বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম (হার্ডকভার)

বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্রের মানসকন্যা হিসেবে দেশ ও জনগণের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা এক অনন্য আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা হিসেবে শৈশব থেকেই পিতার  রাজনৈতিক জীবনের সান্নিধ্য ও শিক্ষা-দীক্ষা শেখ হাসিনার মেধা-মননকেও পরিপুষ্ট করেছে। ১৯৭৫ পরবর্তীকালে দেশে সামরিক স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের প্রশ্নটি ছিল শাসকগােষ্ঠীর কাছে উপেক্ষিত। রাজনীতিকে দুর্নীতিপরায়ণ করে জনমনে হতাশা সৃষ্টি করাই ছিল শাসকগােষ্ঠীর মূল লক্ষ্য। এ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণের ভাত ও ভােটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শেখ হাসিনা দুঃসাহসী নেতৃত্ব প্রদান করে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। শেখ হাসিনার প্রধান চারিত্রিক মাধুর্য হ’ল তার মানবিক মূল্যবােধ । তিনি সম্পূর্ণরূপেই একজন রাজনীতিমনস্ক ব্যক্তিত্ব।একজন আদর্শ বাঙালি নারীর প্রতীক হিসেবে তিনি আজ জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের আন্দোলনেও অঙ্গীকারবদ্ধ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশে সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকারকে হরণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবােধকেও ভূলুণ্ঠিত করা হয়। রাজনীতিতে ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব গ্রহণ জনগণের কাছে এক নতুন আশা-আকাঙ্খার জন্ম দেয়। তিনি নিজেই বলেছেন, 'বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই আমার রাজনীতি। 

দেশ থেকে সামরিক শাসনের অবসান, স্বৈরতন্ত্রের মূলােৎপাটন, সস্ত্রাসের রাজনীতির অবসান এবং অর্থনৈতিক পরনির্ভরশীলতাহাস করে জনগণকে শােষণের নির্যাতন থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে তিনি প্রায় দেড় দশক ময় ধরে নেতৃত্ব প্রদান করে আসছেন। তাঁর এই দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, আপােষহী নিরলস সংগ্রামী চেতনা জনগণের প্রতি মমত্ববােধ তাঁকে আজ অবিস্মরণীয় নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং মানবাধিকার আন্দোলনের মমতাময়ী নেত্রী হিসেবে শেৎ হাসিনা এক আলােচ্য ব্যক্তিত্ব। 

শেখ হাসিনার এই সাহসী ও দূরদর্শী রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে তাঁর শ্রম, মেধা, মানবিক মূল্যবােধ এবং জনগণের শুদ্ধতম ভালবাসা।