৳ ৭০০ ৳ ৫৯৫
|
১৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
প্রাচীন যুগে বাংলাদেশের কোনো একক রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক ভূখ- ছিল না। অবশ্য নামের দিক দিয়া প্রাচীনকালের বাংলাদেশের অধিকাংশ অঞ্চল সরকারিভাবে পু-্রবর্ধনভুক্তি নামে পরিচিতি ছিল। সামগ্রিকভাবে বাংলার জনগণের মধ্যে সামাজিক, ধর্মীয় ও ভাষাগত সাদৃশ্য থাকা সত্ত্বেও দেশে অখ- রাজনৈতিক সত্তা কোনো সময়েই প্রতিষ্ঠিত হইতে পারে নাই। প্রাচীন বাংলা ক্ষুদ্র-বৃহৎ রাজ্যে বিভক্ত ছিল। সুতরাং প্রাচীন বাংলার ইতিহাস বলিতে এই সমস্ত ক্ষুদ্র-বৃহৎ রাজ্যের ইতিহাসকেই বুঝায়। বলাবাহুল্য, প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে কোনো রাজ্যেরই ধারাবাহিক ইতিহাস রচনা করা সম্ভব নয়। এই অবস্থায় বাংলাদেশের সামগ্রিক ও সুসামঞ্জস্য ইতিহাস রচনা এখনও সুদূরপ্ররাহত। একজন প-িত দুঃখ করিয়া লিখিয়াছেন, বাঙালি একটি আত্মবিস্মৃত জাতি। সম্ভবত তিনি বাঙালিদের নিজেদের ইতিহাস রচনায় পরাক্সমুখতার প্রতি নির্দেশ করিয়াই এইরূপ উক্তি করিয়াছেন। দীর্ঘদিন ধরিয়া বাংলার ইতিহাস বলিতে কেবল জনশ্রুতিভিত্তিক কিছু রচনা ও কতকগুলি কুলজী গ্রন্থ ছাড়া বিশেষ কিছুই ছিল না।
বর্তমান গ্রন্থটি আবিষ্কৃত তথ্য এবং ঐতিহাসিক আলোচনার ভিত্তিতে রচিত হইয়াছে। রচনার কাজে প্রকাশিত প্রবন্ধ ও গ্রন্থসমূহের সাহায্য গ্রহণ করা হইয়াছে। ইতিহাসের আনুপূর্বিক ঘটনাপ্রবাহের প্রতি লক্ষ্য রাখা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় তথ্যাদির অভাবে বাংলার ইতিহাসের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় নাই। যেখানে তথ্যের অভাব সেখানে অনুমানের উপর ভিত্তি করিতে হয়। কিন্তু ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে অনুমানমূলক সিদ্ধান্তের অবাধ ব্যবহার অত্যন্ত বিপজ্জনক। বিতর্কিত বিষয়সমূহভিত্তিক অনুমানমূলক বর্ণনার দ্বারা গ্রন্থটির কলেবর বৃদ্ধি না করিয়া প্রামাণিক তথ্যভিত্তিক বর্ণনার উপরই অধিক গুরুত্ব আরোপ করা হইয়াছে।
পাঠক মহলে গ্রন্থটি গৃহীত হইলে পরিশ্রম সার্থক হইয়াছে মনে করিব।
Title | : | বাংলার ইতিহাস |
Author | : | সুনীতিভূষন কানুনগো |
Publisher | : | আফসার ব্রাদার্স |
ISBN | : | 9789848018651 |
Edition | : | 1st Edition, 2022 |
Number of Pages | : | 612 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
ড. সুনীতিভূষণ কানুনগো চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী থানার কানুনগোপাড়া গ্রামের একটি অভিজাত পরিবারে ১৯৩৪ সালের ২৫ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা স্বর্গত শ্রীপুলিন বিহারী কানুনগো কানুনগোপাড়া ড. বি. বি. উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তাঁর মা স্বর্গতা সুচারুপ্রভা কানুনগো সাধারণ বঙ্গনারীর মত স্নেহশীলা ও কর্তব্যপরায়ণা মহিলা ছিলেন। ড. কানুনগোর একমাত্র কনিষ্ঠ ভ্রাতা ড. সুকৃতি ভূষণ কানুনগো কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নশাস্ত্রে পিএইচ ডি. ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি এখন রসায়ন বিজ্ঞানী। তাঁর স্ত্রী লীনা কানুনগো বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সুখ্যাত অধ্যাপক ছিলেন এবং চট্টগ্রাম বেতারের নজরুল সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন। বছর দুয়েক আগে আকস্মিক মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁদের দু’ছেলের প্রথম ছেলে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ১৪ বছর বয়সে অকাল প্রয়াত। দ্বিতীয় ছেলে ‘ফরেস্ট্রি ও এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সে’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি পাস করে স্বউদ্যোগে স্কলারশিপ লাভ করে আমেরিকার নিউইয়র্ক গিয়ে নিউইয়র্ক স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রাপ্ত এবং সেখানেই বসবাসরত। ড. সুনীতিভূষণ ১৯৬০ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আধুনিক ইতিহাসে এমএ ডিগ্রি লাভ করার পর স্বগ্রামের স্যার আশুতোষ কলেজে শিক্ষকতায় যোগদান করেন। ১৯৬২ সালে তাঁর জ্যেষ্ঠ পিতৃব্য উপমহাদেশের প্রথিতযশা ঐতিহাসিক ড. কালিকারঞ্জন কানুনগোর নির্দেশে ইতিহাসে গবেষণার কাজে ব্রতী হন। তাঁর গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন বাংলাদেশের স্বনামখ্যাত ঐতিহাসিক ড. আবদুল করিম। ড. সুনীতিভূষণ ছিলেন তাঁর প্রথম গবেষক ছাত্র। ড. কানুনগো একনিষ্ঠ সাধনায় নীরবে নিভৃতে বহু গবেষণা গ্রন্থ প্রণয়ন করেছেন এবং নিজের অর্থায়নে সেগুলো প্রকাশও করেছেন, আরও কিছু পাণ্ডুলিপি প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। তাঁর পিএইচডি থিসিসের ভিত্তিতে রচিত হয় ‘History of Chittagong Vol 1 এবং প্রকাশিত হয় ১৯৮৮ সালে। এই খণ্ডের বিষয়বস্তু হলো চট্টগ্রামের প্রাচীন ও মধ্যযুগের ইতিহাস। তাঁর রচিত ‘‘History of Chittagong Vol 2’ প্রকাশিত হয় ২০১০ সালে। এই খণ্ডের বিষয়বস্তু হলো চট্টগ্রামের ইতিহাসের আধুনিক যুগ। মোটের ওপর এই দুই খণ্ড মিলিতভাবে চট্টগ্রামের একটি পূর্ণাঙ্গ ইতিহাসের রূপ নিয়েছে। তিনি কেবলমাত্র চট্টগ্রামের ইতিহাস লিখে থেমে থাকেন নি। তিনি বাংলার ইতিহাসের ওপর গ্রন্থ রচনায় প্রবৃত্ত হন। এর ফলশ্রুতিতে তিনি বাংলার ইতিহাস- প্রথম খণ্ড (প্রাচীন যুগ), ‘বাংলার ইতিহাস -দ্বিতীয় খণ্ড (সুলতানী আমল) এবং বাংলার ইতিহাস তৃতীয় খণ্ড (মোগল আমল) রচনা করেন। এই গ্রন্থগুলো রচনার সঙ্গে সঙ্গে ‘বাংলার শাসনতান্ত্রিক ইতিহাস’- প্রথম খণ্ড (প্রাচীন যুগ) এবং দ্বিতীয় খণ্ড (মধ্যযুগ) রচনা করেন। |
If you found any incorrect information please report us