টেড টকস (হার্ডকভার)
টেড টকস (হার্ডকভার)
৳ ৬০০   ৳ ৫১০
১৫% ছাড়
Quantity  

তথ্য সাময়িকী সালতামামি – ২০২৩  অর্ডার করলে সাথে সালতামামি ২০২২ ফ্রি

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

চারপাশে আলো-আঁধারির খেলা। এর মাঝে একজন মানুষ স্টেজে এসে দাঁড়িয়েছেন। তার সামনে অনেকগুলো চেয়ারে আরো অনেক মানুষ সমাসিন। তারা সবাই স্টেজের সেই মানুষটির দিকে তাকিয়ে আছেন। কী বলবেন তিনি?
কীভাবে উপস্থাপন করবেন নিজের না বলা কথামালা? এই প্রশ্ন দর্শক শ্রোতাদের মনে। সেই সাথে প্রশ্নগুলো স্টেজের মানুষটির মনেও সমানভাবে তোলপাড় তুলছে। তার হাত-পা ঘামছে। হাঁটু কাঁপছে। তিনি পারবেন তো! এটি একটি পাবলিক স্পিকিং এর চিত্র। কারো সামনে কথা বলার সময় আমাদের ভাবতে হয়, কারণ মুখ দিয়ে যা একবার বের হয় তা আর ফেরতযোগ্য নয়। বলে ফেলা কথাগুলো আর মুছে ফেলাও সম্ভব হয়না। তাই যোগাযোগের অন্য সব মাধ্যমের থেকে মুখের কথা অনেক গুরুত্ববহ মাধ্যম। আমরা কীভাবে কথা বলতে পারি বা বলব? অনেকে ভাবতে পারেন কীভাবে কথা বলব এটা আবার শিখতে হয় নাকি? মানুষ জন্মের পরপরই এই মাধ্যমটি রপ্ত করা শেখে ঠিকই তবে এই মাধ্যমটির যথাযথ ব্যবহারের উপর আমাদের মান-সম্মান এবং ভাল-মন্দ নির্ভর করে। আবার মানুষ কথার দ্বারা যতটা আন্দোলিত হয় ততটা আর কিছুতে হয় না। যেমন আমরা যখন কাউকে আমাদের ভালোলাগার কথা জানাই তখন সে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে , কাউকে যখন ঘৃণার কথা জানাই তখন সে দুঃখ অনুভব করে। এভাবে কথার দ্বারা আমাদের অনুভূতি নিয়ন্ত্রিত হয়। মানুষ যখন লিখতে জানতো না তখনও কিন্তু সে বলতে জানতো। তাই ‘কথা’ একটি প্রাচীন শিল্প। শুরুর দিকে এর শিল্প গুরুত্ব না থাকলেও মানব সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে জ্ঞান চর্চার অগ্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে কথার শিল্পগুণ এবং শৈল্পিক দিক বিকশিত হতে থাকে।স্কুলের একটি ক্লাসে ইংরেজির শিক্ষক জিজ্ঞেস করলেন- আজ ক্লাস নাইনে তোমাদের সাথে আমার প্রথম ক্লাস। আজ আমি পাঠ্য বই থেকে কোন কিছুই শেখাবো না। আজ একটি প্রশ্ন করব, তোমরা উত্তর দাও দেখি! বল তো পৃথিবীতে কোন জিনিসটি সবচেয়ে বেশি তিতা সেই সাথে সবচেয়ে বেশি মিষ্ট ও ? আমি ধীরে ধীরে জবাব দিলাম ‘স্যার মানুষের মুখের কথা সবচেয়ে বেশি তেতো আবার মিষ্ট ও।’ স্যার হাসলেন এবং ধন্যবাদ জানালেন। যে কথা একই সাথে তেতো আবার মিষ্টও, সেই কথা থেকে তিক্ততা ঝেরে ফেলে একে সুগার কোটেড রাখা যায় কী করে? উপায় কী? উপায় অবশ্যই আছে। সেই উপায়ে একজন মানুষ সারাবিশ্বে জনপ্রিয় বক্তায় পরিণত হতে পারেন, শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নিতে পারেন সর্বোপরি এই অশান্তি অরাজতায় ছাওয়া পৃথিবীতে সুন্দর কথার সুবাস ছড়িয়ে দিতে পারেন
 আমরা মানুষ হিসেবে একজন কথক, কথা বলতেই হয়। কথা না বললে আসলে চলেনা। আমরা ব্যক্তিজীবনে যেভাবে কথা বলি তার মাঝেও থাকে অনেক নিয়ম- কানুন। আদব-কায়দা। যাকে তাকে যখন তখন যে সে কথা বলা যায় না। আবার আমরা যখন সামষ্টিক জীবনে অনেক মানুষের সামনে কথা বলি তখন সেখানেও বিরাজ করে কিছু আদব-কানুন
‘টেড টকস’ গ্রন্থটি জনসম্মুখে কথা বলার বিশেষ বিশেষ নিয়ম সমৃদ্ধ একটি মাস্টারপিস গ্রন্থ। এটি জনসম্মুখে কথা বলার বিশেষ গ্রন্থ হলেও এর একেকটি নিয়ম আমাদের ব্যক্তিগত জীবনেও সমানভাবে প্রযোজ্য। কোন কথাটি ব্যক্তি জীবনে বলা গেলেও জনসম্মুখে বলা উচিৎ নয়, জনসম্মুখে কথা বলার সময় কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করে তুলতে হয়, কোনটি করণীয় এবং বর্জনীয়, সফল মানুষেরা কীভাবে কথা বলেন, নিজের মাথায় আইডিয়া গিজ গিজ করছে অথচ তা প্রকাশের উপায় পাচ্ছেন না- সেই উপায়, গল্প- ব্যাখ্যা- তথ্যের যথাযথ ব্যবহারের নিয়ম- কানুনসহ আরো অনেককিছুর সমাহার এই গ্রন্থটি।
গ্রন্থটি মোট পাঁচটি অংশের সমন্বয়। মূল পাঁচটি অংশের ভেতরে রয়েছে আরো অনেকগুলো অংশ যেগুলোতে কথার শিল্প বর্ণিত হয়েছে। মূলত ‘টেড টকস’ হলো মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রকাশের প্রধান শিল্প ‘কথা’র নির্দেশনা মূলক গ্রন্থ। গ্রন্থটি লিখেছেন বিশ্বের তুমুল জনপ্রিয় ও শিক্ষামূলক প্পলাটফর্ম টেড স্টেজের কর্ণধার ক্রিস অ্যান্ডারসন। বিখ্যাত লেখক এলিজাবেথ গিলবার্ট বলেন, ‘পাবলিক স্পিকিং এর বৈজ্ঞানিক ও শৈল্পিক চমৎকারিত্ব সম্পর্কে ক্রিসের মতো কেউ বুঝেন না। অন্তত এই দুনিয়ায় না। তিনি বছরের পর বছর ধরে বক্তাদেরকে সমানভাবে উৎসাহিত করে আসছেন। এমনকি একজন বক্তা যখন ভয়ে ভীত, স্নায়ুচাপে পীড়িত তখনও কীভাবে স্টেজে সবচেয়ে ভালভাবে নিজেকে উপস্থাপন করা যায় সেই নির্দেশ তিনি দিয়ে আসছেন। কথা বলার নির্দেশনা সংবলিত এই গ্রন্থ রচনার ক্ষেত্রে তিনি সম্পূর্ণভাবে উপযুক্ত এবং যোগ্য। গ্রন্থটি আরো অনেকের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ হবে।
আমরাও তাই চাই। সেই দিক বিবেচনায় এই গ্রন্থটি অনুবাদের প্রয়াস। গ্রন্থটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কথায় প্রাণ স্পন্দন জাগ্রত করে কথাকে আরো অর্থবহ করে তুলতে পারলে আমাদের প্রয়াস সফল ও সার্থক হবে .

Title : টেড টকস
Author : ক্রিস অ্যান্ডারসন
Translator : নুসরাত তাজরী
Publisher : চর্চা গ্রন্থ প্রকাশ
ISBN : 9789849268482
Edition : 1st Published, 2020
Number of Pages : 383
Country : Bangladesh
Language : Bengali

If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]