৳ ২৪৫০ ৳ ১৯৬০
|
২০% ছাড়
|
Quantity |
|
বিকাশ পেমেন্টে ১৫% নিশ্চিত ক্যাশব্যাক* !! প্রতিদিন ১০০ টাকা পর্যন্ত; সর্বমোট ৩০০ টাকা
যেকোনো মূল্যের বই অর্ডার করেই জিতে নিতে পারেন ঘন্টায় ঘন্টায় ফ্রি বই
১১৯৯ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্যাকেজ বিবরণ
SL | Product | Name | Category | MRP | Discount | Sale Price | |
---|---|---|---|---|---|---|---|
1 | চার কিশোর অভিযান | অপরাধ, লোমহর্ষক ও রহস্য | 480 Tk | 15 % | 408 Tk | ||
2 | জেনারেল ও নারীরা | সমকালীন উপন্যাস | 350 Tk | 15 % | 298 Tk | ||
3 | যারা ভোর এনেছিল | মুক্তিযুদ্ধ | 520 Tk | 15 % | 442 Tk | ||
4 | মা | মুক্তিযুদ্ধ | 500 Tk | 15 % | 425 Tk | ||
5 | তিন অপরূপা | সমকালীন উপন্যাস | 600 Tk | 25 % | 450 Tk | ||
আলাদাভাবে সর্বমোট মূল্য | 2450 Tk | 17 % | 2023 Tk | ||||
(-) বান্ডল ডিসকাউন্ট | 63 Tk | ||||||
অফার মূল্য | 20% | 1960 Tk |
চার কিশোর অভিযান:
এই বইয়ে ভূত আছে, ভয় আছে। এই বইয়ে অভিযান আছে, বিপদ আছে। এই বইয়ে ছেলেমেয়েদের সাহসিকতা আছে, অ্যাডভেঞ্চার আছে। এই বইয়ে আছে প্রতারণা। এই বইয়ে আছে প্রতিকূল পরিবেশে বেড়ে ওঠা কিশোরীদের জগৎ জয়ের কথা। আছে মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহ দিনগুলোতে কিশোরদের দুঃসাহসিক অপারেশন। আর আছে হাস্যরস।
এই বইয়ে স্থান পাওয়া চারটা অভিযানের কাহিনি তোমাদের সময়কে আনন্দে পরিপূর্ণ করে তুলবে।
জেনারেল ও নারীরা:
পাকিস্তানের প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের ছিল অসংখ্য প্রেমিকা। ওই সময় রাষ্ট্রপতি ভবনকে পাকিস্তানের পুলিশেরাই অভিধা দিয়েছিল ‘পতিতালয়’। সরকারি রিপোর্টেই শত শত নারীর উল্লেখ পাওয়া যায়, যাঁরা ইয়াহিয়ার কাছে গিয়েছিলেন। রোম যখন পুড়ছিল, নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল। আরেক রমণীমোহন পাকিস্তানি পুরুষ ভুট্টোর সঙ্গে মিলে ইয়াহিয়া, তাঁর দোসররা ও তাঁর বাহিনী লাখ লাখ বাঙালিকে হত্যা করেছে বাঙালিরা তাদের ন্যাঘ্য দাবি উত্থাপন করেছিল বলে। সেই অন্যায়ে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন ও তাঁর উপদেষ্টা কিসিঞ্জার। কিন্তু সবাই মিলেও তাঁরা রোধ করতে পারেননি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়।
যারা ভোর এনেছিল:
কলকাতার সিরাজউদ্দৌলা ছাত্রাবাসে শেখ মুজিব ডাকলেন সবাইকে। ব্রিটিশরা বিদায় নিচ্ছে, পাকিস্তান ও ভারত আলাদা আলাদাভাবে স্বাধীন হচ্ছে। এখন কী করা যাবে? ঢাকায় ফিরেই শেখ মুজিব ঝাঁপিয়ে পড়লেন রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে। পাকিস্তানের বয়স তখন মাত্র কয়েক মাস। আর সেই সব আন্দোলনে পাশাপাশি যােগ দিচ্ছেন তরুণতর তাজউদ্দীন আহমদও। একটা সাইকেল নিয়ে তিনি চষে বেড়ান ঢাকা শহর। ঢাকায় আসেন মওলানা ভাসানী, আসেন সােহরাওয়ার্দী। তরুণ মুজিব এরই মধ্যে জনপ্রিয়, তিনি বারবার গ্রেপ্তার হন, কারাগারে যান, মুক্তি পাওয়ার জন্য দাসখতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেন। ওদিকে টুঙ্গিপাড়ায় সন্তানদের আগলে রাখেন রেনু। তিনি তাঁর স্বামীকে যেন উৎসর্গ করেছেন দেশের জন্য। এমনই প্রেক্ষাপটে পূর্ব বাংলায় আসে ১৯৫২ সাল, আসে একুশে ফেব্রুয়ারি। যাঁরা ইতিহাস নির্মাণ করেছেন, তাঁরাই এই উপন্যাসের চরিত্র। ইতিহাসে সন-তারিখ থাকে, থাকে না ব্যক্তিমানুষের হৃদয়ের সংবাদ। যারা ভাের এনেছিল একটা ট্রিলজির প্রথম খণ্ড, যা পাঠকের সামনে রক্ত-মাংসের মানুষ হিসেবে হাজির করবে আমাদের ইতিহাস- নির্মাতাদের। বাংলাদেশের স্বাধীনতা এক দিনে অর্জিত হয়নি, এর পেছনে আছে দীর্ঘদিনের লড়াই-সংগ্রাম। এই আখ্যান আমাদের জানাবে সে কথাই, কিন্তু তা নিছক ইতিহাস হয়ে রইবে না, হয়ে উঠবে কতগুলাে মানবচরিত্রের গল্প। বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য এটি একটি অবশ্যপাঠ্য গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
মা:
আজাদ ছিল তার মায়ের একমাত্র সন্তান। আজাদের বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করায় বালক আজাদকে নিয়ে তার মা স্বামীর গৃহ-অর্থ-বিত্ত ত্যাগ করে আলাদা হয়ে যান। মা বড় কষ্ট করে ছেলেকে লেখাপড়া করান। আজাদ এমএ পাস করে। এই সময় দেশে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। আজাদের বন্ধুরা যােগ দেয় ঢাকার আরবান গেরিলা দলে। আজাদ মাকে বলে, আমিও যুদ্ধে যাব। মা তাকে অনুমতি দেন। ছেলে যুদ্ধে যায়। ১৯৭১ সালের ৩০ আগস্ট একরাতে ঢাকার অনেক ক’টা মুক্তিযােদ্ধা-নিবাসে হামলা চালায় পাকিস্তানী সৈন্যরা, আরাে অনেকের সঙ্গে ধরা পড়ে রুমী, বদি, আলতাফ মাহমুদ, জুয়েল এবং আজাদ। আজাদের ওপর পাকিস্তানীরা প্রচণ্ড অত্যাচার চালিয়েও কথা বের করতে পারে না। তখন তার মাকে বলা হয়, ছেলে যদি সবার নাম-ধাম ইত্যাদি বলে দেয়, তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আজাদের মা ছেলের সঙ্গে দেখা করেন এবং বলেন, শক্ত হয়ে থেকো, কারাে নাম বলে দিও না। আজাদ বলে, মা দুদিন ভাত খাই না, ভাত নিয়ে এসাে। মা পরের দিন ভাত নিয়ে হাজির হন বন্দিশিবিরে, কিন্তু ছেলের দেখা আর মেলে না। আর কোনােদিনও ছেলে তার ফিরে আসে নাই আর এই মা আর কোনােদিনও জীবনে ভাত খান নাই। যুদ্ধের ১৪ বছর পরে মা মারা যান, নিঃস্ব, রিক্তবেশে। মুক্তিযােদ্ধারা তাঁকে কবরে শায়িত করলে আকাশ থেকে ঝিরঝির করে ঝরতে থাকে বৃষ্টি।
মুক্তিযােদ্ধাদের কাছে এই কাহিনীর সন্ধান পেয়ে আনিসুল হক বহুজনের সাক্ষাৎকার নিয়ে, বহু দলিল-দস্তাবেজ ঘেঁটে রচনা করেছেন অসামান্য এক উপন্যাস, জানাচ্ছেন এক অসমসাহসিকা মায়ের অবিশ্বাস্য কাহিনী। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, যতদিন স্বাধীনতা থাকবে, এই অমর মাকে ততদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে হবে আমাদের।
তিন অপরূপা:
ফিরে এসাে, সুন্দরীতমা, নন্দিনী আর আলাে-অন্ধকারে যাই- এই তিন উপন্যাস নিয়ে তিন অপরূপা’র জমিন। মানব-মানবীর বিচিত্র চরিত্র চিত্রণ আর ঘটনার পরম্পরা চিত্রিত করতে মা উপন্যাস খ্যাত কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকের জুড়ি নেই। জটিল মনস্তাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ তার লেখার অন্যতম অনুষঙ্গ। এ বইয়ের তিন উপন্যাসে লেখক রেললাইনের মতাে সমান্তরাল সরলরেখার জীবন তুলে এনেছেন। ফিরে এসাে, সুন্দরীতমা পড়তে পড়তে মনে হবে নন্দিনী’র। কথা- নন্দিনী পড়তে পড়তে মনে হবে আবার আলাে-অন্ধকারে যাই’র কথা। এই তিনের মধ্যে পাঠক খুঁজে পাবেন এক অদম্য মেলবন্ধন। আনিসুল হক এক জাদুমাখা মায়াবী গদ্যে লিখেছেন। তিন অপরূপা’র এই তিন উপন্যাস। একবার পড়তে শুরু করলে পাঠক বইটি শেষ না করে। উঠবেন না- এরকম প্রত্যাশা করাই যায়।
Title | : | আনিসুল হকের বহুমাত্রিক সৃষ্টিশীলতার পরিচায়ক পাঁচ গ্রন্থ |
Author | : | আনিসুল হক |
Publisher | : | পিবিএস কালেকশন |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
আনিসুল হক জন্ম ৪ মার্চ ১৯৬৫, রংপুরের নীলফামারীতে। পিতা মো. মোফাজ্জল হক, মাতা মোসাম্মৎ আনোয়ারা বেগম। জন্মের পরেই পিতার কর্মসূত্রে তারা চলে আসেন রংপুরে। রংপুর পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়, রংপুর জিলা স্কুল, রংপুর কারমাইকেল কলেজ আর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ছাত্রাবস্থা থেকেই সাহিত্য ও সাংবাদিকতার দিকে ঝুঁকে পড়েন। বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে প্রকৌশলী হিসেবে একবার যোগ দিয়েছিলেন সরকারি চাকরিতে কিন্তু ১৫ দিনের মাথায় আবার ফিরে আসেন সাংবাদিকতা তথা লেখালেখিতেই। বর্তমানে একটি প্রথম শ্রেণির জাতীয় দৈনিকে সহযোগী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই তাঁর বিচরণ। তাঁর কলাম গদ্যকার্টুন খুবই পাঠকপ্রিয়। তাঁর উপন্যাস মা ইংরেজিতে ফ্রিডম’স মাদার নামে দিল্লি থেকে প্রকাশিত হয়েছে। উড়িষ্যা থেকে ওডিশি ভাষায়ও বেরিয়েছে এর অনুবাদ। সাহিত্যের জন্য পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার, সিটি আনন্দ-আলো পুরস্কার, খালেকদাদ চৌধুরী পদক, খুলনা রাইটার্স ক্লাব পদক, কবি মোজাম্মেল হক ফাউন্ডেশন পুরস্কার, সুকান্ত পদক, ইউরো সাহিত্য পুরস্কার।
If you found any incorrect information please report us