লিয়াকত খান

লিয়াকত খান

শৈশব থেকে সাহিত্যচর্চার প্রতি লিয়াকর খানের খোঁক ছিল। প্রথম লেখা একটি কবিতা চন্দ্রাভিন, ১৯৬৯ স্যাল স্কুল ম্যাগাজিন 'মশাল'-এ মাপা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুতে অনুবাদের জন্য জাকসু সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। একমাত্র সন্তান তাহসিন খান তুরিন-এর শৈশবে শিখভোগ লেখালেখিতে বিশেষভাবে আগ্রহী হয়ে উঠেন। তিনি একজন টেড হিউজ গবেষক। শিশুদের উপযোগী টেড হিউজের দুটি উপন্যাস ও একটি গল্পের বই অনুবাদ করেছেন। টেড হিউজের পাঁচটি বই থেকে নির্বাচিত অর্ধশত কবিতার সমন্বয়ে একটি শিশুতোষ কবিতার বইও প্রকাশ করেছেন। সিয়াকত খান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বিগ্র (অনার্স) ৫ এমএ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কর্মজীবনের শুরুতে ১৯৮৪ সালে ঢাকার মতিঝিলে অবস্থিত টিএন্ডটি কলেজ-এর প্রভাষক ছিলেন। একই বছরের বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিসিএস তথ্য ক্যাডারে যোগদান করেন। ১৯৮৯ সালে বৃটিশ রাজকবি টেড হিউজ এবং পণ্ডিত রবি শংকরের বাংলাদেশ সফরের সময় তাঁদের হোস্ট অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। বিগত ৩৩ বছর ধরে টেড হিউজের সাহিত্যকর্ম ও জীবনী নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁর লেখা এবফ আঁমমবং রহ ইধহমষধফবংয। অগবসড়রৎ (২০২২) কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বিশেষভাবে সমাদৃত হয়েছে। কবির যুগলবন্দী। টেড হিউজ ও সিলভিয়া প্লাথ (২০২৩) বইটিও পাঠক মহলে নন্দিত। সরকারি চাকরিতে লিয়েন বহাল রেখে প্রায় সাত বছর জয়েন্ট ভেঞ্চার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিভাগীয় প্রধান এবং গোছায় সরকারি চাকরি থেকে অবসরগ্রহনের পর প্রায় পাঁচ বছর গুরুত্বপূর্ণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সরকারি চাকরিতে তাঁর সর্বশেষ পদায়ন ছিল মহাপরিচালক, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর। বর্তমানে একাডেমিক আগ্রহ নিয়ে দেশ বিদেশের ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন এবং সাহিত্য বিষয়ক গবেষণা ও লেখালেখিতে পূর্ণকালীন ব্যস্ত আছেন। তিনি ৪০টিরও বেশি দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করেছেন। উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১০। একমাত্র সন্তান তাহসিন খান তুরিন বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন অধ্যাপক। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে উচ্চতর গবেষণায় নিয়োজিত আছেন।

লিয়াকত খান এর বই সমূহ

Showing 1 to 6 of 6

View

Sort icon