
৳ ২২৫ ৳ ১৬৯
|
২৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER





সেই আদিকাল থেকেই মানুষ শারীরিক ব্যথা-বেদনা উপশমে ও রোগ মুক্তির জন্য বিভিন্ন প্রাকৃতিক জিনিসের উপর নির্ভরশীল। প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতির উপর ভিত্তি করেই আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান আজ এতটা অগ্রসর। প্রাচীনকালের বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রায় ৫০০০ বছর পূর্বে চীন ও ভারতে চাপ পদ্ধতির মাধ্যমে এক প্রকার চিকিৎসা সেবা দেয়া হত। যা পরবর্তীতে আকুপ্রেশার নামে পরিচিতি লাভ করে। এ ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত একটি পদ্ধতি বর্তমান বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে যার নাম আকুপাংচার। কিন্তু আমাদের আলোচ্য বিষয় আকুপাংচার নয়, আকুপ্রেশার যা রিফ্লেক্সোলজি নামে অধিক সমাদৃত। এই পদ্ধতিতে কোন প্রকার যন্ত্র ছাড়াই শুধু মাত্র হাতের আঙ্গুলের সাহায্যে নির্দিষ্ট পয়েন্টে চাপ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। রিফ্লেক্সোলজি হল অনুভূতির প্রতিফলন। অর্থাৎ দেহের কোন অঙ্গের সমস্যায় হাতে বা পায়ে অবস্থিত বিভিন্ন পয়েন্ট বা চিহ্নিত স্থানে চাপ দিলে তার প্রতিফলন নির্দিষ্ট অঙ্গে পৌঁছায়। অর্থাৎ আয়নায় যে রকম কোন বস্তুর ছবি প্রতিফলিত হয় ঠিক সেরকম।
Title | : | ব্যাথামুক্ত দেহ |
Author | : | ডা. আলমগীর মতি |
Publisher | : | প্রান্ত প্রকাশন |
ISBN | : | 9789849124214 |
Edition | : | 1st Published, 2015 |
Number of Pages | : | 144 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
ডাঃ আলমগীর মতি ১৯৫১ সালের ১ জানুয়ারি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলাধীন কলুকাঠি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম মরহুম মৌলভী গোলাম মোস্তফা এবং মাতার নাম রহিমা খাতুন। ডাঃ আলমগীর মতি’র শিক্ষা জীবনের হাতেখড়ি হয় তাঁর নিজ গ্রামে অবস্থিত কলুকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন অভাবনীয় মেধার অধিকারী এবং কঠোর অধ্যবসায়ী। অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ থেকে “ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি” ডিগ্রী এবং ১৯৯৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি” ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর ১৯৯৪ সালে ইন্ডিয়ান বোর্ড অব অলটারনেটিভ মেডিসিন থেকে “এম.ডি” ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৫ সালে চায়না থেকে “নিউরো” ডিগ্রী অর্জন করেন। ২০০৬ সালের ১ এপ্রিল তিনি সোসাইটি অফ কম্পিমেন্টারি মেডিসিন এন্ড ফ্যামিলি ওয়েল ফেয়ার, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত কর্তৃক সম্মানসূচক ডক্টর অফ ফিলোসোফী (ডি.ফিল) ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি আমেরিকান বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে হারবাল বিষয়ের উপর “এম ফিল” করেন। তিনি ১৯৭৭-৭৮ সালে বাংলাদেশের ১৮টি হোমিও কলেজ ছাত্র সংসদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় পর্যায়ে হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ছাত্র সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হোমিওপ্যাথিক ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি একজন অন্যতম পুরোধা। ডাঃ আলমগীর মতি শুধু একজন চিকিৎসক ও গবেষকই নন, তিনি একজন সফল লেখকও বটে। পেশাগত জীবনে এসে তাঁর চিন্তা ও গবেষণার মাধ্যমে রচনা করেন চিকিৎসা শাস্ত্রের উপর বেশ কয়েকটি অমূল্য গ্রন্থ। তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থসমূহের মধ্যে বিশ্বনবী (সাঃ) এর চিকিৎসা বিধান, নিরোগ থাকার উপায়, সুস্থ থাকার সোনালী উপায়, হারবাল পদ্ধতিতে শতায়ু লাভের উপায় অন্যতম। তিনি তার কর্মদক্ষতা ও কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ওয়ার্ল্ড কোয়ালিটি কমিটমেন্ট এ্যাওয়ার্ড-২০০৬, দি ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ইন প্রোডাক্টস এন্ড সার্ভিস-২০০৭, দি ডায়মন্ড আই এ্যাওয়ার্ড ফর কোয়ালিটি কমিটমেন্ট এন্ড এক্সিলেন্স-২০০৭ সহ ১৫টি আন্তর্জাতিক সম্মাননা পুরষ্কার এবং অসংখ্য জাতীয় পুরষ্কারে ভূষিত হন। এই নশ্বর পৃথিবীতে তাঁর মতো মানুষ বার বার ফিরে আসুক এ প্রত্যাশা আমাদের সবার।
If you found any incorrect information please report us