অক্ষরবৃত্তের পদাবলি (হার্ডকভার)
অক্ষরবৃত্তের পদাবলি (হার্ডকভার)
৳ ২৫০   ৳ ২১৩
১৫% ছাড়
1 টি Stock এ আছে
Quantity  

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

কুপন কোড: ACADEMIC ব্যবহার করলেই নিশ্চিত ১০% ছাড় এবং ডেলিভারি একদম ফ্রি !! সাথে পাচ্ছেন ১০০০ টাকার ডিসকাউন্ট কার্ড ফ্রি। মাত্র ১০০০ বা তার বেশি টাকার পাঠ্যবই ও অনুশীলনমূলক বই -এর জন্য প্রযোজ্য।

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

প্রবাসী মৌ মধুবন্তির কবিতার সংগে আমার পরিচয় প্রাথমিক দিকে একেবারেই ছিলোনা। পরে ফেইসবুকের কল্যাণে,ভারচুয়াল যোগাযোগের মধ্য দিয়ে এবং আরো পরে ও যখন ঢাকায় আসে তখন তার ও তার কবিতার সংগে আমার পরিচয়য়টি বিস্তৃত হতে থাকে। তখন তার কিছু কবিতা পড়ে আমার ভালো লেগেছিলো এই জন্যে, যে আমি বোধ করেছিলাম মৌ-এর কবিতায় একটি প্রতিশ্রুতি ও সম্ভবনাময়তার গুনগুন রয়েছে। মৌ শুধু কবিতা লেখেন না, তিনিএকজন গল্পকার,গীতিকার, নাট্যাভিনেত্রী, অ-নারীবাদে বিশ্বাসী কমিউনিটি এক্টিভিস্ট ও গ্লোবাল সিটিজেনশিপে বিশ্বাসী গৈরিক মানবতাবাদী হিসাবেও নিজের জীবনকে যাপন করেন। গল্পকার আর গীতিকার কবিতার পক্ষেরই জিনিষ। সেটা ঠিক আছে। কিন্তু অন্য পরিচয়গুলো খারাপ না হয়েও কতোটা কবিতার জন্য অনূকূল তা কবিকে ভেবে দেখতে হয়। কবিতা কবিকে পুরোপুরি চায়,পারটাইম নিতে চায়না। উপরন্তু ভিন্ন একটি ভাষায়, তার চাইতে দুস্তর ভিন্ন একটি সংস্কৃতিতে বাস করে কবিতা লিখতে হলে কবিকে নিজেরটার পাশাপাশি যাপন করা বরতমান সংস্কৃতির ভেতরেও ডুব মারতে জানতে হয় এবং এবং তার থেকে নিজের কবিতার জন্য প্রযোজনীয় মাল-মশলা সংগ্রহ করার কৌশলটিও জেনে নিতে হয়। একজন জার্মান হাইনে কি রিলকের পক্ষে প্যারিসে, একজন লোরকার পক্ষে নুইয়রকে, একজন ইয়েটস কি এলিয়টের পক্ষে ইংল্যান্ডে বা একজন স্পেনিস পিকাসোর পক্ষে প্যারিসে বসে শিল্প যাপন করা খুব সম্ভব -- তাদের ভাষা ভিন্ন হওয়া স্বত্বেও৷ -- ধরম ও সংস্কৃতি এক বলে, যা আমাদের বাংলালী প্রবাসীদের জন্য প্রযোজ্য নয়। ঝামেলাটা এখানে। মৌ মধুবন্তীর সংগে শেয়ার করতে গিয়ে বিষয়টিকে আমি সকল বাংলাদেশি প্রবাসী লেখকদের সংগে শেয়ার করলাম। মৌ-এর 'অক্ষরবৃত্তের পদাবলী' কবিতার বইটির প্রতি আমি প্রথমে আকর্ষণ বোধ করি নামের জন্য এবং পরে ছন্দে কবিতা লিখবার প্রয়াসের জন্যে। কারন, আমি ছন্দে বিশ্বাসী। বিশেষ করে বাংলা কবিতা ছন্দ ছাড়া হতেই পারে না। আমাদের সাম্প্রতিক প্রায় সকল কবিই যারা গদ্যে -- ফ্রি ভারসে লিখছেন, তারা বলেন গদ্যেও ছন্দ আছে। কিন্তু তারা তাদের ছন্দের রূপটি কী, তা দেখিয়ে দিতে পারেন না। আমরা তো আমাদের প্রতিটি ছন্দের রূপটি কী তা জানি এবং সেটাকে দেখিয়েও দিতে পারি ! না, ছন্দই কবিতা নয়, কিন্তু কবিতার জন্য ছন্দ লাগবেই এবং উপমা, প্রতীক, চিত্রকল্প, এলিউশন সহ অন্য অলংকারগুলোও।  মৌ মধুবন্তীর 'অক্ষরবৃত্তের পদাবলী' আমাদের কবিদের এই পটভুমিতে দৃষ্টি দিতে উদ্বুদ্ধ করবে। আমি মৌ কে স্বাগত করি ছন্দে কবিতা লেখার এক সুদর যাত্রায়। মৌ এর কবিতায় রয়েছে প্রেম, দেশপ্রেম,ঘাম আর একটি ঘরোয়া গুনগুনানির সুর। ছন্দে কবিতা লেখার আরেকটা লাভ হচ্ছে সে পদ্য আর কবিতার মধ্যকার ব্যবধানও দখিয়ে দেয়। তখন কবির জন্য পদ্য থেকে কবিতার দিকে যাওয়ার পথটি খুজে নিতে সুবিধা হয়,সুবিধা হয় ছন্দের, মাত্রার, পংক্তির আর অন্তমিলের প্রয়োগগুলো ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা সে বিষয়েও সচেতন হওয়ার -- সন্দেহ নেই। মৌ-এর 'অক্ষরবৃত্তের পদাবলি ' অন্য বৃত্তেও পল্লবিত হোক এই আমার কামনা! --- কবি জাহিদুল হক

Title : অক্ষরবৃত্তের পদাবলি
Author : মৌ মধুবন্তী
Publisher : প্রতিবিম্ব প্রকাশ
ISBN : 9789849759157
Edition : 1st Published, 2023
Number of Pages : 48
Country : Bangladesh
Language : Bengali

অনন্ত আকাশ আর সীমাহীন চাঞ্চল্য বুকে নিয়ে কবিতার কৌতূহলী চোখে পৃথিবীকে নতুন ভাবে আবিষ্কারের নেশায় কবি মৌ মধুবন্তী পৃথিবীর পথে প্রান্তরে ছুটে বেড়ালেও বাংলাদেশ তথা তার জন্মভূমির চিরায়ত রূপ সারাক্ষণ অস্তিত্বের ভেতর জেগে থাকে। তার স্বদেশ প্রেমের কথা এখন অনেকটাই মিথে পরিনত হয়েছেl কানাডায় বসবাসরত এ কবি বাংলা ভাষার ডায়াস্পোরিক কবি, গল্পকার, গীতিকার, নাট্যাভিনেত্রী, এবংভার্চুয়াল জগতে জনপ্রিয় এঙ্কর। ১৯৯৪ সালের আগ পর্যন্ত কবি ছিলেন নিভৃতচারী ও লাজুক লেখক। পরবর্তীতে তার দর্শন বদলে যায়। তিনি মনে করেন কবিতা হলো কবির একান্ত সৃষ্টি যার প্রচার হলো পাঠকের সাথে লেখকের এক ধরনের কমুনিকেশান যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কবি তার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময় থেকেই লেখার সাথে যুক্ত। কবি মৌ মধুবন্তীর লেখায় পাওয়া যায় প্রশ্ন, ব্যক্তিত্ব ও অদম্য সাহস। কবি প্রচুর নিরীক্ষাধর্মী লেখা লেখেন। একজন সিঙ্গল প্যারেন্ট হিসাবে একাই তার সন্তান লালন-পালন করলেও তিনি সব সময় কবিতার প্রতি ভীষণ নিবেদিতপ্রাণ। তিনি মৌলিক চিন্তায় ও স্বাতন্ত্র্যবোধে তীব্র বিশ্বাস করেন। জন্মভূমি বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে থেকেও তিনি অবিরাম তার হৃদয়ে ও স্বপ্নে লালন করেন বাংলাদেশকে। যে রাঙ্গা সূর্য উদিত হয় বাংলাদেশে তারই ঔজ্জ্বল্য জ্বলজ্বল করে তার রক্তে ও ধমণীতে। তিনি তাকে দেখেন তার সন্তান ও বইয়ের অন্যতম মা হিসাবে। কবিতার ব্যাপারে কবি দৃঢ় প্রত্যয়ী। কবিতার গুণগতমান নিয়ে তিনি কখনোই আপোস করেন না। কবি মানুষের মাঝে মনুষ্যত্ব খুঁজে বেড়ান। কবিতা লেখার মূল আদর্শ হলো মানুষকে তিনি ভালোবাসেন নিঃস্বার্থভাবে। বাংলা ও ইংরেজি দুই মাধ্যমেই কবি কবিতা লেখেন।  বাংলা কবিতার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিদেশ বিভূয়ে অবস্থান করেও যে সব কাব্য আন্দোলনকারী তাঁদের তাজা কবিতার জন্য যেসব উপাদানকে অত্যাবশ্যকীয় বলে মনে করেন তা হলো চিত্রকল্প।  পাশ্চাত্যে একসময় মনে করা হতো ‘রূপকই কবিত্ব’, কেউ কেউ বলতেন “উপমাই কবিত্ব”; আর্থার সীমন্স-এর একটি বইয়ের আলোচনা লিখতে গিয়ে ডব্লিউ বি ইয়েটস লিখেছেন: কবিতার সব অলঙ্কার বিলুপ্ত হলেও প্রতীক ব্যবহারের গুরুত্ব কমবে না, কারণ তা হলে কবিতা আর কবিতা থাকবে না। এতে বোঝা যায় ইয়েটস বলতে চেয়েছেন: “প্রতীকই কবিত্ব!” আমরা কম বেশি সকলেই জানি মৌ মধুবন্তী তাদের মধ্যে অন্যতমl  বর্তমানে পেশায় অনলাইন মার্কেটার, টরন্টো পাবলিক হেলথে ভ্যাক্সিন এম্বাসেডর ও বিসিএস নন প্রফিট অর্গানাইজেশনের ফাইট মিসোজিনি প্রজেক্টে ফ্যামিনিস্ট লিডার হিসাবে কর্মরত। কাজ করেছেন, ভিক্টিম এসিস্টেন্স প্রোগ্রামে, প্রিভেনশান অফ টাইপ টু ডায়াবেটিস এ (টরন্টো পাবলিক হেলথে)l ফান্ড রেইজিং কোর্ডিনেটর হিসাবে সাফস, নন প্রফিটে। হোম ভিজিটর হিসাবে প্যারেন্টস ফর বেটার বিগিনিং এ।   বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এ কবি আবৃত্তিতে যুক্ত আছেন ১৯৮৮ সাল থেকে। আবৃত্তিতে উৎকর্ষ লাভের জন্য যুক্ত হয়েছেন আবৃত্তিমেলায়। তিনি মনে-প্রাণে বাংলা ভাষার শুদ্ধ উচ্চারণের প্রতি আনত চিরকাল। কবিতা লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্বে তিনি সুদ্ক্ষ একজন এম্ব্যাসেডর হিসাবে কাজ করে থাকেন। সম্প্রতি প্যানোরমা ইন্টারন্যাশনাল লিটারারি ফ্যাস্টিভাল ২০২২, গ্রীস থেকে আয়োজিত অনুষ্ঠানের জন্য কানাডার কোর্ডিনেটর হিসাবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়েছেন। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব কানাডা'র সভাপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন।রোমানিয়া থেকে ওয়ার্ল্ড লিটারেচার একাডেমি আয়োজিত কবিতা প্রতিযোগিতায়,” ওয়ার্ল্ড পোয়েটিক স্টার” এওয়ার্ড পেয়েছেন তার ইংরেজী কবিতা 'দ্যা নভেম' এর জন্য। বিশ্বে নানা ভাষার এন্থলজিতে স্থান পাচ্ছে তার লেখা কবিতা।  কবিতা ও গীতিকবিতা লেখা, মঞ্চাভিনয়, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও ইভেন্ট কোর্ডিনেটে তার ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]