৳ ৪০০ ৳ ৩৩৯
|
১৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
প্রায় ১৯ বছর কাজ করছি পুষ্টি বিষয় নিয়ে। রোগীর ডায়েট ম্যানেজমেন্টের একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে কাউন্সেলিং। এই সুবাদে জীবনে অনেক রোগী ও তাদের পরিবারের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়।
২০১২ সালে একজন কিডনি রোগী তার পথ্য পরামর্শ নিতে আমার কাছে আসেন। তার সাথে তার ছেলে, ছেলের বউ, স্ত্রী ও মেয়ে ছিল। তার কিডনি রোগ স্টেজ ৩-এ ছিল। আমি তাকে পুরো ডায়েট বুঝিয়ে দিলাম, তার পরিবারের সবার সব প্রশ্নের উত্তর দিলাম। একেবারে শেষে যখন চলে যাবেন তিনি, আমার দিকে খুব মায়া দৃষ্টিতে বললেন, 'মা, একসময় টাকার অভাব ছিল খুব, ভালোমতো খেতে পারিনি। এখন আল্লাহ অনেক টাকা দিয়েছেন, কিন্তু খাওয়া তুমি সব বন্ধ করে দিলে।' কথাটা আমি আজও ভুলিনি। এর পর থেকেই ঠিক করেছিলাম কিছু একটি করব।
আমি ভালো রান্না পারি না। তার পরও শ্রদ্ধেয় সিদ্দিকা কবীর ম্যাডামের বই কিনে রান্না প্র্যাকটিস করলাম, আমার মায়ের কাছে হাতে-কলমে রান্না শেখার চেষ্টা করলাম। আমার মা সিদ্দিকা কবীর ম্যাডামের সরাসরি ছাত্রী ছিলেন। অনেক ভালো রান্না করেন। এভাবে বিভিন্ন রেসিপি পর্যালোচনা করলাম। সিদ্ধান্ত নিলাম বই লিখব।
একজন কিডনি রোগীর খাবারে পানি থেকে শুরু করে সব উপাদানেই রেস্ট্রিকশন থাকে। সেখান থেকে মজাদার খাবার খাওয়া একেবারে কঠিন হয়ে পড়ে। একজন কিডনি রোগী তার ডায়টেশিয়ানের পরামর্শমতে সবসময় বাসার সাধারণ রান্নাই খাবেন। কিন্তু কখনো কখনো যখন খুব বিরক্তি আসবে তখন আমার এ বই দেখে তার বরাদ্দের খাদ্য উপাদান দিয়ে একটু মুখরোচক খাবার খেতে পারবেন। আশা করি মাঝেমধ্যে রুচির পরিবর্তন করতে বইটি তাদের সাহায্য করবে।
Title | : | কিডনিবান্ধব পথ্য |
Author | : | তামান্না চৌধুরী |
Publisher | : | ক্রিয়েটিভ ঢাকা পাবলিকেশন্স |
ISBN | : | 9789848071670 |
Edition | : | 1st Published, 2023 |
Number of Pages | : | 128 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
লেখক পরিচিতিঃ তামান্না চৌধুরী অগ্রণী বালিকা বিদ্যালয় থেকে এস. এস.সি। বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ থেকে এইচ. এস. সি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। তিনি পেশায় শিক্ষিকা, ম্যাপল লীফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ধানমণ্ডি, ঢাকাতে কর্মরত। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে সুদীর্ঘ কাল চাকরি করার সুবাদে সব মজার মজার অভিজ্ঞতা তিনি প্রায়ই শেয়ার করেন। লেখিকা বাচ্চাদের চাইল্ড সাইকোলজি বেশ ভালো ভাবেই বুঝেন। গল্প লিখতে গেলে তিনি একজন শিশুর চোখেই পুরো বিষয়টা দেখার চেষ্টা করেন। তবে স্কুল জীবন একবারে শিশুকাল থেকেই তার লেখালেখি শুরু। স্কুলে তার মনটা পড়ে থাকতো ক্লাসের বাইরে। মন মোটেই বসতো না ক্লাসে।তার ভালো লাগতো মানুষকে পর্যবেক্ষন করতে। তাদের মুখ , চোখের ভাষা কিংবা বিভিন্ন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের মুখের রং, আচরনের পরিবর্তন দেখতে! মাঝে মাঝে ভেবে অবাক হতেন; কি করে একটি ভয়ঙ্কর পোকা থেকে এতো সুন্দর প্রজাপতি হয়!তার চোখ প্রায়ই জানালা গলিয়ে, মাঠ পেরিয়ে চলে যেতো দূরের গাছে; যেই গাছে ডাকতো সবুজ, হলদে, সাদা আর কালো পাখিরা। মাঝখানে তার লেখার অনেকটা বিরতি ছিল। তবে এখন কিছুটা নিয়মিত লেখার চেষ্টা করেন। গল্প লিখতে তার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।তার আরো ভালো লাগে বই পড়া, ঘুরতে যাওয়া।গল্প,কবিতা লেখা,পছন্দের গান শোনা। অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া তার পছন্দ নয়। অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করেন।
If you found any incorrect information please report us