পিনবল, ১৯৭৩ (হার্ডকভার)
পিনবল, ১৯৭৩ (হার্ডকভার)
৳ ৩০০   ৳ ২৫৫
১৫% ছাড়
Quantity  

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

নামহীন এক যুবকের গল্প পিনবল, ১৯৭৩। পড়াশোনা শেষ করে টোকিওতে এক বন্ধুর সঙ্গে পার্টনারশিপে একটা অফিস দেয় সে। তারা মূলত জাপানি ভাষায় অনুবাদের কাজ করে। সেগুলোর মধ্যে উইলিয়াম স্টাইরনের খটমট প্রবন্ধ যেমন আছে, তেমন আছে সেফটি রেজরের ম্যানুয়াল। সে পিনবলে গভীরভাবে আসক্ত। স্পেসশিপ মডেলের পিনবল মেশিনের প্রতি তার এই অবসেশনকে প্রেমও বলা যেতে পারে। নামহীন দুই যমজ বোনের সঙ্গে সে একই বাসায় থাকে।
তার সবচেয়ে কাছের বন্ধুর নাম র‌্যাট। র‌্যাট টোকিওতে থাকে না। জাপানের একটা ছোট বন্দর শহরে তার বাস। ‘জে নামে এক চিনা বড় ভাইয়ের বারে বসে বিয়ার খাওয়া ছাড়া সে আর কোনো কিছুতে উৎসাহ বোধ করে না। একটা মেয়েকে পাগলের মতো ভালোবাসে। অথচ মেয়েটকে এড়িয়ে চলে, পালাতে চায় সবসময়। কোনো অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে র‌্যাটের যুদ্ধ।
গল্পের শুরু ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। উপন্যাসের ঢোকার দরজা এটা। আশা করছি, বের হবার কোনো দরজাও নিশ্চয় পাঠক পেয়ে যাবেন।
যমজ দুই বোনের চেহারা থেকে শুরু করে কণ্ঠস্বর, চুল সব একরকম। শরীরে এমন কোনো তিল বা জন্মদাগ নেই যা দিয়ে তাদের আলাদা করা যেতে পারে।
একটা উপায় একদিন পাওয়া গেল। তারা বাড়িতে নেভি ব্লু কালারের সোয়েটশার্ট পরত। সেখানে দুটো সংখ্যা লেখা ছিল। ২০৮ আর ২০৯। ডান পাশের নিপলের ওপরে ‘২’ লেখা। বাম নিপলের ওপরে ‘৮’ অথবা ‘৯’। দুই স্তনের ভাঁজে ‘০’ চাপা পড়ে যেত।
দুজনের দিকে আঙুল তুলে বললাম, এখন থেকে তোমাকে ২০৮ বলে ডাকব আর তোমাকে ডাকব ২০৯।
কিন্তু এভাবে তো তুমি আমাদের চিনতে পারবে না, ২০৮ বলল।
কেন?
দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে হাসল। ম্যাজিকের মতো সোয়েট শার্টদুটো বদলে নিল। তারপর ২০৯ আমার দিকে তাকিয়ে বলল, এখন আমি ২০৮।
আর আমি ২০৯, অন্যজন সুর মেলাল।
আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম।

Title : পিনবল, ১৯৭৩
Author : হারুকি মুরাকামি
Translator : আলভী আহমেদ
Publisher : বাতিঘর
ISBN : 9789849533672
Edition : 1st Edition, 2021
Number of Pages : 160
Country : Bangladesh
Language : Bengali

রাকামি হারুকি, জন্ম ১২ জানুয়ারি ১৯৪৯) একজন জনপ্রিয় জাপানি লেখক।মুরাকামির উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে আ ওয়াইল্ড শিপ চেজ (১৯৮২), নরওয়েজিয়ান উড (১৯৮৭), দি ওয়াইন্ড-আপ বার্ড ক্রোনিকেল (১৯৯৪-৯৫), কাফকা অন দি শোর (২০০২), এবং ওয়ানকিউএইটিফোর (২০০৯-১০)। মুরাকামি রেমন্ড কার্ভার এবং জে ডি স্যালিংগারর মত লেখকদের লেখা জাপানি ভাষায় অনুবাদ করেছেন। তবে জাপানের সাহিত্য সমাজ মাঝেমধ্যে তার গল্পগুলো অজাপানি বলে সমালোচনা করে, যেগুলো পাশ্চাত্য লেখক রেয়মন্ড চান্ডলার, ভনেগাট দ্বারা প্রভাবিত বলে ভাবা হয়। তার লেখাগুলো বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই পরবাস্তববাদী, বিষাদগ্রস্থ অথবা অদৃষ্টবাদী, যা গভীরভাবে কাফকায়েস্ক। সমালোচকেরা অনেকেই হারুকির কথাসাহিত্যগুলো ফ্রান্‌ৎস কাফকার একাকীত্বে ভরা উন্মাদনা, শূন্যতা, বিষাদগ্রস্ততা, পরবাস্তবতা ও অর্থহীনতায় ভরা কথাশিল্প হিসেবে উল্লেখ করেন। দি গার্ডিয়ান-এর স্টিভেন পুলের তার মতে মুরাকামি তার কর্ম ও অর্জনের পৃথিবীর সেরা জীবিত ঔপন্যাসিকদের একজন।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]