৳ ৭৫০ ৳ ৬৩৮
|
১৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
একাডেমিক বইয়ে প্রতি ১০০০ টাকার অর্ডারে একটি করে খাতা ফ্রি ও ডেলিভারি ফ্রি
মোগল ইতিহাস বরাবরই আমাকে আন্দোলিত করতো এবং এখনো করে। কখনো কখনো তাদের নিয়ে গর্ব করতাম। আবার কখনো বা দুঃখ পেতাম। ব্যক্তিগত জানার আগ্রহ থেকে প্রথমে একটি বই লিখে ফেলি। নাম দেই মোগল সাম্রাজ্যের সোনালী অধ্যায়। বইটির নামকরণ থেকেই বুঝা যায় যে, এতে শুধু মোগল ইতিহাসের সুখের দিনগুলো স্থান পেয়েছে। আমি ইচ্ছে করেই মোগল সাম্রাজ্যের বেদনাদায়ক অধ্যায় এড়িয়ে গেছি। ভেবেছিলাম যা লিখেছি তাই যথেষ্ট। আর না লিখলেও চলবে। কিন্তু পরবর্তীতে প্রকাশক ও পাঠকদের অনুরোধে এ বইটি লিখায় হাত দেই। বইটি লিখতে শুরু করে টের পাই যে, আমার সামনে সমুদ্র। মনে সাহস সঞ্চয় করে লিখতে শুরু করি। নাম দিয়েছি মোগল সাম্রাজ্যের পতন।
মোগল সাম্রাজ্যের সোনালী অধ্যায় লিখতে গিয়ে যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি, মোগল সাম্রাজ্যের পতন লিখতে গিয়েও হুবহু একই সমস্যার মুখোমুখি হই। সূত্র ছাড়া বই লিখা সম্ভব নয়। সমসাময়িক অথবা পরবর্তীকালে প্রকাশিত বই হচ্ছে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ সূত্র। বইয়ের কোনো জাত নেই। কিন্তু ভারতের ইতিহাস বিষয়ক কোনো কোনো বইয়ের স্বাদ ও ঘ্রাণ নেয়া হলে স্পষ্ট লেখকের ধর্মীয় পক্ষপাতিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। স্যার যদুনাথ সরকারের মতো ঐতিহাসিকগণও এ চক্র থেকে বের হতে পারেননি। ভারতে জন্মগ্রহণ এবং শত শত বছর ভারতে বসবাস করা সত্ত্বেও যদুনাথ সরকারের ভাষায় মোগলরা বিদেশি। মোগলরা বিদেশি হলে আমাদের পরিচয় দাঁড়ায় কি? ভারতীয়দের ভাষায় আমরাও বিদেশি। এজন্য বিজেপি শ্লোগান দেয় : বাবর কা আওলাদ কা বাহার করো, মন্দির কা নির্মাণ করো। যে জাতি কালা পানি আখ্যা দিয়ে সমুদ্র পাড়ি দেয়াকে জাত যাওয়া বলে মনে করতো তাদের পক্ষে মোগলদের বিদেশি বলাই স্বাভাবিক। ভারতীয় ঐতিহাসিকরা স্বীকৃতি না দিলেও ব্রিটিশ ঐতিহাসিক এইচভি হাডসন তার গ্রেট ডিভাইড শিরোনামে গ্রন্থে মোগলদের ভারতীয় হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছেন। হাডসন তার আলোচ্য বইয়ের ৯ নম্বর পৃষ্ঠায় লিখেছেন : : Later Muslim conquerors became absorbed by the land they ruled and Akber the Great was as much as Indian as Pandit Nehru. অর্থাৎ পরবর্তীকালের মুসলিম বিজেতাগণ তাদের শাসনাধীন ভূখণ্ডে একাকার হয়ে গিয়েছিলেন এবং মহান আকবর ছিলেন পণ্ডিত নেহরুর মতো ভারতীয়।
Title | : | মোগল সাম্রাজ্যের পতন |
Author | : | সাহাদত হোসেন খান |
Publisher | : | আফসার ব্রাদার্স |
ISBN | : | 9789849029900502 |
Edition | : | 2nd Print, 2024 |
Number of Pages | : | 552 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
প্রখ্যাত লেখক এবং সাংবাদিক সাহাদত হোসেন খান বাংলাদেশের মিডিয়াপাড়ার একজন পরিচিত মুখ। তিনি দীর্ঘকাল ধরে সাংবাদিকতা করে চলেছেন। ১৯৮৭ সালে দৈনিক দিনকাল দিয়ে সাংবাদিকতা পেশা শুরু করেন তিনি। এরপর দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক ইত্তেফাকসহ একাধিক জাতীয় পত্রিকায় কাজ করেছেন তিনি। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের বিভিন্ন পদে তিনি চারবার দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। বর্তমানে জাতীয় প্রেসক্লাব এবং বাংলা একাডেমির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। গুণী এ লেখকের জন্ম ১৯৫৬ সালের ১লা মে। নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার কাটাবাড়িয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান তিনি। স্থানীয় স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা এবং নরসিংদী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। সাহাদত হোসেন খান এর বই সমূহ-তে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অধিক স্থান পায়। দীর্ঘকালের সাংবাদিকতা ক্যারিয়ারে তিনি আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীর প্রতি ঝোঁক তৈরি করেছেন, যা তার লেখালেখিকেও প্রভাবিত করেছে। ‘প্রথম বিশ্বযুদ্ধ’, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ট্রাজেডি’, ‘মোঘল সাম্রাজ্যের সোনালী সময়’, ‘পলাশী থেকে একাত্তর’, ‘ক্রুসেড’, ‘স্বর্ণযুগের মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার’, ‘স্নায়ুযুদ্ধ’, ‘মোঘল সাম্রাজ্যের পতন’, ‘অ্যাডলফ হিটলার’, ‘অটোমান সাম্রাজ্যের উত্থান’, ‘খোলাফায়ে রাশেদীন’সহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক এবং ঐতিহাসিক বিষয়াবলীর বই নিয়েই সাহাদত হোসেন খান এর বই সমগ্র সমৃদ্ধ। এছাড়াও ‘আবার কি আমার পৃথিবীতে আসবে’, ‘চন্দ্র সূর্য আমার ভালোবাসার সাক্ষী’সহ বেশ কিছু কাব্যগ্রন্থও রচনা করেছেন তিনি।
If you found any incorrect information please report us