৳ 300
১৪৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা পর্যন্ত ছাড়। কুপন: FIRSTORDER
বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। এ বর্ধিত জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত কৌশলে প্রাণিজ ও উদ্ভিদ জাতীয় খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে মানব স্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবহার নিষিদ্ধ বা ব্যবহারের বিষয়ে কঠোর বিধানের আওতাভুক্ত থাকা বিভিন্ন রকমের গ্রোথ হরমোন, গ্রোথ প্রোমোটর, রোগবালাই দমনে কীটনাশক ও বিভিন্ন ধরণের ঔষুধ বা ড্রাগ (হার্বিসাইড, ফুরাজলিডন, ক্লোরামফেনিকল, নাইট্রোফুরান, সিপ্রোফ্লক্সাসিন, প্রিফুরান, মেলাইটগ্রীন) ইত্যাদি ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রাণি ও উদ্ভিদ জাতীয় খাদ্য ও ফসল উৎপাদনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ঔষধপত্র ও কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ উৎপাদিত মাংস ও ফসল থেকে নিঃশেষ হয়েছে কিনা বা অবশিষ্টাংশ অননুমোদিত মাত্রায় আছে কিনা পরীক্ষা না করে দ্রব্যাদি বাজারজাত বা বিপণন করা হচ্ছে। ফলে ভোক্তাগণ কীটনাশক ও ড্রাগের অবশিষ্টাংশ প্রতিনিয়ত খাবারের সাথে খাচ্ছে। এদিকে কাঁচা ফল পাকানোর জন্য কার্বাইড ও ইথিফোন ব্যবহার করা হচ্ছে; দুধ ফেটে যাওয়া; মিষ্টিজাত খাবারসহ অন্যান্য খাদ্য সুস্বাদু ও আকর্ষণীয় করতে বিভিন্ন রকমের অননুমোদিত এডিটিভ ও রং ব্যবহার করা হচ্ছে। ফল পচে যাওয়া হতে রক্ষায় ফাঙ্গিসাইড ব্যবহার করা হচ্ছে। এ দেশে শুটকী প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় শুটকীতে মাছি ও বিভিন্ন কীটের আক্রমণ রোধে প্রায় ১০০ ভাগ ক্ষেত্রে নগস, বাসুডিন, রিপকর্ড, ফাইকানন, সুবিক্রন, রিজেন্ট, হিলথিয়ন, ম্যালাটক্স, ম্যালাথিয়ন, ডায়াজিনন ইত্যাদির মতো ভয়াবহ কীটনাশক ঔষধ ব্যবহার করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন শুটকী সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন কীটনাশক কার্যকরী ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। লেখক এ সমস্ত বিষয়াদি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেছেন। শুটকী তৈরির সময় মাছের আকারানুসারে ১-৪ বার পর্যন্ত তা কীটনাশক দ্রবণে চুবানো হয়। অতীতকালে শুটকীতে পোকা ও মাছির উপদ্রব ছিল। কিন্তু আজকাল বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহারের ফলে সাধারণত শুটকীতে পোকা ও মাছির উপদ্রব দেখা যায় না। বাজারের শুটকী ও বিভিন্ন সবজিতে পোকা নাই, মাছের বাজারে তেমন লক্ষণীয় মাছি থাকে না, ফল বিক্রেতার দোকানে সাধারণত ফাঙ্গাসজনিত পচন নেই। এ সমস্ত দ্রব্যে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য থাকার কারণে এমনটাই হচ্ছে। মিষ্টি কনফেকশনারীতে দীর্ঘদিন দোকানে রাখা পচা ও বাসী খাদ্য বিপনন হচ্ছে। এ সকল ক্ষতিকর দ্রব্যাদি খাদ্যের সাথে প্রতিনিয়ত ভোক্তাগণ খেয়ে যাচ্ছে। এ ধরণের অনিরাপদ খাবার খেয়ে ভোক্তার স্বাস্থ্যের চরম ক্ষতি হয়েছে ও হচ্ছে এবং ভবিষ্যতের জন্য খুব আতংকজনক অবস্থায় আছে।
Title | : | অনিরাপদ খাদ্য পরিবেশ দূষণ (হার্ডকভার) |
Publisher | : | প্রান্ত প্রকাশন |
ISBN | : | 9789849434597 |
Edition | : | 1st Published, 2020 |
Number of Pages | : | 204 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
Reviews and Ratings
How to write a good review
৳ 0