উপন্যাসসমগ্র - ১ (হার্ডকভার)
উপন্যাসসমগ্র - ১ (হার্ডকভার)
প্রকাশনী:
বিষয়:
৳ ৬০০   ৳ ৫১০
১৫% ছাড়
Quantity  

তথ্য সাময়িকী সালতামামি – ২০২৩  অর্ডার করলে সাথে সালতামামি ২০২২ ফ্রি

১১৯৯ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

১২ মাসের তথ্য সাময়িকী (জানুয়ারী – ডিসেম্বর, ২০২৩)  এখন ৬০% ছাড়ে

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

লেখালেখির শুরুতেই আমি কবিতাচর্চার সাথে সাথে গদ্য লেখার প্রয়াসী ছিলাম । গল্প-উপন্যাস লেখা যে কেবল কথাশিল্পীদেরই কাজ, কবির কাজ নয় একথা আমি মানিনি। এখনও মানি না। আমি মনে করি কবিতার অতিরিক্ত আমার সব লেখাই একজন কবির কাজ। এমন কি প্রবন্ধও ।

আমার লেখা উপন্যাসগুলাে মূলত বাংলাদেশের প্রচলিত ধারার উপন্যাস আঙ্গিকের নিয়ম মেনে লেখা হয়নি। জীবনের বাস্তবতা, অভিজ্ঞতা, স্বপ্ন ও কাব্যানুভূতির সংমিশ্রণে আমি কাহিনা নির্মাণে যত্নবান থেকেছি। এ বইয়ের প্রথম খণ্ডের পাঁচটি উপন্যাসেই পাঠক এর সত্যতা উপলব্ধি করবেন। 'ডাহুকী' উপন্যাসটি যখন ধারাবাহিকভাবে একটি সাময়িকীতে প্রকাশ শুরু হয় তখন আমার পাঠকদের এক বিপুল অংশ আমাকে চিঠি লিখে অভিনন্দন জানাতে থাকেন। তাদের মূল বক্তব্য ছিল আমি যেন গল্প-উপন্যাস লেখা চালিয়ে যাই। ডাহুকী বই আকারে প্রকাশিত হলে কিছুদিনের মধ্যেই এর প্রথম সংস্করণ ফুরিয়ে যায়।

এতে আমি দারুণ উৎসাহবােধ করেছি সন্দেহ নেই কিন্তু দিনরাত উপন্যাস নিয়ে পড়ে থাকায় আমার মন সায় দেয়নি। কোনাে সময় কবিতা লেখায় মনের সায় বেশি পেয়েছি। কখনাে বা ছােট গল্প লেখায়। ফাঁকে ফুকে প্রবন্ধও লিখেছি। সব মিলিয়ে নিজেকে যাচাই করতে কার না মন চায়? তাছাড়া বয়স ষাট পেরিয়ে গেলে এমনিতেই সৃজনশীল লেখকের মন বােধহয় খানিকটা লােভী হয়ে ওঠে। রচনাসমগ্রের পরিধি কতটা উঁচু হল সেটা দেখার ইচ্ছে জাগে। বলা বাহুল্য আমি এলােভ সংবরণ করতে পারিনি। তাছাড়া আমার উপন্যাসগুলাে দুটি খণ্ডে একত্র হওয়ায় যারা এদেশে মননশীল সাহিত্য নিয়ে আলােচনায় উৎসাহী তাক একজন কবির উপন্যাস হিসেবেও অন্যান্য কথাশিল্পীদের লেখার সাথে তুল্যমূল্য আলােচনায় উৎসাহী হবেন না একথা কে বলতে পারে?

' আমি লেখক হিসেবে আমার রচনার গুণাবলী নিয়ে এক মুহূর্তের জন্যও অতীতে দুর্ভাবনায় ভুগিনি । এখনও ভাবতে চাইনা। পাঠকই এর জন্য যথেষ্ট। আমি পৃষ্ঠা সংখ্যার পরিধি নিয়েই তৃপ্ত । এতবড় ঢাউস বই লিখেছি এতেই আমি খুশি। কবি’ ও ‘লেখক’ খেতাব নিয়ে বৃথাই জীবন পার করে দিইনি । এর জন্য আমার যে নীরব পরিশ্রম ছিল তা সহস্রাধিক পৃষ্ঠার পুস্তকই প্রমাণ ও সান্ত্বনা । এই উপন্যাসসমগ্র প্রকাশে আমাকে অকৃত্রিম সহায়তা দিয়েছে তরুণ নাট্যকার ও নাট্যাভিনেতা বাবুল বিশ্বাস । ধন্যবাদ দিয়ে তার তারুণ্যকে খাটো করতে চাই না।।

১২.৮.২০০০
আল মাহমুদ
মীরবাগ। বড় মগবাজার, ঢাকা
 

Title : উপন্যাসসমগ্র - ১
Author : আল মাহমুদ
Publisher : সময় প্রকাশন
ISBN : 984458244
Edition : 2011
Number of Pages : 504
Country : Bangladesh
Language : Bengali

আল মাহমুদ বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবিদের একজন আল মাহমুদের কবিতার বই পড়েননি এমন সাহিত্যপ্রেমী খুঁজে পাওয়া ভার। গুণী এই কবি একাধারে একজন সাংবাদিক, শিশুসাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক। তবে সবকিছু ছাপিয়ে গেছে তার কবি পরিচয়। আধুনিক বাংলা কবিতা নানা দিক থেকে তার কাছে ঋণী থাকবে। বাচনভঙ্গি আর রচনাশৈলীতে তার কবিতা সমকালীন যেকোনো কবির তুলনায় অনন্য। ‘কবিতাসমগ্র’ (দুই খন্ড) ‘উড়ালকাব্য’, ‘সোনালি কাবিন’, ‘আল মাহমুদের স্বাধীনতার কবিতা’, ‘প্রেমের কবিতা সমগ্র’, ‘আল মাহমুদের শ্রেষ্ঠ কবিতা’ ইত্যাদি কবিতার বই নিয়ে আল মাহমুদ কবিতাসমগ্র। এছাড়াও আল মাহমুদ উপন্যাস সমগ্র প্রকাশিত হয়েছে তিন খণ্ডে। জাতীয় রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক টানাপোড়েন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি ও প্রেক্ষাপটসহ সমাজ ও ব্যক্তি জীবনের দ্বন্দ্ব স্থান পেয়েছে আল মাহমুদ এর বই সমূহ-তে। ‘কালের কলম’, ‘লোক লোকান্তর’, ‘মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো’, ‘বখতিয়ারের ঘোড়া’, ‘আরব্য রজনীর রাজহাঁস’, ‘গল্প সমগ্র’, ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য লেখা। আল মাহমুদের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে। তার পুরো নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। শিক্ষাজীবনেই তিনি লেখালেখির সাথে সম্পৃক্ত হন। রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল আর মধ্যযুগের বৈষ্ণব পদাবলী পাঠ করতে করতে নিজের কবি প্রতিভা আবিষ্কার করেন তিনি। ১৯৫৪ সালে সাপ্তাহিক কাফেলা পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করেন। কিছুকাল পরই এ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। পুরো ৬০-এর দশক জুড়ে তিনি অসংখ্য কবিতা রচনা করেন এবং কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠা ও খ্যাতি লাভ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি প্রবাসী সরকারের হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এ পত্রিকায় সরকার বিরোধী লেখালেখির কারণে এক বছরের জন্য কারাদণ্ডও ভোগ করতে হয় তাকে। ১৯৭৫-৯৩ সাল পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক হিসেবে কাজ করে কর্মজীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন। কবি আল মাহমুদ তার অনবদ্য রচনাশৈলীর জন্য ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’, ‘একুশে পদক’, ‘জীবনানন্দ স্মৃতি পুরস্কার’, ‘নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক’ সহ অসংখ্য পদক ও সম্মাননা লাভ করেছেন। ২০১৯ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি তিনি পরলোকগমন করেন।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]