পিকাসোর রঙ মাইকেলাঞ্জেলোর হাতুড়ি (হার্ডকভার)

একসময় বিভিন্ন পত্রপত্রিকার ঈদসংখ্যায় গল্প-উপন্যাস লেখায় তীব্র। ঝৌক ছিল আমার। কিন্তু ইদানীং সেই আগ্রহ ভ্রমণ কাহিনী লেখায়। এই কৌতূহল বা ঔৎসুক্য আরও প্রগাঢ় হয় আমার লেখা প্রথম ট্র্যাভেলগ "ভেনাসল্যুভর ও অন্নপূর্ণার দেশে' প্রকাশিত হওয়ার পর। অনেক বােদ্ধা পাঠক ও গুণীজন আমার লেখা বইটির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাদের এ প্রশংসাই আমাকে "পিকাসাের রঙ : মাইকেলাঞ্জেলাের হাতুড়ি লিখতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। ভ্ৰমণ করা আর ভ্রমণকাহিনী লেখা আজকাল আমার মাথায় বেশ জেঁকে বসেছে। নানা দেশ ঘুরে ঘুরে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মাস্টারপিস শিল্পকর্মগুলাে দেখা আমার একটা অডদ্ভুত খেয়ালই বলা যায়। তাই বিচিত্র বিষয়ে ট্র্যাভেলগু লিখলেও আমার লেখা ভ্রমণকাহিনীর বিশাল অংশ জুড়ে থাকে কিংবদন্তি আর্ট মিউজিয়ামগুলাে। সব আর্ট আমি বুঝি তেমনটাও নয়। এসব ধ্রুপদী এবং সার্বকালিক চিত্রকর্মগুলোর প্রহেলিকাময় ব্যঞ্জনা এবং নিহিতার্থ পূর্ণভাবে অধিগমন করার মতাে ঋদ্ধিমানও আমি নই। এমনও হয় যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে দেখছি, কিন্তু কিছুই হৃদয়ংগম করতে পারছি না। তবে জোয়ান মিরাে কিংবা সালভেদর দালির বিমূর্ত এবং দুর্বেদ ছবিগুলোর সামনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে কোনাে কিছু না বুঝতে পারার মধ্যে একটা আলাদা শিহরণ আছে। বৈকি! পাবলাে পিকাসাে হরহামেশা বলতেন, I don't say every- thing but I paint everything. W a af a ane সবকিছু আঁকি এই তত্ত্ব পিকাসাের। আমারও বোধহয় সে অবস্থা। আমি সব আর্ট কিংবা ভাস্কর্য তেমন বুঝি না, কিন্তু ভ্রমণবৃত্তান্ত লেখার ছলে এসব বিষয়গুলা বিচার-বিশ্লেষণের চেষ্টা করি। আমার এই দুরূহ কিন্তু রােমাঞ্চকর প্রচেষ্টা থেকে পাঠক যদি আনন্দ পায় তবেই ট্র্যাভেলগ লেখক হিসেবে নিঃসন্দেহে আমি উতরে যাব।