কবির যুগলবন্দী (হার্ডকভার)
কবির যুগলবন্দী (হার্ডকভার)
৳ ৪০০   ৳ ৩৪০
১৫% ছাড়
2 টি Stock এ আছে
Quantity  

৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

কাব্যপ্রেম এবং তারুণ্যের প্রেমাবেগ বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইংরেজ কবি টেড হিউজ ও মার্কিন কবি সিলভিয়া প্লাথকে যুগলবন্দী করেছিল। কেমব্রিজে তাঁদের বাসাটি ’ভালোবাসার বাসা’ নামে পরিচিতি পেয়েছিল। কিন্তু দাম্পত্যজীবনের ছয় বছর না যেতেই তাঁদের ভালোবাসায় চিড় ধরে। সিলভিয়া প্লাথ গ্যাসের চুলোতে মাথা রেখে আত্মহত্যা করেন। রেখে যান দুটো দুগ্ধপোষ্য শিশু। হিউজ ও প্লাথের পরিচয় ১৯৫৬ সালের ২৫ ফ্রেব্রুয়ারি, বিয়ে সাড়ে তিন মাস পর ১৬ জুন, সম্পর্কের ভাঙন ১৯৬১ সালের মাঝামাঝি কবি আসিয়া উইভিলের সঙ্গে হিউজের পরকীয়ার জের ধরে, প্লাথের আত্মহত্যা ১৯৬৩ সালের ১১ ফ্রেব্রুয়ারি এবং শিশু শুরাসহ আসিয়ার আত্মহত্যা ১৯৬৯ সালের ২৩ মার্চ। ট্র্যাজেডির মঞ্চের মতো আহত মানুষের গোঙানি এবং লাশে পরিপূর্ণ প্লাথ-হিউজের জীবন কাহিনী। সিলভিয়া প্লাথের আত্মহত্যার পর সাহিত্যাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমেছিল। সবচেয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতি ছিলো নারী অধিকার আন্দোলনকারীদের নিন্দা। সেই নিন্দার প্রবল ঝড় প্লাথ-হিউজের মেয়ের শত প্রতিবাদ সত্ত্বেও থামেনি। যুক্তরাষ্ট্রের নারী মুক্তি আন্দোলন কর্মীরা সংঘবদ্ধভাবে টেড হিউজের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিল। তারা রাতারাতি তরুণ কবি টেড হিউজকে খল নায়কে এবং সিলভিয়া প্লাথকে নির্যাতিত নারীর প্রতীকে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাদের শ্লোগান ছিল - ওয়েডলক ইজ ডেডলক। টেড কোনো সাহিত্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলে নারী অধিকার কর্মীরা দলবেঁধে উপস্থিত হতেন। সমস্বরে ধ্বনি তুলতেন - খুনি, খুনি এবং তাঁর দিকে থুথু ছিটাতো। তাদের আন্দোলন এতই প্রবল ছিল যে, সত্যমিথ্যা যাচাইয়ের কোনো সুযোগ ছিল না তাতে। টেড হিউজ ও তাঁর শিশুদের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। অনেকটা বিয়োগান্তক নাটকের নায়কের মতো সকল অপমানের জ্বালা সহ্য করা ছাড়া হিউজের সামনে কোনো পথও খোলা ছিল না। তিনি লোকচক্ষুর অন্তরালে প্রকৃতির কাছে আশ্রয় নিয়েছিলেন দুই শিশুকে বুকে আগলে রেখে। শুধু একবার বলেছিলেন, ”শীঘ্র কিংবা অনেক বিলম্বে হলেও যারা সত্যকে জানতে আগ্রহী তাদের কাছে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে”। মৃত্যুর বছর না বলা কথার ঝাঁপি খোলেন ’বার্থডে লেটারস’ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে । ’লাস্ট লেটার’ শিরোনামে একটি কবিতা বৃটিশ লাইব্রেরিতে রেখে গিয়েছিলেন যা তাঁর মৃত্যুর এক যুগ পরে পাঠকের কাছে প্রকাশ করা হয়েছে। ’কবির যুগলবন্দী’ বইতে টেড হিউজ ও সিলভিয়া প্লাথের পরিচয়, প্রেম, প্রেমের মৃত্যু, প্লাথের আত্মহনন, শিশু শুরাকে সঙ্গে নিয়ে আসিয়ার আত্মহত্যা, সিলভিয়া প্লাথের আশৈশব একাধিক প্রেম, প্রেমে বঞ্চনা, সৃজনশীলতা, বিষণœতা, নয় বছর বয়স থেকে আত্মহত্যার চেষ্টা, শোকাহত ভক্তকূল, টেড হিউজের বিরুদ্ধে নারী অধিকার আন্দোলনকারীদের সুসংবদ্ধ নিন্দা ও আক্রমণ, নীরব কবি হিউজের দুর্বিসহ জীবন, আপন প্রতিভায় ফিনিক্স পাখির মতো জেগে ওঠে সাহিত্যগগনে এলিয়ট, অডেন, লারকিনের কাতারে অবস্থান গ্রহণ, রাজকবির সম্মান অর্জন, বৃটিশ সরকারের অসংখ্য সর্বোচ্চ সম্মান ও পুরস্কার প্রাপ্তি, গৌরবময় অন্ত্যেষ্ট্যিক্রিয়া এবং মৃত্যু পরবর্তী সময়ে তাঁকে নিয়ে সাহিত্যবোদ্ধাদের কর্মকা- ইত্যাদি রয়েছে। তা ছাড়া দাম্পত্যজীবনের বহু মাত্রিক ঘটনার মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ, সামাজিক ও মানবিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক এই বইতে প্রতিভাত হয়েছে। টেড হিউজের আট দিনের বাংলাদেশ সফরের সংক্ষিপ্ত কাহিনীও এতে রয়েছে।

Title : কবির যুগলবন্দী
Author : লিয়াকত খান
Publisher : স্টুডেন্ট ওয়েজ
ISBN : 9789849746508
Edition : 1st Published, 2023
Number of Pages : 158
Country : Bangladesh
Language : Bengali

শৈশব থেকে সাহিত্যচর্চার প্রতি লিয়াকর খানের খোঁক ছিল। প্রথম লেখা একটি কবিতা চন্দ্রাভিন, ১৯৬৯ স্যাল স্কুল ম্যাগাজিন 'মশাল'-এ মাপা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুতে অনুবাদের জন্য জাকসু সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। একমাত্র সন্তান তাহসিন খান তুরিন-এর শৈশবে শিখভোগ লেখালেখিতে বিশেষভাবে আগ্রহী হয়ে উঠেন। তিনি একজন টেড হিউজ গবেষক। শিশুদের উপযোগী টেড হিউজের দুটি উপন্যাস ও একটি গল্পের বই অনুবাদ করেছেন। টেড হিউজের পাঁচটি বই থেকে নির্বাচিত অর্ধশত কবিতার সমন্বয়ে একটি শিশুতোষ কবিতার বইও প্রকাশ করেছেন। সিয়াকত খান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বিগ্র (অনার্স) ৫ এমএ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কর্মজীবনের শুরুতে ১৯৮৪ সালে ঢাকার মতিঝিলে অবস্থিত টিএন্ডটি কলেজ-এর প্রভাষক ছিলেন। একই বছরের বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিসিএস তথ্য ক্যাডারে যোগদান করেন। ১৯৮৯ সালে বৃটিশ রাজকবি টেড হিউজ এবং পণ্ডিত রবি শংকরের বাংলাদেশ সফরের সময় তাঁদের হোস্ট অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। বিগত ৩৩ বছর ধরে টেড হিউজের সাহিত্যকর্ম ও জীবনী নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁর লেখা এবফ আঁমমবং রহ ইধহমষধফবংয। অগবসড়রৎ (২০২২) কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বিশেষভাবে সমাদৃত হয়েছে। কবির যুগলবন্দী। টেড হিউজ ও সিলভিয়া প্লাথ (২০২৩) বইটিও পাঠক মহলে নন্দিত। সরকারি চাকরিতে লিয়েন বহাল রেখে প্রায় সাত বছর জয়েন্ট ভেঞ্চার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিভাগীয় প্রধান এবং গোছায় সরকারি চাকরি থেকে অবসরগ্রহনের পর প্রায় পাঁচ বছর গুরুত্বপূর্ণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সরকারি চাকরিতে তাঁর সর্বশেষ পদায়ন ছিল মহাপরিচালক, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর। বর্তমানে একাডেমিক আগ্রহ নিয়ে দেশ বিদেশের ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন এবং সাহিত্য বিষয়ক গবেষণা ও লেখালেখিতে পূর্ণকালীন ব্যস্ত আছেন। তিনি ৪০টিরও বেশি দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করেছেন। উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১০। একমাত্র সন্তান তাহসিন খান তুরিন বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন অধ্যাপক। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে উচ্চতর গবেষণায় নিয়োজিত আছেন।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]