জাগরণ (হার্ডকভার)

তিন বন্ধু। রনি অনিক যােবায়ের। একই স্কুলে পড়ে সুন্দর আলী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। এরা তিনজন আত্মার আত্মা বন্ধু। স্কুলের বাইরে এরা একই রঙের পােশাক পরে। একই খাবার খায়। তাদের সাইকেলও একই রঙের। এরা ক্লাসের লাস্ট বেঞ্চের নিয়মিত ছাত্র। ক্লাসে পড়া না পারার কারণে এদেরকে বা এদের মতাে ছাত্রদের গাধা গরু গর্দভ নামকরণ করেন। সিরিয়াস কিছু শিক্ষক। অবশ্য কিছু শিক্ষক আছেন এসব ছাত্রদের জন্য তাঁদের চোখে মায়ার সাগর উত্থলে ওঠে তিন বন্ধুর সব সময় পকেট ভর্তি গম থাকে। টিফিন পিরিয়ডে স্কুলের পেছনে পায়রার দলকে গম খাওয়ানাে, মিষ্টির দোকানে বসে মিষ্টি ধাওয়া এবং কুকুর ছানা নিয়ে মেতে থাকা এদের নিত্য কর্ম। এদের স্কুলে প্রথমবারের মতাো মেয়ে ভর্তিকে নিয়ে আলােড়ন সৃষ্টি হয়। ছাত্রদের অনেকের ধারণা মেয়ে ভর্তি মানে স্কুলে জিনের আমদানী। কারো মতে তাহলে পরিও আসতে পারে। বালকেরা বাস্তবের পরি আর কল্পনার পরিদের নিয়ে রূপকথার জগতে চলে যায় । এরই মধ্যে দুটো ঘটনা স্কুলে ছাত্রদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। এরা অনেকেই বদলে যায়। আসে স্মার্ট তরুণ ইংরেজি শিক্ষক কামরান মির্জা। আর আসে এখানে শাহবাগের গণঞজাগরণ মঞ্চের ঢেউ । বদলে যায় পেছনের বেঞ্চের ছাত্র অনিক যােবায়ের। যোবায়ের কামরান স্যারের কাছে যাওয়ার উপায় বের করে ত্রিকেট খেলার মাধ্যমে। লাস্ট বেঞেচের ছাত্র যােবায়ের হয়ে ওঠে ক্রিকেটের অলরাউন্ডার। আর অনিক হয়ে যায় স্কুলের গণজাগরণ মধঞ্চের মুখপাত্র। আর রনি। সে একা হয়ে পড়ে। স্কুলের স্মার্ট বয় দশম শ্রেণির ছাত্র রাসেল প্রধানের বান্ধবী আনিকাকে লাল গােলাপ পৌছে দেওয়ার দায়িত্ব পড়ে তার। কৈশােরের মনােগঞ্জত আসলে প্রাকৃত অপ্রাকৃতের জগৎ। চলুন সেই জগতের গল্প শুনি।