরের মূর্চ্ছনা ও মার্ধুয-যা এক রোমান্টিক স্বপ্নবিলাস ও বাস্তবতার সম্মিলন বই!
এই গ্রন্থের কবিতাগুলো বাংলায় তর্জমা করেছেন বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলা ভাষার সেরা কবিরা-যারা আজ সবই প্রয়াত।
Title | : | কবিতা সমগ্র- মাও সে-তুঙ |
Author | : | মুস্তাফা মজিদ |
Editor | : | মুস্তাফা মজিদ |
Publisher | : | আগামী প্রকাশনী |
ISBN | : | 9789840429875 |
Edition | : | 1st Edition, 2023 |
Number of Pages | : | 192 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
কবি ও গবেষক মুস্তাফা মজিদ লেখালেখি করেন কৈশোর থেকে (১৯৭০)। মার্কসবাদ-লেনিনবাদ এবং মাও সে-তুঙ এর চিন্তাধারায় উজ্জীবিত হয়ে কৈশোরেই তিনি গোপনে পূর্ব পাকিস্তানের এ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী)-এর রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন । গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ শেষে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক করেছেন ঢাকাতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লোক প্রশাসন থেকে স্নাতক সিম্মান), স্নাতকোত্তর, এম ফিল ও পিএইচ ডি করেছেন। প্রশিক্ষণ নিয়েছেন জার্মানীতে।
মূলত তিনি কবি ও গবেষক এবং সম্পাদনায় যুক্ত। তার রচিত ও সম্পাদিত প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ৫৬। ১০টি কাব্যগ্রন্থ সহ উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ ও গবেষণা গ্রন্থ: বাংলাদেশের রাখাইন’, ‘The Rakhaines' {পিএইচ ডি গবেষণা], ত্রিপুরা জাতি পরিচয়', 'ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিচয়, চাকমা জাতিসত্তা', আদিবাসী রাখাইন', 'মারমা জাতিসত্তা', বাংলাদেশে মঙ্গোলীয় আদিবাসী’, ‘গারে জাতিসত্তা', 'হাজং জাতিসত্তা', আদিবাসী সংস্কৃতি [১ম ও ২য় খ-, 'লোক প্রশাসনের তাত্ত্বিক প্রসঙ্গ’, ‘আমলাতন্ত্রের স্বরূপ”, “বাংলাদেশের আমলাতন্ত্র, রাজনীতিতে সামরিক আমলাতন্ত্র', 'নেতৃত্বের স্বরূপ', বাংলাদেশে বঙ্কিমচন্দ্র', মুক্ত ও মুগ্ধ দৃষ্টির রবীন্দ্র বিতর্ক, শতবর্ষে অক্টোবর বিপ্লব’, ‘অক্টোবর বিপ্লবের তিন কবি' ইত্যাদি। আর ছোটদের জন্য কাব্যগ্রন্থ “স্বাতীর কাছে চিঠি', গল্পগ্রন্থ 'দীপুর স্বপ্নের অরণি ও জীবন থেকে; ‘ছোটদের ৭টি মঞ্চ-নাটক এবং জীবনীগ্রন্থ রূপকথার নায়ক হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন' ও বঙ্গবীর ওসমানী।
ড. মুস্তাফা মজিদ ছাত্রাবস্থায় কাজ করেছেন খবরের কাগজে রিপোর্টারের ১৯৭৪-১৯৮৪]। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে উপ পরিচালক থেকে মহাব্যবস্থাপক পদে [১৯৮৪-২০১৪] । তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সাহিত্যিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে যুক্ত। যেমন: স্বদেশ চিন্তা সঞ্জ, ছায়ানট জাতীয় কবিতা পরিষদ, বাংলাদেশ লেখক শিবির কচি-কাঁচার মেলা, ঢাকা থিয়েটার, ঢাকা শিশু নাট্যম অন্যতম। বর্তমানে তিনি বিজ্ঞান-সাহিত্য-সংস্কৃতির ত্রৈমাসিক ‘অনীক'-এর সম্পাদক ও সমাজ সন্দর্শন কেন্দ্র'-এর সভাপতি।
এছাড়া তিনি নিজ গ্রাম পটুয়াখালী জেলার সুবিদখালীতে স্ব-উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ছেলেমেয়েদের জন্য পরী পাঠাগার, সংগীত ও বিজ্ঞান বিদ্যাপীঠ' নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন ।
জন্ম ১৪ এপ্রিল ১৯৫৩ । ভ্রমণ করেছেন ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, সুইডেন, জার্মানী, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, ভারত, থাইল্যান্ড, চীন, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা।
If you found any incorrect information please report us