অ্যাডভান্সড জাভা প্রোগ্রামিং (পেপারব্যাক)
অ্যাডভান্সড জাভা প্রোগ্রামিং (পেপারব্যাক)
৳ ৫০০   ৳ ৪২৫
১৫% ছাড়
Quantity  

তথ্য সাময়িকী সালতামামি – ২০২৩  অর্ডার করলে সাথে সালতামামি ২০২২ ফ্রি

১১৯৯ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

১২ মাসের তথ্য সাময়িকী (জানুয়ারী – ডিসেম্বর, ২০২৩)  এখন ৬০% ছাড়ে

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির জগতে জাভা একটি শক্তিশালী প্রোগ্রামিং ভাষা হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে মোবাইল ফোন, ওয়েব ও এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার তৈরির জন্য জাভা খুবই জনপ্রিয়। তাই জাভার অগ্রসর বিষয়গুলো নিয়ে একটি নতুন বই বাংলা ভাষায় তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার প্রসারে একটি অনন্য সংযোজন।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই জাভা শেখানো হয়। তবে সেখানে মূলত গুরুত্ব দেওয়া হয় অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং বা ওওপি (OOP)-এর ওপর, যেন শিক্ষার্থীরা ওওপি-এর মূল ধারণা ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারে এবং পরবর্তী সময়ে অন্য প্রোগ্রামিং ভাষায় কাজ করার সময়ও এই ধারণা ব্যবহার করতে পারে। আমি মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের এর বেশি জাভা জানার প্রয়োজন নেই। জাভা দিয়ে গুই (GUI) তৈরি, মাল্টিথ্রেডিং, নেটওয়ার্ক প্রোগ্রামিং, ডেটাবেজ প্রোগ্রামিং, ওয়েব প্রোগ্রামিং কিংবা মোবাইল ফোনের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি – এগুলো জাভা শেখার সময়ে শিখতে যাওয়া মানে সময়ের অপচয় এবং মূল বিষয়ে গুরুত্ব না দেওয়া। বরং নেটওয়ার্কিং কোর্সে জাভা দিয়ে নেটওয়ার্ক প্রোগ্রামিং, ডেটাবেজ কোর্সের প্রজেক্ট করার সময় জাভা (বা অন্য কোনো ভাষা) ব্যবহার করে ডেটাবেজ প্রোগ্রামিং এসব কাজ করা উচিত। তাই এই বইতে লেখক বজলুর রহমান জাভার যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন, সেগুলোকে আমি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ঐচ্ছিক বলবো, তবে যারা পেশাদার প্রোগ্রামার, সবে মাত্র প্রোগ্রামিং শুরু করেছেন কিংবা বেশ কয়েক বছর ধরে জাভা নিয়ে কাজ করছেন, তাদের জন্য বইটি অবশ্যপাঠ্য।

প্রোগ্রামিং ক্যারিয়ারে যখনই কেউ মনে করবে যে, সে যথেষ্ট শিখে ফেলেছে, বাকি জীবনে নিজের জানা জিনিসগুলো প্রয়োগ করেই কাজ চলে যাবে, তখনই আসলে তার ক্যারিয়ারের সমাপ্তি। চিকিৎসকদের মতো প্রোগ্রামারদেরও সব সময়ই নিয়মিত কাজের পাশাপাশি পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হয়, নিত্যনতুন বিভিন্ন জিনিস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয়, নিজের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করতে হয়। ল্যামডা এক্সপ্রেশন ও স্ট্রিম এপিআই জাভাতে বেশ নতুন সংযোজন এবং এগুলোর গুরুত্ব ও সুবিধা এতটাই যে, আমার ধারণা, এরই অনেক জাভা প্রোগ্রামার তাঁদের কাজে এগুলো ব্যবহার করা শুরু করে দিয়েছেন। তাই এগুলো না জানলে কিংবা ব্যবহার করতে স্বচ্ছন্দ না হলে প্রোগ্রামাররা পিছিয়ে পড়বেন। আমি তাই বজলুরকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ দেব বিষয়গুলো বাংলা ভাষায় সহজভাবে তুলে ধরার জন্য।

ফাংশনাল প্রোগ্রামিং নতুন কোনো ধারণা নয়, তবে বর্তমানে এটি বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। তাই বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষার কারিগররা এই বৈশিষ্ট্যটি তাঁদের ভাষায় যুক্ত করে ফেলেছেন কিংবা ফেলছেন। জাভাতেও ফাংশনাল প্রোগ্রামিং বিষয়টি অপেক্ষাকৃত নতুন। এখন কেউ তার প্রতিদিনকার কাজে ফাংশনাল প্রোগ্রামিং ব্যবহার করুক আর না-ই করুক, ফাংশনাল প্রোগ্রামিংয় সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা তাদেরকে আরো সমৃদ্ধ করবে। এই বইটি ফাংশনাল প্রোগ্রামিং শেখানোর বই না হলেও জাভার যেই দুটি ফিচার বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়েছে, সেগুলো জাভাতে ফাংশনাল প্রোগ্রামিং করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরেকটি বিষয় বলা প্রয়োজন। জাভা দিয়ে প্রোগ্রাম লিখতে কিংবা বিভিন্ন সফটওয়্যার তৈরি করতে গেলে কিন্তু একটি কম্পিউটার জাভায় লেখা প্রোগ্রামকে কীভাবে চালায়, সেটি না জানলেও চলবে। অর্থাৎ জাভা ভার্চুয়াল মেশিন-সম্পর্কিত খুঁটিনাটি না জেনেও দিনের পর দিন জাভা কোড লিখে যাওয়া যায়। কিন্তু বড়ো পরিসরে, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে কাজ করতে হলে বেশ কিছু বিষয়ের গভীরে যাওয়া প্রয়োজন। তাই কেউ যদি একটি ভালো প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউ দিতে যান এবং তিনি যদি দাবি করেন যে গত পাঁচ বছর ধরে প্রফেশনাল কাজে জাভা ব্যবহার করছেন, তাহলে যিনি ইন্টারভিউ নিচ্ছেন, তিনি আশা করবেন যে প্রার্থী জাভার খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানবেন, বিশেষ করে জেভিএম কীভাবে কাজ করে, গার্বেজ কালেকশন কীভাবে হয় ইত্যাদি। লেখক এই বইতে বিষয়গুলো বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন এবং এগুলো অবশ্যই জাভা প্রোগ্রামারদের জানা উচিত।

পরিশেষে বলতে চাই, লেখক আ ন ম বজলুর রহমানের জাভা নিয়ে লেখা অন্য দুটি বইয়ের মতো এই বইটিও পাঠকপ্রিয় হবে এবং বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির জগতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। আর দ্বিমিক থেকে বইটি প্রকাশ করতে পেরে আমরা গর্বিত। আশা করছি, লেখক তাঁর জাভা চর্চা অব্যাহত রাখবেন এবং নিয়মিতই পাঠকদের জন্য প্রয়োজনীয় ও চমৎকার সব বই উপহার দিয়ে যাবেন। --- তামিম শাহ‍্‍‍রিয়ার সুবিন

Title : অ্যাডভান্সড জাভা প্রোগ্রামিং
Author : আ ন ম বজলুর রহমান
Publisher : দ্বিমিক প্রকাশনী
ISBN : 9789848042076
Edition : 1st Edition, 2019
Number of Pages : 336
Country : Bangladesh
Language : Bengali

লেখালেখির শুরুটা কবিতা দিয়েই, সেই ছোট্টবেলায়। একসময় কবিতার খাতাটি হারিয়ে প্রোগ্রামিংয়ের এডিটরটাই হয়ে যায় লেখালেখির নতুন ক্যানভাস।

জন্ম শেরপুর জেলার ভারেরা গ্রামে, ১৯৯০ সালের ২৩শে এপ্রিল। শেরপুরেই স্কুল-কলেজের পাট চুকিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পড়াশোনা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটে। গ্র্যাজুয়েশনের পর থেরাপ বিডি লিমিটেডে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন আড়াই বছর। এর মধ্যে গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটে কাজ করেছেন দুবছর। বর্তমানে তিনি বিকাশ লিমিটেডের রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্টে লিড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন।

ছাত্রাবস্থা থেকেই প্রোগ্রামিং ছিল তার ধ্যান-জ্ঞান। প্রোগ্রামিংয়ের জন্য তার পছন্দের ভাষা জাভা। জাভা দিয়ে সফটওয়্যার লেখাটা শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কিংবা কাজের জন্য নয়, বরং ভালোবেসে নিজে নিজেই করেছেন বেশি। জাভার প্রতি ভালোবাসা থেকেই জাভা ইউজার গ্রুপ বাংলাদেশ (https://jugbd.org/) প্রতিষ্ঠা করেছেন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্লগে লিখে চলেছেন জাভা এবং নানা নতুন টেকনোলজি নিয়ে। নিয়মিত আয়োজন ও অংশগ্রহণ করছেন জাভার সম্মেলনে। প্রোগ্রামিং এবং টেকনোলজি নিয়ে প্রতি মাসেই দেশ-বিদেশের জ্ঞানীগুণী প্রোগ্রামারদের নিয়ে আয়োজন করছেন ভার্চুয়াল সম্মেলন।
জাভাকে দেশের মানুষের কাছে নিজের ভাষায় সহজে পরিচিত করতে বাংলায় লিখেছেন বই–জাভা প্রোগ্রামিং ও জাভা থ্রেড প্রোগ্রামিং


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]