বাংলার শাসনতান্ত্রিক ইতিহাস (হার্ডকভার)
বাংলার শাসনতান্ত্রিক ইতিহাস (হার্ডকভার)
৳ ৪০০   ৳ ৩৪০
১৫% ছাড়
Quantity  

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

১০% নিশ্চিত ছাড় এবং ডেলিভারি একদম ফ্রি !! সাথে পাচ্ছেন ১০০০ টাকার ডিসকাউন্ট কার্ড ফ্রি। মাত্র ১০০০ বা তার বেশি টাকার পাঠ্যবই ও অনুশীলনমূলক বই -এর জন্য প্রযোজ্য। কুপন কোড: ACADEMIC ব্যবহার করলেই 

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

বাংলার শাসনতান্ত্রিক ইতিহাসের বিশদ ও ধারাবাহিক আলোচনা বেশ কঠিন বিষয়। এর প্রধান কারণ রাজনৈতিক ইতিহাসের ধারাবাহিকতার অভাব ও প্রয়োজনীয় তথ্যের অপ্রতুলতা। প্রাচীন বাংলার প-িত ও লেখকেরা কাব্য ও শাস্ত্রীর গ্রন্থ রচনায় যতটা আগ্রহী ছিলেন রাজনৈতিক কিংবা রাজ্যশাসন বিষয়ক গ্রন্থ রচনার ততটা আগ্রহী ছিলেন না।
প্রাচীন বাংলার ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা তথ্যবহুল এবং নির্ভরযোগ্য উপাদান হলো দেশের বিভিন্ন স্থানে আবিষ্কৃত বিভিন্ন যুগে উৎকীর্ণ তাম্রশাসনসমূহ। সমসাময়িক ইতিহাস গ্রন্থ, প্রস্তরলিপি ও আবিষ্কৃত মুদ্রার স্বল্পতা নিঃসন্দেহে তাম্রশাসনসমূহের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। পাল, চন্দ্র, সেন ইত্যাদি রাজবংশের শাসনামলের প্রত্যেকটি তাম্রশাসনকে এক একটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইতিহাস গ্রন্থ বলা যায়। গুপ্ত সম্রাটদের সময় থেকে প্রাচীন যুগের পরিসমাপ্তি পর্যন্ত এই তাম্রশাসনসমূহ শাসন বিভাগের বহু প্রকার বৈশিষ্ট্যের উপর আলোকপাত করেছে। তাম্রশাসনসমূহে রাজনৈতিক বিভাগ, রাজকর্মচারীদের নামোল্লেখ এবং রাজকর্মচারীদের পদের উল্লেখ প্রাচীন বাংলার প্রশাসনিক ব্যবস্থার একটি মোটামুটি ধারণা দিতে পারে।
শাসনতান্ত্রিক ইতিহাসের মধ্যযুগকে সুলতানী আমল এবং মোগল আমলে ভাগ করার একটি বৃহৎ কারণ উভয় যুগের শাসনব্যবস্থার নিজস্বতা ফুটিয়ে তোলা। বাংলা ছিল সুলতানী আমলে স্বাধীন কিন্তু মোগল আমলে হলো মোগল সাম্রাজ্যভুক্ত। সুলতানী আমলে বাংলায় নিজস্ব শাসনব্যবস্থা প্রচলিত ছিল পক্ষান্তরে মোগল আমলে সাম্রাজ্যের অন্যান্য অংশের ন্যায় বাংলায়ও মোগল প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে কিছুটা হেরফের থাকলেও উভয় যুগেই শাসন ব্যবস্থা ছিল দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত।

Title : বাংলার শাসনতান্ত্রিক ইতিহাস
Author : সুনীতিভূষন কানুনগো
Publisher : আফসার ব্রাদার্স
ISBN : 9789848018637
Edition : 1st Edition, 2022
Number of Pages : 272
Country : Bangladesh
Language : Bengali

ড. সুনীতিভূষণ কানুনগো চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী থানার কানুনগোপাড়া গ্রামের একটি অভিজাত পরিবারে ১৯৩৪ সালের ২৫ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা স্বর্গত শ্রীপুলিন বিহারী কানুনগো কানুনগোপাড়া ড. বি. বি. উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তাঁর মা স্বর্গতা সুচারুপ্রভা কানুনগো সাধারণ বঙ্গনারীর মত স্নেহশীলা ও কর্তব্যপরায়ণা মহিলা ছিলেন। ড. কানুনগোর একমাত্র কনিষ্ঠ ভ্রাতা ড. সুকৃতি ভূষণ কানুনগো কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নশাস্ত্রে পিএইচ ডি. ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি এখন রসায়ন বিজ্ঞানী। তাঁর স্ত্রী লীনা কানুনগো বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সুখ্যাত অধ্যাপক ছিলেন এবং চট্টগ্রাম বেতারের নজরুল সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন। বছর দুয়েক আগে আকস্মিক মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁদের দু’ছেলের প্রথম ছেলে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ১৪ বছর বয়সে অকাল প্রয়াত। দ্বিতীয় ছেলে ‘ফরেস্ট্রি ও এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সে’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি পাস করে স্বউদ্যোগে স্কলারশিপ লাভ করে আমেরিকার নিউইয়র্ক গিয়ে নিউইয়র্ক স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রাপ্ত এবং সেখানেই বসবাসরত। ড. সুনীতিভূষণ ১৯৬০ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আধুনিক ইতিহাসে এমএ ডিগ্রি লাভ করার পর স্বগ্রামের স্যার আশুতোষ কলেজে শিক্ষকতায় যোগদান করেন। ১৯৬২ সালে তাঁর জ্যেষ্ঠ পিতৃব্য উপমহাদেশের প্রথিতযশা ঐতিহাসিক ড. কালিকারঞ্জন কানুনগোর নির্দেশে ইতিহাসে গবেষণার কাজে ব্রতী হন। তাঁর গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন বাংলাদেশের স্বনামখ্যাত ঐতিহাসিক ড. আবদুল করিম। ড. সুনীতিভূষণ ছিলেন তাঁর প্রথম গবেষক ছাত্র। ড. কানুনগো একনিষ্ঠ সাধনায় নীরবে নিভৃতে বহু গবেষণা গ্রন্থ প্রণয়ন করেছেন এবং নিজের অর্থায়নে সেগুলো প্রকাশও করেছেন, আরও কিছু পাণ্ডুলিপি প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। তাঁর পিএইচডি থিসিসের ভিত্তিতে রচিত হয় ‘History of Chittagong Vol 1 এবং প্রকাশিত হয় ১৯৮৮ সালে। এই খণ্ডের বিষয়বস্তু হলো চট্টগ্রামের প্রাচীন ও মধ্যযুগের ইতিহাস। তাঁর রচিত ‘‘History of Chittagong Vol 2’ প্রকাশিত হয় ২০১০ সালে। এই খণ্ডের বিষয়বস্তু হলো চট্টগ্রামের ইতিহাসের আধুনিক যুগ। মোটের ওপর এই দুই খণ্ড মিলিতভাবে চট্টগ্রামের একটি পূর্ণাঙ্গ ইতিহাসের রূপ নিয়েছে। তিনি কেবলমাত্র চট্টগ্রামের ইতিহাস লিখে থেমে থাকেন নি। তিনি বাংলার ইতিহাসের ওপর গ্রন্থ রচনায় প্রবৃত্ত হন। এর ফলশ্রুতিতে তিনি বাংলার ইতিহাস- প্রথম খণ্ড (প্রাচীন যুগ), ‘বাংলার ইতিহাস -দ্বিতীয় খণ্ড (সুলতানী আমল) এবং বাংলার ইতিহাস তৃতীয় খণ্ড (মোগল আমল) রচনা করেন। এই গ্রন্থগুলো রচনার সঙ্গে সঙ্গে ‘বাংলার শাসনতান্ত্রিক ইতিহাস’- প্রথম খণ্ড (প্রাচীন যুগ) এবং দ্বিতীয় খণ্ড (মধ্যযুগ) রচনা করেন। |


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]