৳ 400
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১১৯৯+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৬৯৯+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
আগুন চোখের মেয়ে এবং আমার যত ভাবনা
ফরেনসিক ল্যাবের রিপোর্ট অনুযায়ী রাঘব এবং আফজাল চৌধুরীর মাথার ঠিক মাঝখানে বিন্দুর মতো একটা ছিদ্র পাওয়া যায়। তাঁদেরকে খুন করার পূর্বে খুনি এই ছিদ্র দিয়েই মাথার মগজ বের করে গিলে খায়।
‘আগুন চোখের মেয়ে’ একটি লোমহর্ষক থ্রিলার। রহস্যের পর রহস্য নিয়ে এগিয়ে চলে ‘আগুন চোখের মেয়ে।’এর প্রধান চরিত্র পনেরো বছরের মেয়ে মৌরী। মৌরীর বাবা করিম শেখ্কে ওয়ার্ড কমিশনার আফজাল চৌধুরীর নির্দেশে খুন করা হয়।
করিম শেখকে খুন করার পর আফজাল চৌধুরী থানার ওসি আকরাম চৌধুরীর মাধ্যমে খুনটাকে নিছক গাড়ি দূর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়। কিন্তু করিম শেখের মৃত্যুটা নিছক একটা গাড়ি দূর্ঘটনা সেটা তাঁর স্ত্রী নুরজাহান ও মেয়ে মৌরী মানতে পারেনি। তাই তাঁরা স্মরণাপন্ন হয় করিম শেখের বন্ধু থানার ওসি আকরাম চৌধুরীর। আকরাম চৌধুরী বিষয়টা দেখবে বলে মৌরী এবং নুরজাহানকে আশ্বাস দিয়ে গোপনে হাত মিলায় ওয়ার্ড কমিশনার আফজাল চৌধুরীর সাথে। আফজাল চৌধুরী সিদ্ধান্ত নেয় মৌরী এবং নুরজাহানকে খুন করার। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভয়ংকর খুনি রাঘব মৌরী এবং নুরজাহানকে অপহরণ করে নিয়ে যায় শহর থেকে পনেরো কিলোমিটার দূরে একটি গহিন জঙ্গলের পরিত্যক্ত বাড়িতে।
জঙ্গলের এই পরিত্যক্ত বাড়িটিকে আফজাল চৌধুরী তাঁর টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করে। যারা আফজাাল চৌধুরীর বিরুদ্ধাচরণ করে তাঁদেরকে অপহরণ করে এনে এখানেই নির্মমভাবে খুন করা হয়। আফজাল চৌধুরীর নির্দেশে রাঘব নুরজাহানকেও অপহরণ করে এনে এই গহিন জঙ্গলে মৌরীর সামনে গায়ে কেরোসিন ঢেলে জীবন্ত পুড়িয়ে মারে । নুরজাহানকে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে মারার পর রাঘব তার নিজ হাতে মৌরীর হাত ও পা ভেঙ্গে দেয়। ভাঙ্গা হাত ও পা নিয়ে মৌরী অসহনীয় যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে যখন নিস্তেজ হয়ে যায় তখন মারা গিয়েছে ভেবে রাঘব ও তাঁর লোকেজন এই গহিন জঙ্গলের পরিত্যক্ত বাড়িতে তাকে ফেলে চলে যায়। এই জঙ্গলের পরিত্যক্ত বাড়িতে পুরো একদিন পরে থাকার পর মৌরী অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়। মৌরী বেঁচে গেলেও হাত ও পা চিরতরে পঙ্গু হয়ে যায় ফলে হুইল চেয়ারেই হয় তাঁর ঠিকানা। এদিকে নুরজাহান খুনের ইনভেস্টিগেশনের দায়িত্ব দেয়া হয় পুলিশের ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের চৌকস অফিসার সৌমেনকে।
সৌমেন তাঁর দুই সহযোগী সৌরভ ও মৌমিতাকে নিয়ে নুরজাহান ও করিম শেখের খুনিদের গ্রেফতারের অভিযানে নেমে দূর্ধর্ষ খুনি রাঘবকে গ্রেফতার করে। কিন্তু রাতের গভীরে রাঘব থানা থেকে উধাও হয়ে যায় এবং পরের দিন সকালে তাঁর অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ পাওয়া যায় গহিন জঙ্গলের পরিত্যক্ত বাড়ির সেখানে, যেখানে নুরজাহানকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। রাঘবের মৃতদেহের পাশে একটি ঘড়ি পাওয়া যায় যে ঘড়িটা ওয়ার্ড কমিশনার আফজাল চৌধুরীর। তাই রাঘবের খুনের জন্য সৌমেনের সন্দেহ হয় ওয়ার্ড কমিশনার আফজাল চৌধুরীকে। আফজাল চৌধুরীকে গ্রেফতারের জন্য সৌমেন, মৌমিতা এবং সৌরভ বের হয় কিন্তু তাঁরা পৌঁছার আগেই আফজাল চৌধুরীও খুন হয়ে যায়।
মৌরীর বাবা করিম শেখ এবং মা নুরজাহানকে আফজাল চৌধুরী কেন খুন করলো? তাঁদের খুনি রাঘব কীভাবে খুন হলো? তাছাড়া ওয়ার্ড কমিশনার আফজাল চৌধুরীকে কে খুন করলো তাঁর ইনভেস্টিগেশন করতে গিয়ে একের পর এক রহস্য বের হয়ে আসতে থাকে সৌমেনের সামনে।
সৌমেন কী এই রহস্যের উন্মোচন করতে পারবে? না-কি সে-ও খুন হয়ে যাবে?
Title | : | আগুন চোখের মেয়ে (হার্ডকভার) |
Publisher | : | আহমদ পাবলিশিং হাউজ |
ISBN | : | 9789844071919 |
Edition | : | 1st Published, 2023 |
Number of Pages | : | 192 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
Reviews and Ratings
How to write a good review
৳ 0