৳ ২২০ ৳ ১৮৭
|
১৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
একাডেমিক বইয়ে প্রতি ১০০০ টাকার অর্ডারে একটি করে খাতা ফ্রি ও ডেলিভারি ফ্রি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখিত প্রথম উপন্যাস একটি কালো মেয়ের কথা রচনা করেছিলেন শ্রেষ্ঠ কথাশিল্পী তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যয়। কর্তব্যের তাগিদেই, মহান মুক্তিযুদ্ধের চল্লিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে অধুনা বিস্মৃত এই উপন্যাসটি পুনর্প্রকাশিত হলো। উপন্যাসে পট উন্মোচিত হয়েছে নাজমা নামের একটি মেয়েকে নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম কালে ‘স্পাই’ হিসেবে ধরা পড়া ডেভিড আর্মস্ট্রং এর ভারতীয় পুলিশ-অফিসারের সামনে জবানবন্দি উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে। জবানবন্দিতে ডেভিড বলেছে : ‘..... এরই মধ্যে এই দেশটাকে এমন করে ভালবেসে ফেললাম যে এই আমার সব থেকে ভোলো দেশ, এর থেকে ভালো দেশ আর নেই। আর এই দেশই আমার দেশ।’ সংগীত শিল্পী ও ট্রানজিস্টার-মেকানিক ডেভিড ভিক্ষাজীবী পিতার কন্যা নাজমার সঙ্গে সঙ্গীত-প্রতিভায় বিমুগ্ধ ছিল। এই নাজমাই পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর তাঁবেদার এক পাঞ্জাবির বলাৎকারের শিকার হয়। নির্যাতিতা ও সন্তানহারা কালো মেয়ে নাজমা ১৯৭১-এর বাংলাদেশের প্রতিরূপক হয়ে উঠেছে উপন্যাসে। তবে, উপন্যাসটিতে ব্যক্তিগত কথকতা ছাপিয়ে বড়ো হয়ে উঠেছে পূর্ব বাংলার সমাজ-রাজনীতি, গণহত্যা ও বাঙালির মহান মুক্তিযুদ্ধ। বলা অত্যুক্তি হবে না যে, উপন্যাসটি বিষয়গৌরবে ঋদ্ধ। বাংলাদেশেল প্রেক্ষণবিন্দু থেকে উপন্যাসটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ-অবলম্বী সাহিত্যের আলোচনায়, পথিকৃৎ এই উপন্যাসটি ‘পরিপ্রেক্ষিত’-এর মর্যাদাবাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখিত প্রথম উপন্যাস একটি কালো মেয়ের কথা রচনা করেছিলেন শ্রেষ্ঠ কথাশিল্পী তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যয়। কর্তব্যের তাগিদেই, মহান মুক্তিযুদ্ধের চল্লিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে অধুনা বিস্মৃত এই উপন্যাসটি পুনর্প্রকাশিত হলো। উপন্যাসে পট উন্মোচিত হয়েছে নাজমা নামের একটি মেয়েকে নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম কালে ‘স্পাই’ হিসেবে ধরা পড়া ডেভিড আর্মস্ট্রং এর ভারতীয় পুলিশ-অফিসারের সামনে জবানবন্দি উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে। জবানবন্দিতে ডেভিড বলেছে : ‘..... এরই মধ্যে এই দেশটাকে এমন করে ভালবেসে ফেললাম যে এই আমার সব থেকে ভোলো দেশ, এর থেকে ভালো দেশ আর নেই। আর এই দেশই আমার দেশ।’ সংগীত শিল্পী ও ট্রানজিস্টার-মেকানিক ডেভিড ভিক্ষাজীবী পিতার কন্যা নাজমার সঙ্গে সঙ্গীত-প্রতিভায় বিমুগ্ধ ছিল। এই নাজমাই পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর তাঁবেদার এক পাঞ্জাবির বলাৎকারের শিকার হয়। নির্যাতিতা ও সন্তানহারা কালো মেয়ে নাজমা ১৯৭১-এর বাংলাদেশের প্রতিরূপক হয়ে উঠেছে উপন্যাসে। তবে, উপন্যাসটিতে ব্যক্তিগত কথকতা ছাপিয়ে বড়ো হয়ে উঠেছে পূর্ব বাংলার সমাজ-রাজনীতি, গণহত্যা ও বাঙালির মহান মুক্তিযুদ্ধ। বলা অত্যুক্তি হবে না যে, উপন্যাসটি বিষয়গৌরবে ঋদ্ধ। বাংলাদেশেল প্রেক্ষণবিন্দু থেকে উপন্যাসটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ-অবলম্বী সাহিত্যের আলোচনায়, পথিকৃৎ এই উপন্যাসটি ‘পরিপ্রেক্ষিত’-এর মর্যাদা পেতবাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখিত প্রথম উপন্যাস একটি কালো মেয়ের কথা রচনা করেছিলেন শ্রেষ্ঠ কথাশিল্পী তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যয়। কর্তব্যের তাগিদেই, মহান মুক্তিযুদ্ধের চল্লিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে অধুনা বিস্মৃত এই উপন্যাসটি পুনর্প্রকাশিত হলো। উপন্যাসে পট উন্মোচিত হয়েছে নাজমা নামের একটি মেয়েকে নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম কালে ‘স্পাই’ হিসেবে ধরা পড়া ডেভিড আর্মস্ট্রং এর ভারতীয় পুলিশ-অফিসারের সামনে জবানবন্দি উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে। জবানবন্দিতে ডেভিড বলেছে : ‘..... এরই মধ্যে এই দেশটাকে এমন করে ভালবেসে ফেললাম যে এই আমার সব থেকে ভোলো দেশ, এর থেকে ভালো দেশ আর নেই। আর এই দেশই আমার দেশ।’ সংগীত শিল্পী ও ট্রানজিস্টার-মেকানিক ডেভিড ভিক্ষাজীবী পিতার কন্যা নাজমার সঙ্গে সঙ্গীত-প্রতিভায় বিমুগ্ধ ছিল। এই নাজমাই পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর তাঁবেদার এক পাঞ্জাবির বলাৎকারের শিকার হয়। নির্যাতিতা ও সন্তানহারা কালো মেয়ে নাজমা ১৯৭১-এর বাংলাদেশের প্রতিরূপক হয়ে উঠেছে উপন্যাসে। তবে, উপন্যাসটিতে ব্যক্তিগত কথকতা ছাপিয়ে বড়ো হয়ে উঠেছে পূর্ব বাংলার সমাজ-রাজনীতি, গণহত্যা ও বাঙালির মহান মুক্তিযুদ্ধ। বলা অত্যুক্তি হবে না যে, উপন্যাসটি বিষয়গৌরবে ঋদ্ধ। বাংলাদেশেল প্রেক্ষণবিন্দু থেকে উপন্যাসটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ-অবলম্বী সাহিত্যের আলোচনায়, পথিকৃৎ এই উপন্যাসটি ‘পরিপ্রেক্ষিত’-এর মর্যাদা পেতে পারে।
Title | : | একটি কালো মেয়ের কথা |
Author | : | তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় |
Editor | : | ভীষ্মদেব চৌধুরী |
Publisher | : | নবযুগ প্রকাশনী |
ISBN | : | 9789848858479 |
Edition | : | 4th Print, 2022 |
Number of Pages | : | 93 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় বিংশ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ছিলেন। ১৮৯৮ সালের ২৪ জুলাই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় তাঁর জন্ম। তাঁর শৈশব কাটে এই বীরভূম জেলারই লাভপুর গ্রামে। ধর্মপরায়ণ ও আদর্শনিষ্ঠ বাবা-মায়ের কাছে তিনিও একই সততা ও আদর্শের শিক্ষা নিয়ে বেড়ে উঠতে থাকেন। লাভপুরের যাদবলাল হাই স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করে তিনি সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তি হন। তবে নানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম শেষ করতে পারেননি। ভারতীয় স্বাধীনতা বিপ্লবের সময় রাজনৈতিক কারণে কারাভোগ করতে হয় তাঁর। মুক্তি পাওয়ার পর সাহিত্যে মনোনিবেশ করেন পুরোপুরি। তাঁর অনন্য প্রতিভায় জন্ম নিয়েছে একেকটি অসাধারণ পাঠকনন্দিত সাহিত্যকর্ম। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় রচনাবলী বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সমৃদ্ধ সম্পদ। তাঁর লেখা কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষের জীবনকে এককভাবে উপস্থাপন করে না, ফুটিয়ে তোলে গ্রামীণ ও নাগরিক জীবনের সব বৈশিষ্ট্যকে। সাহিত্য সৃষ্টি করতে তিনি বাদ রাখেননি কোনো শাখা। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস হলো ‘চৈতালি ঘূর্ণি (১৯৩২)’, ‘পাষাণপুরী (১৯৩৩)’, ’ধাত্রীদেবতা (১৯৩৯)’, ’কালিন্দী (১৯৪০)’, ’কবি (১৯৪৪)’, ’হাসুলী বাঁকের উপকথা (১৯৫১)’, ‘কালরাত্রি (১৯৭০)’ ইত্যাদি। তারাশঙ্করের উপন্যাস সমগ্র সংখ্যার হিসাবে প্রায় ৬৫টি। এর মধ্যে ‘কবি’ উপন্যাসটি তারাশঙ্করের কালজয়ী উপন্যাস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামার মাঝে তিনি বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী ও সাহিত্য সম্মেলন এর নেতৃত্ব দান ও সভাপতিত্ব করেন। পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভার নির্বাচিত সদস্য হিসেবে তিনি আট বছর দায়িত্ব পালন করেন। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় কবিতা সমগ্র হল ‘ত্রিপত্র (১৯২৬)। এছাড়াও সাহিত্য রচনা করেছেন ছোটগল্প, নাটক, প্রহসন ও প্রবন্ধ আকারেও। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়ের ছোটগল্প সংকলন হলো ‘ছলনাময়ী (১৯৩৭)’, ‘রসকলি (১৯৩৯)’, ‘হারানো সুর (১৯৪৫)’, ‘কালান্তর (১৯৫৬), ‘মিছিল (১৯৬৯)’, ‘উনিশশো একাত্তর (১৯৭১)’ ইত্যাদি। তাঁর রচিত অনেক উপন্যাস পেয়েছে চলচ্চিত্র রূপ, এদের মাঝে আছে ‘কালিন্দী’, ‘দুই পুরুষ’, ‘জলসাঘর’, ‘অভিযান’। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় উপন্যাস সমগ্র বাঙালি পাঠকের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘শরতস্মৃতি পুরস্কার (১৯৪৭)’, ‘জগত্তারিণী স্বর্ণপদক (১৯৫৬)’, ‘রবীন্দ্র পুরস্কার (১৯৫৫)’, ‘পদ্মশ্রী (১৯৬২)’, ‘পদ্মভূষণ (১৯৬৮)’ ইত্যাদি পুরস্কার ও উপাধি লাভ করেন। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় এর বই সমূহ মানুষের হৃদয়ে চিরস্থায়ী স্থান করে নিয়েছে। পাঠকনন্দিত এই বাঙালি কথাসাহিত্যিক ১৯৭১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পরলোকগমন করেন।
If you found any incorrect information please report us