৳ ৩৫০ ৳ ২৯৮
|
১৫% ছাড়
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
একাডেমিক বইয়ে প্রতি ১০০০ টাকার অর্ডারে একটি করে খাতা ফ্রি ও ডেলিভারি ফ্রি
বাংলা নববর্ষের সঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক বিদ্যমান। সচেতন জাতির পরিচয় প্রকাশিত হয় বিচিত্র সাংস্কৃতিক রূপের মধ্য দিয়ে। নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির সেই পরিচয়বাহী। নববর্ষের আনন্দ-উদ্দীপনার মধ্যে লক্ষ্য করা যায় জীবন। বিশ্বাসের ধ্রুব সত্যের পরিস্ফুট রূপটি। সাংস্কৃতিক চেতনার অর্থই হল নতুনভাবে কর্মমুখী মনােভাবের জাগরণ, এর ফলে জীবনের পরিবর্তনে আসে গতি, নবতম উদ্যমের ছন্দ নববর্ষ মানুষকে সচেতন করে তােলে তার সাংস্কৃতিক চেতনার স্পন্দনে। বাঙালি সমাজ জীবনকে যান্ত্রিক অনুভূতি দিয়ে বিচার করেনি, বিচার করেছে মানসিক অনুভূতি দিয়ে। নতুন মানুষকে প্রেরণা দেয়-তার অনুভূতিকে নতুন বর্ণে সিঞ্জিত করে। বাংলা নববর্ষ বাঙালি জীবনের জাতীয় উৎসব-একথা বলার মধ্যে আত্মশ্লাঘা থাকতে পারে কিন্তু চৈতন্য প্রবাহে মিশে আছে সংস্কৃতির একটি উজ্জ্বল দিক। জাতীয় জীবনে বর্ষবরণের প্রথম দিনে নতুন বছরকে স্বাগত জানানাের অর্থ নতুনকে বরণের সাগ্রহ মনােভাব । নিঃশঙ্কচিত্তে নতুনকে গ্রহণের মধ্যে জীবনকে নবচেতনায় নির্মাণের একটা আন্তরিক ও অকৃত্রিম ইচ্ছা বিদ্যমান। প্রতিটি মানুষ চায় আত্মপ্রকাশের মধ্যে দিয়ে একটি চিহ্নিত রূপ সবার সামনে রেখে যেতে। বাঙালি জীবনে নববর্ষও এই অখণ্ড চেতনার রূপ। যার মধ্যে দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে বাঙালি জাতির স্পষ্ট বিকাশধর্মী একটি সাংস্কৃতিক রূপ।
Title | : | নববর্ষ ও বাংলার লোক-সংস্কৃতি |
Author | : | ড. আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ |
Publisher | : | সূচীপত্র |
ISBN | : | 9847002202145 |
Edition | : | 2017 |
Number of Pages | : | 239 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
ড. আবুল কালাম মনজুর মােরশেদ জন্ম : রাজশাহী। শিক্ষা : ম্যাট্রিক রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল ও আই.এ. রাজশাহী গভর্নমেন্ট কলেজ প্রথম। বিভাগ, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বি.এ. অনার্স ও এম.এ. পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে উত্তীর্ণ হন ঢাকা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পরে ভাষাবিজ্ঞানে এম.এ. করেন ক্যানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ও পিএইচ.ডি. স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে লেকচারার / সিনিয়র। লেকচারার হিসেবে এবং পরে প্রফেসর হিসেবে ২০০৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন । তিনি ২০০৫-২০০৬ (১৬ই নভেম্বর পর্যন্ত) বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। ভাষাবিজ্ঞান বিভাগে সংখ্যাতিরিক্ত প্রফেসর হিসেবে কর্মরত। তিনি ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম শিক্ষক হিসেবে যােগদান করেন। পরে আবার। নিজের পুরােন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসেন। প্রফেসর আবুল কালাম মনজুর মােরশেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান (১৯৮৭-৯০) ছাড়াও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভােস্ট (১৯৯২-৯৬), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। সমিতির সদস্য, নজরুল ইনসটিটিউটের ট্রাস্টি বাের্ডের সদস্য, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের বোর্ড সদস্য, এশিয়াটিক সােসাইটি অব বাংলাদেশের সদস্য ও কোষাধ্যক্ষ এবং সোসাইটির বাংলাদেশ কালচারাল প্রজেক্টের ভাষা সাহিত্য' খণ্ডের সম্পাদক, চট্টগ্রাম ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিলর ও সিনেট সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেটের সদস্য। । প্রফেসর আবুল কালাম মনজুর মােরশেদ স্কুল জীবন থেকে সাহিত্য রচনা শুরু করেন। তাঁর লেখা গল্প ও প্রবন্ধ। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন দৈনিক ও পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশের একমাত্র লেখক হিসেবে তাঁর ‘দি ল্যাংগুয়েজ প্রবলেম অব বাংলাদেশ, এনট্রি এনসাইক্লোপিডিয়া অব ল্যাংগুয়েজ এ্যাণ্ড লিংগুয়িসটিকসে। (ইউনিভার্সিটি অব এ্যাবারডিন)' প্রকাশিত। এ পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযােগ্য হলাে : জ্যোৎস্না। রাতের রূপকথা, রাজপুত্র ও কোটালপুত্র, মিন্টু ও পিন্টুর গল্প, সােনালী রাজহাঁস, মৌ-এর পুতুল, এক বােন। পারুল, টিনটিনের ঢাকা সফর, বিদেশের সেরা গল্প, রূপকথার রাজ্যে, মিতুল ও তিতুলের বন্ধুরা, রায়হানের। পায়রা, মৌ, আকাশ জুড়ে মেঘ করেছে, কিশাের রচনাসমগ্র (দু খণ্ড), সম্রাজ্ঞীর নাম, চন্দ্রগ্রহণ, নিহত সম্রাট, জ্যোৎস্নায় পােকার বাসা, বাংলা ভাষাতত্ত্ব, বাংলা সম্বন্ধবাচক সর্বনাম : গঠন ও প্রকৃতি, নজরুল ও অন্যান্য প্রবন্ধ, আধুনিক ভাষাতত্ত্ব, রবীন্দ্রনাথ নজরুল ও অন্যান্য প্রসঙ্গ, মধুসূদন রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল, A study of Standard। Bengali and the Noakhali Dialect a Relativization in Bengali. সাহিত্য সাধনার জন্য তিনি নিম্নোক্ত পুরস্কার পান : বাংলাদেশ শিশু একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার ১৪০৭, একুশের। পদক ২০০৬ ও বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ পুরস্কার ২০০৬
If you found any incorrect information please report us