আখ্যানমঞ্জরী (হার্ডকভার)
আখ্যানমঞ্জরী (হার্ডকভার)
৳ ৩০০   ৳ ২৫৫
১৫% ছাড়
Quantity  

১১৯৯ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

৫০% ছাড়ে অর্ডার করুন 'তথ্য সাময়িকী ৪৬তম বিসিএস বিশেষ সংখ্যা' ও 'বিসিএস প্রিলিমিনারি মডেল টেস্ট'

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের (১৮২০-১৮৯১) অন্যান্য শিশু-কিশোর রচনার মতো তিন খণ্ডে রচিত আখ্যানমঞ্জরী আমাদের এই সময়ের ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য অবশ্যপাঠ্য বই। বিদ্যাসাগর বইয়ের ভূমিকায় বলেছেন, ‘যদি আখ্যানগুলো বালকদিগের ভাষাজ্ঞান ও আনুষঙ্গিক নীতিজ্ঞান বিষয়ে কিঞ্চিৎ অংশেও ফলোপদায়ক হয়, তাহা হইলে শ্রম সফল বোধ করিব।’
শুধু আনন্দ দান করা যেন আজকালকার শিশু-কিশোর পাঠ্যবইগুলোর প্রধান উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাহিত্য পাঠ করে আনন্দ লাভ করা অবশ্যই জরুরি। কিন্তু একই সঙ্গে শিশু-কিশোরদের নৈতিক চরিত্র গঠনও খুবই জরুরি। এটাও পড়তে পড়তেই হয়। শিশু-কিশোরদের তুলনা করা হয় নরম কাদামাটির সঙ্গে। কুমোর যেমন নরম কাদামাটি দিয়ে বাঁকিয়ে-ঘুরিয়ে বিচিত্র প্রয়োজনীয় তৈজসপত্র বানিয়ে তোলেন, তেমনি নৈতিক চরিত্র গঠনের উপযোগী গল্পকাহিনি পড়ে শিশু-কিশোররা সেইমতো তৈরি হয়। আখ্যানমঞ্জরীর মতো বইয়ের গুরুত্ব এখানেই।
আখ্যানমঞ্জরী বিদ্যাসাগরের কোনো মৌলিক গ্রন্থ নয়। এটি ইংরেজি বই অবলম্বনে রচিত। বইটি যেন একের ভেতরে দুই। প্রথম দুই ভাগ বা খণ্ড বয়সে কিছুটা ছোটদের জন্য। এখানে গল্পচ্ছলে সরস ভাষায় নৈতিক চরিত্র গঠনের জন্য নীতি উপদেশ দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি আখ্যান বা কাহিনির শিরোনাম দেখলেই বোঝা যায়, ‘মাতৃভক্তি’, ‘পিতৃভক্তি’, ভ্রাতৃস্নেহ’, ‘লোভসংবরণ’, ‘গুরুভক্তি’, ‘ধর্মভীরুতা’, ‘নিঃস্বার্থ পরোপকার’ ইত্যাদি। সব মিলিয়ে আখ্যানমঞ্জরী একটি পরিকল্পিত কিশোরপাঠ্য।

Title : আখ্যানমঞ্জরী
Author : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
Publisher : আদর্শ
ISBN : 9789849574156
Edition : 2021
Number of Pages : 200
Country : Bangladesh
Language : Bengali

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে ২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
উনিশ বছর বয়সে বিশেষ পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করে তিনি ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি লাভ করেন। বদান্যতার জন্য তিনি ‘দয়ার সাগর’ নামেও অভিহিত হন। ১৮৪১ সালে তিনি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রধান পণ্ডিত নিযুক্ত হন এবং পরে সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ হন।
তিনিই প্রথম বাংলা গদ্যের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা আবিষ্কার করেন এবং গদ্য ভাষায় যতিচিহ্ন যথাযথভাবে প্রয়োগ করেন। ফলে তার গদ্য হয়ে ওঠে শৈলীসম্পন্ন। এ জন্য তাকে বাংলা গদ্যের জনক বলা হয়।
১৮৫৫ সালের শিশুদের বাংলা বর্ণমালার প্রথম সার্থক গ্রন্থ বর্ণ পরিচয় তারই লেখা। এ গ্রন্থ আজও বাংলা ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে পথনির্দেশক। বেতাল পঞ্চবিংশতি, শকুন্তলা, সীতার বনবাস, চরিতাবলী, ভ্রান্তিবিলাস প্রভৃতি গ্রন্থ তার প্রধান রচনা।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮৯১ সালের ২৯ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]