
৳ ৪০০ ৳ ৩০০
|
২৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER





নিতু চলে আসার সময় মাহবুব পিছু ডাকল,
'নিতু...'
নিতু জবাব দিলনা তবে দাঁড়িয়ে রইল কিছুক্ষণ। মাহবুব কিছুই বলল না।
'এমনি ডাকলেন?'
'তোর যে একটা কাউকে ভালো লাগে লিখেছিলি চিঠিতে, ওটা কি সত্যি?'
'মিথ্যে কেন লিখব?'
'প্রশ্ন করছিস কেন? সোজা করে জবাব দিতে কি তোর বাঁকা দাঁত মানা করছে?'
'আপনিও তো লিখেছিলেন আপনার একজনকে ভালো লাগে, সেটা কি মিথ্যে?'
'তোর কি মনে হয় আমি মিথ্যে বলতে পারি? আমি তো সেই কবে থেকেই বাঁধা পড়ে আছি আমার বউয়ের কাছে!'
নিতু বুকের হাহাকারটা মুখের উচ্ছলতায় বদলে দিয়ে বলল, 'কংগ্র্যাচুলেশনস মাহবুব ভাই।'
'কংগ্র্যাচুলেট কেন করছিস? আজ নতুন শুনছিস নাকি? এমনভাবে টিজ করছিস যেন আমার কাউকে ভালো লাগতেই পারে না।'
নিতু হাসল। মাহবুব বিভ্রান্তের মতো তাকিয়ে রইল। নিতু তার হাতের ব্রেসলেটটা খুলে মাহবুবের সামনে রেখে বলল,
'এটা তাকে দেবেন। বলবেন, একজন আপনার কাছে অনেক দেনায় আটকে ছিল, এটা দিয়ে মুক্ত হলো!'
'হাত থেকে একটা ব্রেসলেট খুলে দিলেই ঋণ শোধ হয়ে গেল বুঝি! এত সোজা?'
Title | : | মাহবুবের নিতু |
Author | : | তৃধা আনিকা |
Publisher | : | অন্যধারা |
Edition | : | 1st Published, 2025 |
Number of Pages | : | 352 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
এই একটা ব্যাপার লিখতে এলেই আমার মাথার ভেতর ফাঁকা হয়ে যায়। ব্যক্তিগত তথ্যগুলো কেন জানি মানুষকে জানাতে ইচ্ছে করে না। আরেকটু গুছিয়ে বললে, বলার সাহস পাই না। তবে আজ ঠিক করেছি নিজের কিছু কথা বলবোই। আচ্ছা, লিখা ভালো লাগার জন্য কি লেখকের পরিচয়টা আদৌ জরুরি? আমার মনে হয় না। নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলি, এমন অসংখ্য লিখা আমার ভালো লাগার আছে, যাদের লেখককে আমি দেখিনি। হয়তোবা লেখকের ছবি বইয়ের পেছনে ছিলও। কিন্তু আমি দেখিনি। কারণ লিখার মাধুর্য আর গল্পের চরিত্র আমায় টেনেছে, লেখক নয় । ফেলুদা যখন পড়ি, আমি ভেবেছি ওটা তোপসেরই লিখা অন্য কারো নয়। সত্যজিৎ রায়ের পরিচিতির জন্য আমি কিন্তু একটুও ব্যাকুল হইনি। শার্লক হোমস যখন পড়ি, আমি স্যার আর্থার কোনান ডয়েলকে একদিনও চিনতে চাইনি। বরং বারবার আমার কল্পনায় শার্লক হোমস সামনে এসেছে। বারবার আমি লিখা আর গল্পের চরিত্রতে মুগ্ধ হয়েছি। একজন লেখকের জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া কি জানেন? তাঁর লিখার জন্য পাঠকের ভালোবাসা। সুতরাং তৃধা আনিকার ব্যক্তিগত জীবন আপাতত লুকানোই থাক। তার চেয়ে বরং ভূধা আনিকা তার গল্পে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র সেজে নিজের মনের কথাগুলো অনায়াসে বলে যাক । দেখা যাক না, কি হয়। পাঠক তার লিখাকে কেমন ভালোবাসে, দেখি!
If you found any incorrect information please report us