শিশুর অটিজম তথ্য ও ব্যবহারিক সহায়িকা (হার্ডকভার)
শিশুর অটিজম তথ্য ও ব্যবহারিক সহায়িকা (হার্ডকভার)
৳ ২০০   ৳ ১৭৬
১২% ছাড়
1 টি Stock এ আছে
Quantity  

১১৯৯ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

৫০% ছাড়ে অর্ডার করুন 'তথ্য সাময়িকী ৪৬তম বিসিএস বিশেষ সংখ্যা' ও 'বিসিএস প্রিলিমিনারি মডেল টেস্ট'

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

বুদ্ধিবৃত্তিক ও আচরণগত সীমাবদ্ধতার বিশেষ কিছু লক্ষনের সামুষ্টিক নাম অটিজম । কথাবার্তায় পিছিয়ে থাকা , আত্নমগ্ন থাকা, অসংলগ্ন আচরণ করা -অটিজমের কিছু সাধারণ লক্ষণ। শিশুর বয়স ২/৩ থেকে শুরু করে এসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে। 
অটিজমের সুনির্দিষ্ট কোন কারণ এখনও জানা যায়নি; তবে জিনগত যোগসূত্র অনেকটা প্রতিষ্ঠিত। কোন শিশু অটিজমে আক্রান্ত কিন তাও খুব সহজে বলা যায় না। এর কোন প্রতিরোধক কিংবা প্রতিষধক নেই। তবে প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করা গেলে নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে শিশুর ভবিষ্যৎ অনেকটা স্বনির্ভর করা সম্ভব হয়।
এ বইতে অটিজমের বিশদ লক্ষণ , সংশ্লিষ্ট নানা তথ্য, অভিভাবক ও শিক্ষকদের জন্য ব্যবহারিক নির্দেশনা রয়েছে। বাবা-মায়ের মানসিক প্রস্তুতি ,শিশুর দৈনন্দিন জীবন যাপনে অপরিহার্য বিষয়গুলোর চর্চা স্নায়ুক্ষমতা উন্নয়নের বিশেষ খেলাধুলাসহ অনেক বিষয়ের সচিত্র আলোচনা হয়েছে। 
অটিস্টিক শিশুর লালনে এ বইটি নিশ্চিতভাবে কাজে আসবে।

ভূমিকা:

এই বইটি তাদের জন্য যারা এই সেদিনও একটি ফুটফুটে সন্তানের মা অথবা বাবা হতে পেরে পৃথিবীর সেরা প্রাপ্তির আনন্দে ভেবেছিলেন; অথচ বেশীদিন এই আনন্দ , এই হাসিমুখ ধরে রাখতে পারেননি। আর দশটা বাচ্চা কলকলিয়ে কথা বলেছে, হাসতে , খেলছে, তাদের মধ্যে নিজের সন্তানকে একবারেই অন্যরকম মনে হয়েছে। সে কথা বলছে না, ডাকলে সাড়া দিচ্ছে না, কারো সঙ্গে মিশছে না, খেলছে না। থেকে থেকে অদ্ভুত আচরণের পাশাপাশি নিজের জগতে নিশ্চুপ ভাবরেশহীন দিন যাপন করে যাচ্ছে। ডাক্তার দেখিয়েছেন, অটিজম নামের এক নতুন শব্দ শিখেছেন।জেনেছেন, এর সঙ্গে বসবাস করে যেতে হব্। বছর পাঁচেক আগে এই দুঃসহ অবস্থার সঙ্গে পরিচয় ঘটে আমার । অটিজম নামের এই অচেনা আগন্তুকের আগমনে চেনাজানা পৃথিবীটা হঠাৎ করেই অনেক খানি পাল্টে যায়। তখন থেকে প্র্রতি মুহূর্তের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন।সন্তানের অটিজম থাকার অর্থ তার বাবামায়ের ও অটিজমের সঙ্গে বসবাস। প্রতিনিয়ত শিখে চলা , এক আপাতঅসম্ভব যুদ্ধে অবতীর্ন হওয়া্।
সীমিত সম্পদের জনবহুল বাংলাদেশ অটিজম সম্পর্কিত বিষয়ে উন্নত বিশ্বের সমান সুযোগ -সুবিধা নেই; আশা করাটাও বোধহয় বাস্তবানুগ হবে না । আবারা অটিজমের কারণে সন্তানের পিছিয়ে পড়া মানসিক বিকাশের ঘাটতি কমিয়ে আনতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ প্রয়োজন হলেও এর বাস্তবায়নে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন অভিভাবকরাই। এজন্য যে বিষয়গুলো তাদের জানা , বোঝা ও শেখা চাই সেগুলো নিয়ে বাংলা ভাষায় লেখা বইপত্র এখনও তেমন একটা নেই। ইংরেজীতে যথেষ্ট সমৃদ্ধ বইপত্র ও বিষয়ভিত্তিক জার্নাল থাকলেও এসবের আলোচনার একটা বড় অংশ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অপ্রযোজ্য্য। শিশুর প্রতিদিনকার সময় কাটানোর জায়গা হিসেবে উপযোগী রাইডের প্লেগ্রাউন্ড, সামাজিকরণের সাধারণ চর্চা হিসেবে স্লিপওভার অথবা ক্যাম্পিং , পিচ খেরাপিস্ট ও অকুপেশনাল থেরাপিস্টের সঙ্গে নিয়মিত সাক্ষাত থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনযাপন প্রণালী পর্যন্ত সব কিছুতেই উন্নত বিশ্বের সঙ্গে আমাদের চেনাজানা পরিবেশ -প্রতিবেশের পার্থক্য ব্যাপক। এই বইতে সেগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে প্রয়োগযোগ্য উদাহারণ ও কৌশল আলোচনা করা হয়েছে। উন্নত বিশ্বের স্পিচ থেরাপির জন্য বিচিত্র সব খেলনা ডিজাইন করা হয় যেগুলো দুর্মূল্য ও দুর্লভ । সেসবের বিকল্প হিসেবে হাত লিখে ও এঁেকে এবং ঘরোয়া উপকরণ ব্যবহার করে খেলার কৌশল বর্ননা করা হয়েছে। দৈনন্দিন কাজের সূচি এবং খেলার কৌশলগুলোর বর্ণনায় প্র্রয়োজনীয় ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। 
আসি চিকিৎসক নই, চিকিৎসাবিজ্ঞানের সাথে পেশাগতভাবেও কোন যোগসূত্র নেই। সন্তানের বিশেষ পরিচর্যার প্রয়োজনে একট সংক্ষিপ্ত কোর্স করেছি, বেশ কিছূ বই পড়েছি। স্পিচ থেরাপিস্ট ও বিহেভিয়রাল পাঁচ বছর আগে থাকতো, আমার সন্তানের জন্য তা অনেক বেশী ফলপ্রসূ হতো, একথা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি । দেশে শিশু বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পাওয়া এক বাক্যের উপদেশ ‘ কালার অব শেইপের ভ্যারাইটিস আছে বাচ্চাকে এমন খেলনা কিনে দেবেন” - এর প্রায়োগিক অর্থ আসলে কী , সেটা বোঝা এত সহজ ছিলো না! 
এ বইয়ে লেখা গুলোর কয়েকটি গত এক বছরে বাংলা ব্লগে ( ইন্টানেটে) প্রকাশিত হয়েছিল; সুলেখক আহমাদ মোস্তফা কামাল এগুলোকে মলাটবন্দী করার পরামর্শ দেন। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক মুহাম্মদ জাফর ইকবালের কাছ থেকে পাওয়া উৎসাহের তুলনা হয় না। অটিজম বিষয়ে তাঁর লেখালেখি আামকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমার সন্তান অপনা এবং সংসারসঙ্গী আলমগীরকে সবরকম সহযোগীতার জন্য ধন্যবাদ না দিলেই নয়। সবশেষে বইটি প্রকাশের জন্য তাম্রলিপির এ,কে,এম তারিকুল ইসলাম রনির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
দেশে চেনাজানা কারো পরিবারে শিশুর অটিজম শনাক্ত করা হয়েছে , এমন খবরে তাদের দিশেহারা দুশ্চিন্তার কথা জানতে পাই। পত্রপত্রিকায় অটিস্টিক সন্তান ও তার বাবামায়ের দুর্ভোগ নিয়ে ফিচার দেখি। অভিভাবকরা যদি এই লেখঅগুলোথেকে কিছু ধারনা নিতে পারেন, ব্যবহারিক দিকনির্দেশনা কাজে লাগিয়ে উপকৃত হতে পারেন, ব্যবহারিক দিকনির্দেশনা কাজে লাগিয়ে উপকৃত হতে পারেন; তবেই এ প্রচেষ্টা সার্থক বলে মনে করবো। সবার জন নিরন্তর শুভকামনা। 
নুশেরা তাজরীন

Title : শিশুর অটিজম তথ্য ও ব্যবহারিক সহায়িকা
Author : নুশেরা তাজরীন
Publisher : তাম্রলিপি
ISBN : 9847009601286
Edition : 2nd Print, 2013
Number of Pages : 127
Country : Bangladesh
Language : Bengali

If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]