আমার আছে ফেসবুক (পেপারব্যাক)
আমার আছে ফেসবুক (পেপারব্যাক)
প্রকাশনী:
বিষয়:
৳ ২৫০   ৳ ২১৩
১৫% ছাড়
Quantity  

বিকাশ পেমেন্টে ১৫% নিশ্চিত ক্যাশব্যাক* !! প্রতিদিন ১০০ টাকা পর্যন্ত; সর্বমোট ৩০০ টাকা

যেকোনো মূল্যের বই অর্ডার করেই জিতে নিতে পারেন ঘন্টায় ঘন্টায় ফ্রি বই

১১৯৯ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

কি যেন এক সরকারি ফর্ম পূরণ করছি। ৪ পৃষ্ঠার লম্বা ফর্ম। নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা… নানা বিতং…. আমি সম্পূর্ণ নিজের অজান্তে স্থায়ী ঠিকানার জায়গায় লিখে দিলাম, ফেসবুক। আসলেই আমার স্থায়ী এবং বর্তমান দুটো ঠিকানাই হচ্ছে ফেসবুক। ফেসবুককে আমি যে পরিমাণ সময় দেই, তার দশ ভাগের এক ভাগ সময় যদি আমার প্রেমিকাকে দিতাম, তাহলে তিনি শত সন্তানের জননী হতেন… কিংবা সেই সময় আমার স্ত্রীকে দিলে তার চোখে আমি হতাম শত বর্ষের শ্রেষ্ঠ স্বামী সেই সময় পড়াশোনায় দিলে পুরো টেলিফোন ডিরেক্টরি মুখস্থ বলতে পারতাম। সেই সময় লেখালেখিতে দিলে, তিনটি গীতাঞ্জলি দুটো সঞ্চয়িতা এবং চারটি গল্পগুচ্ছ লেখা হয়ে যেতো। সেই সময় ঈশ্বরকে দিলে, স্বয়ং ঈশ্বর এসে ধরা দিতেন আমার সামনে… এই ফেসবুক হয়তো চিরদিন থাকবে না। সময়ের প্রয়োজনে নতুন কিছু এসে ফেসবুকের জায়গা দখল করবে। কিন্ত পরিবার পরিজন, বাচ্চা স্ত্রী এমনকি প্রেমিকাকে ফেলে যে পরিমাণ সময় আমি ফেসবুককে দিয়েছি তার একটা রেকর্ড থাকা দারকার। বইটা এই কারণে করা। যাতে ইতিহাসে লেখা থাকে, এক যে ছিল ফেসবুক, তাকে ভালোবাসতো রবি…. গরীবের আল্লাহ আর ফেসবুক ছাড়া কিছুই নাই। সবার জীবন লাইকময় হোক।

Title : আমার আছে ফেসবুক
Author : আশীফ এন্তাজ রবি
Publisher : আদর্শ
ISBN : 9789848875803
Edition : 2014
Number of Pages : 152
Country : Bangladesh
Language : Bengali

আমার নাম আশীফ এন্তাজ রবি। জন্ম ২১ আগস্ট ১৯৭৭। তবে অন্য অনেকের মতাে আমারও একটা সার্টিফিকেট জন্মসাল আছে, ২৪.১০.১৯৭৯। নটরডেম কলেজে পড়ার সময় জনৈক বালিকাকে মুগ্ধ করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে একটা উপন্যাস লিখে ফেলেছিলাম। একদিন জলসিড়ি নামক উপন্যাসটি সেই বালিকাকে দ্রবীভূত করতে পারেনি। লেখক হিসেবে সেই দিন থেকেই আমি ব্যর্থ। ব্যর্থতাকে সহজভাবে মেনে নিয়ে আমি অন্য কাজকর্মে মনােনিবেশ করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর হুট করে বিয়ে করে ফেলি। সংসার চালানাের জন্য টিউশনির চেষ্টা করি। একটা টিউশনি জুটেও যায়। ছাত্র ইন্টারমিডিয়েটে বিজ্ঞানবিভাগে পড়ে। প্রথম দিন তাকে নিউটনের গতিসূত্র বােঝাই। মাস্টার হিসেবে আমি কেমন এটা, পরখ করার জন্য ছাত্রের বাবা পাশে বসে ছিলেন। ছাত্রটি নিউটনের গতিসূত্র চমৎকারভাবে ধরে ফেললেও তার ক্লাস এইট পাশ বাবা ব্যাপারটার আগামাথা কিছুই বুঝলেন না। কাজেই প্রথমদিনেই টিউশনি থেকে বাদ পড়ে গেলাম। এরপর শুরু করলাম পত্রিকায় লেখালেখি। শুধু টাকার জন্য প্রথম আলাে পত্রিকায় দুই হাতে লেখা শুরু করলাম। সেই লেখালেখির জেরেই যুগান্তর পত্রিকায় চাকরি পেয়ে যাই । টানা ১৩ বছর সেখানে সাংবাদিকতা করি। যুগান্তরে থাকার সময় জনৈক প্রকাশক আমার সাথে যােগাযােগ করেন। তিনি আমার একটি বই বের করতে চান। পুরনাে ব্যর্থতার কথা ভুলে আমি বই বের করতে রাজি হয়ে যাই। চার মাস ঘুরানাের পর চারটি ছােট গল্প তার হাতে তুলে দেই। প্রকাশক বিরস বদনে বলেন, এইটুকু দিয়ে তাে দুই ফর্মাও হবে না। প্রকাশককে উদ্ধার করার জন্য আমি আরও দুইজন তরুণ লেখককে জোগাড় করি, যারা লম্বা লম্বা গল্প লিখতে পারেন। তিনজনের বারােটি গল্প মিলে বের হয়, তিন তরুণের গল্প। এরপরের বছর একই কায়দায় ত্রয়ী নামে আরেকটি গল্পগ্রন্থ। বের হয়। আশ্চর্যজনকভাবে প্রথম বই তিন কপি, দ্বিতীয় বইটিও। সর্বমােট তিন কপি বিক্রি হয়। লেখক তিনজন থাকায় এই দারুন সাফল্য। তিনে মিলে করি কাজ, হারিজিতি নাহি লাজ।এরপর টানা আট বছর আমি কোনাে বই ফাঁদার কথা স্বপ্নেও। ভাবিনি। তবু স্বভাবদোষে বের হলাে, কাগজের নৌকা। এখন নৌকাডুবির অপেক্ষা। লেখক পরিচিতিতে ভালাে ভালাে কথা লেখার নিয়ম। অধিকাংশক্ষেত্রে লেখক নিজেই নিজের ঢােল ফাটিয়ে ফেলেন। আমার কোনাে ঢােল নেই, তাই ফাটাতে পারলাম না। আমি দুঃখিত।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]