জয়কলস (হার্ডকভার)
জয়কলস (হার্ডকভার)
৳ ২০০   ৳ ১৭৬
১২% ছাড়
Quantity  

তথ্য সাময়িকী সালতামামি – ২০২৩  অর্ডার করলে সাথে সালতামামি ২০২২ ফ্রি

১১৯৯ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

১২ মাসের তথ্য সাময়িকী (জানুয়ারী – ডিসেম্বর, ২০২৩)  এখন ৬০% ছাড়ে

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

আঠারো-উনিশ শতকে পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, ত্রিপুরা, যশোর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ এবং সিরাজগঞ্জে বড় বড় কৃষকবিদ্রোহ সংঘটিত হলেও সিলেটে তেমন কৃষকবিদ্রোহের কথা জানা যায় না। তবে ব্যতিক্রম পুঁটিজুড়ি পরগণার কৃষক-অসন্তোষ-যেটি সংঘটিত হয় উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে। এরকমই আরেকটি বিদ্রোহ হল জয়কলসের কৃষকবিদ্রোহ-ইতিহাসে স্থান না পেলেও যে বিদ্রোহের কথা জানা যায় স্থানীয় কিংবদন্তী থেকে। 

বিদ্রোহের স্থান দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার (২০২১ সাল থেকে শান্তিগঞ্জ উপজেলা) জয়কলস গ্রাম। কলস সেচ পদ্ধতিতে জমিতে পানি ঢেলে এবং নৌকাবাইচে কলস জিতে জমিদার ও ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে একটি অভাবনীয় ইতিহাসের মাইলফলক তৈরি করে সেখানকার কৃষকগণ। ভাটিবাংলার সে ঘটনা-আলেখ্যকে প্রথম উপস্থাপন করেন মাহমুদ নাসির জাহাঙ্গীরি জয়কলস নাটক মঞ্চায়নের মাধ্যমে। নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হয় আজমিরীগঞ্জে। নহলী পত্রিকায় প্রকাশের সময় নতুন সংস্করণ তৈরি হয়। সবশেষে পুস্তকাকারে প্রকাশের সময় এর সঙ্গে যুক্ত হল হাওরাঞ্চলের সাত শত বছরের ইতিহাস, সূত্রধারের বয়ানে।

কলস এ নাটকে উপস্থাপিত হয়েছে স্বাধীনতা, সাফল্য ও উর্বরতাবাদের প্রতীক হিসাবে। তবে অনন্যসাধারণ হচ্ছে তার বিদ্রোহের ধরন। সারা বাংলাদেশের কৃষক বিদ্রোহের ইতিহাসে একটি শ্রেষ্ঠ বিদ্রোহ হচ্ছে শাহজাদপুেেরর কৃষকবিদ্রোহ-যাকে বলা হয় 'পলো বিদ্রোহ'। উদ্ভাবনার দিকে থেকে এরকমই আরেকটি বিদ্রোহ হচ্ছে জয়কলসের কৃষকবিদ্রোহ-যাকে বলা যায় 'আলো বিদ্রোহ'।

Title : জয়কলস
Author : মাহমুদ নাসির জাহাঙ্গীরি
Publisher : উৎস প্রকাশন
ISBN : 9789849815983
Edition : 1st Published, 2023
Number of Pages : 64
Country : Bangladesh
Language : Bengali

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে সমালোচনা, ছোটগল্প, কবিতা-এই তিনটি শাখায় কাজ করে বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেন মাহমুদ নাসির জাহাঙ্গীরি। এটি ছিল এমন এক অগ্নিগর্ভ সময়-যখন জাহাঙ্গীরনগর সাহিত্যের তীর্থস্থানে পরিণত হয়। কবি মোহাম্মদ রফিক খোলা কবিতা লিখে দেশের শীর্ষ কবি হয়ে ওঠেন এবং সেলিম আল দীন তৃতীয় ধারার নাটকের সন্ধানে শুরু করেন গ্রাম থিয়েটার আন্দোলন। ১৯৭৯ সাল থেকে ঢাকা থিয়েটার দেশজ নাট্যবিষয় ও জাতীয় আঙ্গিক অন্বেষণের জন্য বেছে নেয় মেলাকে। ১৯৮৪ সালের পর সদ্যপ্রতিষ্ঠিত উপজেলা পর্যায়ের কলেজগুলোতে যোগ দিয়ে এবং ১৯৮৮ সালের পর গ্রামীণ ব্যাংকের তৃণমূল শাখার সহযোগিতা নিয়ে জাহাঙ্গীরি শুরু করেন দেশজ ঐতিহ্য অন্বেষণের কাজ। গজারিয়া কলিমউল্লাহ কলেজে যোগদান করে প্রথম রচনা ও মঞ্চস্থ করেন চর কাসুন্দি এবং আজমিরীগঞ্জ রফিক আহম্মদ কলেজে যোগদান করে জয়কলস নাটক। তারই ধারাবাহিকতায় রচনা করেন আঞ্চলিক উপন্যাস: কাহাত কহর সাল (ঢাকা, ঐতিহ্য, ২০০২) এবং আঞ্চলিক গল্প: তিমিরাভিসার ও রক্তকলস (ঢাকা, একাডেমিক প্রেস অ্যান্ড পাবলিশার্স, ২০০৬)। তাছাড়া প্রকাশিত হয়েছে: গবেষণা: বাংলাদেশের কবিতা উত্তরাধিকার ও স্বরূপ (১৯৫২-১৯৭১), (ঢাকা, ঐতিহ্য, ২০০৪) সমালোচনা: কবি জীবনানন্দ দাশ: আদ্যন্ত সম্প্রসারণশীল চেতনা, (ঢাকা, একাডেমিক প্রেস অ্যান্ড পাবলিশার্স, ২০০৫) কাব্য : নদী মাতা যার (ঢাকা, ঐ, ২০০৭) কাব্য: তুরাগ নদীর কাব্য (ঢাকা, নহলী, ২০০৯) কাব্য: আসমুদ্রহিমাচল (ঢাকা, কবিতাবাংলা, ২০১৪).


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]