আই অ্যাম মালালা (হার্ডকভার)
আই অ্যাম মালালা (হার্ডকভার)
৳ ৪০০   ৳ ৩৪০
১৫% ছাড়
2 টি Stock এ আছে
Quantity  

১১৯৯ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

“যে দেশ থেকে আমি এসেছি  তার জন্ম হয়েছিল মধ্যরাতে  যখন আমি প্রায় মারা যাচ্ছিলাম তখন সময়টা ছিল মধ্য দুপুরের ঠিক পরেই” তালেবান যখন সোয়াত উপত্যকা কব্জায় নিল তখন মেয়েটি মুখ খুলেছিল। মালালা ইউসুফজাই চুপ থাকতে রাজী হল না। শিক্ষার অধিকারের জন্য লড়াই চালাতে লাগলাে। ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর মঙ্গলবার তাকে মূল্য দিতে হলাে। বাসে করে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করা হয় । তার বাঁচার কথা ছিল না।। কিন্তু অলৌকিকভাবে সে শুধু যে সুস্থ্য হয়ে উঠেছে তাই নয়, তার সেই বেঁচে ওঠা তাকে পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় একটি প্রত্যন্ত উপত্যকা থেকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সভাস্থল পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই সে শান্তি আন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
পৃথিবী বদলে দেওয়ার প্রেরণা হিসেবে একজন মানুষের সােচ্চার কণ্ঠ যে কত শক্তিশালী তা আপনাকে বিশ্বাস করতে সাহায্য করবে এই বই।
‘মালালা কে?’– পিস্তলধারী জিজ্ঞেস করলাে।  আমিই মালালা আর এটিই আমার গল্প ।

Title : আই অ্যাম মালালা
Author : মালালা ইউসুফজাই
Translator : সরফুদ্দিন আহমেদ
Publisher : অন্যধারা
ISBN : 9789845031172
Edition : 21st Print, 2022
Number of Pages : 288
Country : Bangladesh
Language : Bengali

মালালা ইউসুফজাই ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের ১২ই জুলাই উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সোয়াত জেলায় পাশতুন জনজাতির অন্তর্ভুক্ত এক সুন্নি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দক্ষিণ আফগানিস্তানের বিখ্যাত মহিলা পাশতু কবি ও যোদ্ধা মালালাই-এ-ম্যায়ওয়ান্দের নামানুসারে তাঁর নামকরণ করা হয় মালালা, যার আক্ষরিক অর্থ "দুঃখে অভিভূত"। ইউসুফজাই পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকার অধিবাসী পাশতুন জাতিগোষ্ঠী বিশেষ। মিঙ্গোরা নামক স্থানে মালালা তাঁর পিতা জিয়াউদ্দিন, মাতা তোর পেকাই ও দুই কনিষ্ঠ ভ্রাতার সঙ্গে বসবাস করতেন। জিয়াউদ্দিন একজন শিক্ষা-আন্দোলনকর্মী ও কবি যিনি খুশহাল পাবলিক স্কুল নামক বেশ কয়েকটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং ইংরেজি, উর্দু ও পাশতু ভাষাতে দক্ষ মালালা তাঁর নিকট হতেই শিক্ষালাভ করেন। একটি সাক্ষাতকারে তিনি জানান যে তাঁর চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছে থাকলেও তাঁর পিতা তাঁকে রাজনৈতিক জীবন বেছে নিতে উৎসাহত করেন। রাতে সকলে ঘুমিয়ে পড়ার পর জিয়াউদ্দিন মেয়ের সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করতেন। মালালা ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে থেকে শিক্ষার অধিকার নিয়ে সরব হতে শুরু করেন, যখন তাঁর পিতা তাঁকে পেশাওয়ার প্রেস ক্লাবে একতি বক্তব্য রাখতে নিয়ে যান, যা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও টেলিভেশন চ্যানেলে উপস্থাপিত হয়। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে মালালা ইনস্টিটিউট ফর ওয়ার অ্যান্ড পিস রিপোর্টিং প্রতিষ্ঠানের মুক্তচিন্তা পাকিস্তান যুব প্রকল্পে একজন শিক্ষানবিশ ও পরে একজন প্রশিক্ষক হিসেবে কিছুকাল কাজ করেন, যা সাংবাদিকতা, তর্ক-বিতর্ক ও আলোচনার মাধ্যম তরুণ সমাজের মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ের ওপর গঠনমূলক আলোচনা করতে উৎসাহিত করত। একজন পাকিস্তানি শিক্ষা আন্দোলনকর্মী, যিনি সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে মালালা বিবিসির জন্য ছদ্মনামে একটি ব্লগ লেখেন, যেখানে তিনি তালিবান শাসনের অধীনে তাঁর জীবন ও সোয়াত উপত্যকায় মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে তাঁর মতামত ব্যক্ত করেন। পরের বছর গ্রীষ্মকালে সাংবাদিক অ্যাডান এলিক তাঁর জীবন নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের জন্য একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন।এরপর মালালা সংবাদমাধ্যম ও টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিতে থাকেন ও দক্ষিণ আফ্রিকারআন্দোলনকর্মী ডেসমন্ড টুটু দ্বাএয়া আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। ২০১২ খ্রিস্টাব্দের ৯ অক্টোবর, স্কুলের বাসে একজন বন্দুকধারী তাঁকে চিহ্নিত করে তিনটি গুলি করে, যার মধ্যে একটি তাঁর কপালের বাঁ দিক দিয়ে ঢুকে চামড়ার তলা দিয়ে তাঁর মুখমণ্ডলের মধ্যে দিয়ে কাঁধে প্রবেশ করে। পরবর্তী বেশ কয়েকদিন তিনি অচৈতন্য ছিলেন ও তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁর অবস্থার উন্নতি হলে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য বার্মিংহ্যাম শহরের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। ডয়েশ্ ওয়েল ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত কিশোরী বলে মনে করে। জাতিসংঘের বৈশ্বিক শিক্ষাকার্যক্রমের বিশেষ দূত গর্ডন ব্রাউন ইউসুফজাইয়ের নামে জাতিসংঘের একটি আবেদনে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের শেষে বিশ্বের সকল শিশুকে বিদ্যালয়মুখী করার দাবি করেন; যা পাকিস্তানের প্রথম শিক্ষার অধিকার বিলের আনুষ্ঠানিক সমর্থনের পক্ষে সহায়ক হয়। ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে টাইম পত্রিকা ইউসুফজাইকে বিশ্বের ১০০জন সর্বাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের একজন বলে গণ্য করেন। তিনি ২০১১ খ্রিস্টাব্দে পাকিস্তানের প্রথম জাতীয় যুব শান্তি পুরস্কার এবং ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে শাখারভ পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার পক্ষে সওয়াল করেন ও অক্টোবর মাসে কানাডা সরকার তাঁকে সাম্মানিক কানাডীয় নাগরিকত্ব প্রদান করার কথা ঘোষণা করে। ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে সুইডেনের বিশ্ব শিশু পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে হ্যালিফ্যাক্সে ইউনিভার্সিটি অব কিং'স কলেজ তাঁকে সাম্মানিক ডক্টরেট প্রদান করে। এই বছরের শেষের দিকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য কৈলাশ সত্যার্থীর সঙ্গে যুগ্মভাবে মালালার নাম ঘোষণা করা হয়। মাত্র সতেরো বছর বয়সে তিনি ছিলেন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী ব্যক্তিত্ব।২০১৫ খ্রিস্টাব্দের একাডেমি পুরস্কারের জন্য বাছাইকৃত তথ্যচিত্র হি নেমড মি মালালা তাঁর জীবন নিয়ে তৈরি হয়।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]