৳ ১৫০ ৳ ১৩২
|
১২% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে ভারতের প্রান্তিক রাজ্য ত্রিপুরার সর্বস্তরের মানুষ এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃজন যে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন তার বিপলতা ও গভীরতা এখনও আমাদের জানা হয়ে ওঠে নি । এই জানার প্রয়াস মুক্তিযুদ্ধের বহুমাত্রিকতা মেলে ধরে আমাদের সামনে এবং বর্তমান গ্রন্থ সেই অভাব পূরণে নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে। রবীন সেনগুপ্ত (জন্ম : ১৯৩০) ত্রিপুরার কৃতী আলােকচিত্রী, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিযােগিতায় ফটোগ্রাফির জন্য সম্মাননা অর্জন করেছিলেন, একাধিক তথ্যচিত্রের তিনি নির্মাতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সূচনাকালেই আকুল হয়ে ঝাঁপ দিয়েছিলেন কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য। যখন গণহত্যার সংবাদ পৌছতে লাগলাে ত্রিপুরায়, উদ্বাস্তু মানুষের ঢল উপচে পড়ছিল সীমান্তের ওপারে, সেই দিনগুলাে থেকে নয় মাসব্যাপী নানামুখী সহায়ক কর্মকাণ্ডে তৎপর ছিল ত্রিপুরাবাসী এবং সেই সাথে ত্রিপুরার কৃতী আলােকচিত্রী রবীন সেনগুপ্ত, ইতিহাসের ঘটনাধারার সাক্ষী ও অংশী হয়ে উঠেছিলেন যিনি। অবশেষে ডিসেম্বরে মুক্তিযােদ্ধা ও ভারতীয় বাহিনীর সাথী হয়ে রবীন সেনগুপ্ত প্রবেশ করলেন মুক্ত ঢাকায়, প্রত্যক্ষ করলেন পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণ । ইতিহাসের প্রত্যক্ষচিত্র ধারণে রবীন সেনগুপ্তের ভূমিকার পরিচয় বহন করে ইতিপূর্বে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গ্রন্থ ‘চিত্র-সাংবাদিকের ক্যামেরায় মুক্তিযুদ্ধ, একাত্তরটি চিত্রসংবলিত বই। বর্তমান গ্রন্থে তিনি মেলে ধরেছেন মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরাবাসী অংশীদারিত্বের সবিস্তার ভাষ্য, প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার সঙ্গে আহরিত তথ্যের মিশেলে ইতিহাসের অনন্য কথকতা।
Title | : | বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরা: কিছু স্মৃতি কিছু কথা |
Author | : | রবীন সেনগুপ্ত |
Publisher | : | সাহিত্য প্রকাশ |
ISBN | : | 9847012401552 |
Edition | : | 1st Published, 2019 |
Number of Pages | : | 70 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
রবীন সেনগুপ্ত জন্ম : আগরতলা ২০ ডিসেম্বর ১৯৩০ (আদি-নিবাস বিক্রমপুর, ঢাকা) পড়াশােনা : উমাকান্ত একাডেমী ও বিশ্বভারতী। ২০ বছর বয়স থেকে পিতার সান্নিধ্যে আলােকচিত্র চর্চা শুরু। ১৯৫২ সাল থেকে ফ্রি লালার’ চিত্রসাংবাদিকরূপে স্টেটসম্যান, আনন্দবাজার, যুগান্তর, স্বাধীনতা, অমৃতবাজার, হিন্দুস্থান স্ট্যান্ডার্ড, সত্যযুগ প্রভৃতি পত্রিকায় আত্মপ্রকাশ। ১৯৫৬-৬২ সালে আদিবাসীদের সংস্কৃতি ও জীবন নিয়ে ত্রিপুরার সর্বপ্রথম রঙিন চলচ্চিত্র নির্মাণ । ১৯৫৯ সালে ব্রাজিলে আলােকচিত্র প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ ও প্রথম শ্রেণীর আলােকচিত্রীরূপে স্বীকৃতি লাভ। ১৯৬২ সালে ‘দি রয়েল ফটোগ্রাফি সােসাইটি অফ গ্রেট ব্রিটেনের সম্মানিত সদস্যপদ লাভ। “দি ফেডারেশন অফ। ইন্ডিয়ান ফটোগ্রাফি’র ভূতপূর্ব সদস্য। ১৯৬২ সালে সােভিয়েত ইউনিয়ন ও অন্যান্য দেশ পরিভ্রমণ। এই সময়ে তাঁরই তৈরি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র দি টেইলস অফ। ট্রাইবাল লাইফ অফ ত্রিপুরা হেলসিঙ্কিতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র সেমিনারে প্রদর্শিত হয়। ব্যক্তিগতভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, ই.এম.এস. নামুদ্রিপাদ, জ্যোতি বসু-এদের স্নেহধন্য। তার সৃষ্ট ত্রিশটিরও বেশি ডকুমেন্টারি ছবির মধ্যে রয়েছে হ্যান্ডলুম অ্যান্ড হ্যান্ডিক্রাফটস অফ ত্রিপুরা, গ্রিমসেস অফ ত্রিপুরা, জয়তু শাস্ত্রীজি, প্রিয়দর্শিনী ইন্দিরা, ফোক ডান্স অফ ইন্ডিয়া, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, জনগণের জয়, শারদোৎসব প্রভৃতি। এইসব ছবির ধারাভাষ্যে ছিলেন কাজী সব্যসাচী ও দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। প্রতিষ্ঠিত একজন গবেষণামূলক প্রবন্ধকার ও লেখক ত্রিপুরার স্থাপত্য, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি বিষয়ক বহু রচনা এই পরিচয় বহন করে। “চিত্রসাংবাদিকের ক্যামেরায় মুক্তিযুদ্ধ প্রামাণিক সচিত্র পুস্তকটি ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় ২০০০ সালে।
If you found any incorrect information please report us