৳ ৩০০ ৳ ২৫৫
|
১৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। এ বর্ধিত জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত কৌশলে প্রাণিজ ও উদ্ভিদ জাতীয় খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে মানব স্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবহার নিষিদ্ধ বা ব্যবহারের বিষয়ে কঠোর বিধানের আওতাভুক্ত থাকা বিভিন্ন রকমের গ্রোথ হরমোন, গ্রোথ প্রোমোটর, রোগবালাই দমনে কীটনাশক ও বিভিন্ন ধরণের ঔষুধ বা ড্রাগ (হার্বিসাইড, ফুরাজলিডন, ক্লোরামফেনিকল, নাইট্রোফুরান, সিপ্রোফ্লক্সাসিন, প্রিফুরান, মেলাইটগ্রীন) ইত্যাদি ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রাণি ও উদ্ভিদ জাতীয় খাদ্য ও ফসল উৎপাদনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ঔষধপত্র ও কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ উৎপাদিত মাংস ও ফসল থেকে নিঃশেষ হয়েছে কিনা বা অবশিষ্টাংশ অননুমোদিত মাত্রায় আছে কিনা পরীক্ষা না করে দ্রব্যাদি বাজারজাত বা বিপণন করা হচ্ছে। ফলে ভোক্তাগণ কীটনাশক ও ড্রাগের অবশিষ্টাংশ প্রতিনিয়ত খাবারের সাথে খাচ্ছে। এদিকে কাঁচা ফল পাকানোর জন্য কার্বাইড ও ইথিফোন ব্যবহার করা হচ্ছে; দুধ ফেটে যাওয়া; মিষ্টিজাত খাবারসহ অন্যান্য খাদ্য সুস্বাদু ও আকর্ষণীয় করতে বিভিন্ন রকমের অননুমোদিত এডিটিভ ও রং ব্যবহার করা হচ্ছে। ফল পচে যাওয়া হতে রক্ষায় ফাঙ্গিসাইড ব্যবহার করা হচ্ছে। এ দেশে শুটকী প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় শুটকীতে মাছি ও বিভিন্ন কীটের আক্রমণ রোধে প্রায় ১০০ ভাগ ক্ষেত্রে নগস, বাসুডিন, রিপকর্ড, ফাইকানন, সুবিক্রন, রিজেন্ট, হিলথিয়ন, ম্যালাটক্স, ম্যালাথিয়ন, ডায়াজিনন ইত্যাদির মতো ভয়াবহ কীটনাশক ঔষধ ব্যবহার করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন শুটকী সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন কীটনাশক কার্যকরী ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। লেখক এ সমস্ত বিষয়াদি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেছেন। শুটকী তৈরির সময় মাছের আকারানুসারে ১-৪ বার পর্যন্ত তা কীটনাশক দ্রবণে চুবানো হয়। অতীতকালে শুটকীতে পোকা ও মাছির উপদ্রব ছিল। কিন্তু আজকাল বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহারের ফলে সাধারণত শুটকীতে পোকা ও মাছির উপদ্রব দেখা যায় না। বাজারের শুটকী ও বিভিন্ন সবজিতে পোকা নাই, মাছের বাজারে তেমন লক্ষণীয় মাছি থাকে না, ফল বিক্রেতার দোকানে সাধারণত ফাঙ্গাসজনিত পচন নেই। এ সমস্ত দ্রব্যে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য থাকার কারণে এমনটাই হচ্ছে। মিষ্টি কনফেকশনারীতে দীর্ঘদিন দোকানে রাখা পচা ও বাসী খাদ্য বিপনন হচ্ছে। এ সকল ক্ষতিকর দ্রব্যাদি খাদ্যের সাথে প্রতিনিয়ত ভোক্তাগণ খেয়ে যাচ্ছে। এ ধরণের অনিরাপদ খাবার খেয়ে ভোক্তার স্বাস্থ্যের চরম ক্ষতি হয়েছে ও হচ্ছে এবং ভবিষ্যতের জন্য খুব আতংকজনক অবস্থায় আছে।
Title | : | অনিরাপদ খাদ্য পরিবেশ দূষণ |
Author | : | ম. কবির আহমেদ |
Publisher | : | প্রান্ত প্রকাশন |
ISBN | : | 9789849434597 |
Edition | : | 1st Published, 2020 |
Number of Pages | : | 204 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
জন্ম: ০১ এপ্রিল ১৯৫৪ সালে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলাস্থ গল্লাই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবন: চান্দিনা উপজেলার দোল্লাই নবাবপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৮ সালে মাধ্যমিক, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ১৯৭০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক ও পরবর্তীতে জীববিজ্ঞানে স্নাতক সমাপ্ত করে চট্টগ্রাম ১৯৭৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সামুদ্রিক জীববিদ্যায় এম.এসসি. ডিগ্রী লাভ করেন। এম.এসসি-তে তিনি গলদা চিংড়ির পোনা প্রতিপালনের উপর থিসিস করেন। পরবর্তীকালে লেখক কেনিয়াতে মৎস্য গবেষণা পদ্ধতি ও ইন্দোনেশিয়াতে চিংড়ি চাষের উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৭ সালে যুক্তরাজ্যের ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়স্থ সামুদ্রিক জীববিদ্যা বিভাগে চিংড়ির পোনার প্রতিপালন ও পুষ্টির উপর একটি ব্যতিক্রমধর্মী গবেষণা চালিয়েছেন। ১৯৯৬ সালে তিনি থাইল্যান্ডে বাগদা ও গলদা চিংড়ির পোনা প্রতিপালনের উপর প্রায় আড়াই মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ লাভ করেন। কর্মজীবন: শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করে প্রায় ২ বছর যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের একটি গবেষণা প্রকল্পে রিসার্চ ফেলো হিসেবে কর্ণফুলী নদীর মোহনার হাইড্রো-বায়োলজির উপর গবেষণা করেন। ১৯৭৮ সালে মৎস্য অধিদপ্তরের চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রে গবেষক হিসেবে যোগদান করে ১৯৮৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত চিংড়ির উপর কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা চালিয়েছেন। গবেষণা কেন্দ্রে অবস্থানকালীন সময়ে তিনি গলদা চিংড়ির চাষ, রুইজাতীয় মৎস্য ও মাগুরের প্রজননের উপর কাজ করেছেন।
If you found any incorrect information please report us